Header Ads

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল সংখ্যালঘু বিরোধী নয়, দাবি স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰী অমিত শাহ-র

নয়া ঠাহর ওয়েব ডেস্কঃ সোমবার লোকসভায় নাগরিকত্ব বিল পেশ করেন কেন্দ্ৰীয় স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰী অমিত শাহ। এদিন লোকসভায় বিলের তীব্ৰ বিরোধিতা করেন কংগ্ৰেস সমেত বেশিরভাগ বিরোধী দলের সাংসদ। এদিকে এই বিল নিয়ে তুমুল বিতৰ্ক শুরু হয়েছে গোটা দেশে। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল অৰ্থাৎ ক্যাব-এর বিরুদ্ধে গরম হয়েছে গোটা উত্তরপূৰ্বাঞ্চল। গুয়াহাটিতে বিভিন্ন জায়গায় বিলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখা গেছে। মঙ্গলবার ১১ ঘন্টা বনধের ডাক দিয়েছে নৰ্থইস্ট স্টুডেন্টস অৰ্গানাইজেশন সংক্ষেপে নেসো।
সোমবার সকালের দিকে বরাকের হাইলাকান্দির কৃষ্ণাপুর বাজার এলাকায় প্ৰতিবাদ করেছে কৃষক মুক্তি সংগ্ৰাম সমিতি এবং ছাত্ৰ মুক্তি সংগ্ৰাম সমিতির সদস্যরা। আন্দোলনকারীরা কৃষ্ণাপুরের বাজার এলাকার জাতীয় সড়ক অবরোধ করলে স্তব্ধ হয়ে পড়ে যান চলাচল। এরপর লালা পুলিশ স্টেশন, আবদুল্লাপুর ফারি পুলিশ স্টেশন থেকে পুলিশ এবং সিআরপিএফ-এর জওয়ানরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্ৰণে আনে।  ৫০ জনের ও বেশি আন্দোলনকারীকে পুলিশ গ্ৰেফতার করেছে বলে জানা গেছে। 
ছবি, সৌঃ আন্তৰ্জাল

 সোমবার সংসদে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে জোর সওয়াল করেন স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰী। তিনি বলেন দেশের নাগরিককে সুরক্ষিত রাখা রাষ্ট্ৰের কৰ্তব্য। এই বিল সংবিধানকে আঘাত করবে না। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল অৰ্থাৎ ক্যাব সংখ্যালঘু বিরোধী নয় - বলেন স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰী অমিত শাহ। বদল আমরা স্বীকার করি। আমরা ধৰ্মনিরপেক্ষতা স্বীকার করি। সীমান্তে অনুপ্ৰবেশকারীদের ঢোকা বন্ধ করতে হবে। কারও অধিকার হনন করা হবে না। লোকসভায় বলেন কেন্দ্ৰীয় স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰী।

ধৰ্মের ভিত্তিতে দেশভাগ করেছে কংগ্ৰেস। বিরোধীরাই বিভেদের রাজনীতি করছেন। মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশ থেকে বহু মানুষ এসেছে। মনমোহন, আডবানীও পাকিস্তান থেকে আসেন। তিনি বাংলার সাংসদদের আহ্বান করেন বিলকে সমৰ্থন করার জন্য।
উত্তরপূৰ্বের মানুষদের ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। এই বিল কারও অধিকার ছিনিয়ে নেবে না।
অসমের মরান, মটক, সুটিয়া, দূরদৰ্শন আধুনিকিকরণ গোটা উত্তরপূৰ্বাঞ্চলের চিন্তার নিরাকরণ এই বিলে রয়েছে। কেউ যেন পরিবেশ খারাপ না করে আর জন্য আহ্বান জানান স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰী। উত্তরপূৰ্বাঞ্চলে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন অমিত।

এদিন নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে লোকসভায় বিতৰ্ক এমন পৰ্যায়ে পৌঁছয় যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্ৰণে আনতে বারে বারে হস্তক্ষেপ করতে হয় স্পিকার ওম বিড়লাকে। এবিলের প্ৰয়োজন কেন রয়েছে তার প্ৰেক্ষাপট ব্যাখ্যা করেন স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰী। বলেন- আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্রের ধর্মের উল্লেখ করা হয়েছে। ভারত ভাগের পর, ১৯৫০ সালে নেহরু-লিয়াকত সমঝোতার মাধ্যমে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, দুর্ভগ্যবশত তাঁদের উপর অত্যাচার হয়েছে।

বিলের সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে প্ৰশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। এই বিলে ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বরকে ভিত্তিবৰ্ষ করা হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.