Header Ads

যেখানে খাসি মায়েরাই প্রধান


নয়া ঠাহর প্রতিবেদনঃ
 অতি সম্প্রতি কলকাতার কফি হাউসের ওপর বৈচিত্র্য সভাগৃহে উন্মোচন হয় সাংবাদিক তথা লেখিকা সুপর্ণা লাহিড়ী বড়ুয়ার খাসি মেয়েদের নিয়ে লেখা বই 'বদলে যাচ্ছে খাসি মায়েদের গল্প'। কলকাতার প্রকাশনা সংস্থা মনফকিরা বইটি প্রকাশ করে।

পিতৃতান্ত্রিক সমাজে বেড়ে ওঠা জীবনে এটা নয় সেটা নয় বাধানিষেধের মাঝে কখনও কল্পনাই করিনি মা কেন্দ্রিক একটা বৈষম‍্যহীন পরিবার সম্ভব। সাংবাদিক তথা লেখিকা সুপর্ণা লাহিড়ী বড়ুয়া খাসি মেয়েদের সঙ্গে কাটিনো নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে লিখেছেন 'বদলে যাচ্ছে খাসি মায়েদের গল্প' বইটি। বইটি  উন্মোচন করেন আধ‍্যাপিকা ডঃ বাসবী চক্রবর্তী এবং ডঃ স্বাতী সেন।


ঘরের পাশে আরশিনগরকে চিনতে জানতে অনেকটা সময় খরচ করতে হয়েছে লেখিকাকে।
বিহারের দানাপুরে জন্ম, বাবার বদলির চাকরির সুবাদে ছেলেবেলা কেটেছে জামশেদপুর, ধানবাদ বিভিন্ন জায়গায়। বিজ্ঞানে স্নাতক, পরে ইনফরমেশন আ্যন্ড লাইব্রেরী সায়েন্স নিয়ে পড়াশুনা। মা মানসী লাহিড়ীর নিজস্ব মহিলা ত্রৈমাসিক সম্পাদনায় হাতেখড়ি। পরে বিভিন্ন ইংরেজি ও হিন্দি দৈনিকে সাংবাদিকতার ফাঁকে কলকাতার বিভিন্ন বাংলা দৈনিকে প্রকাশিত হয় ঝাড়খণ্ড আন্দোলন, বিহারের জাহানাবাদ ও মাওবাদী এলাকা নিয়ে নিবন্ধ। বাবার মৃত‍্যুর পর ১৯৯৭ সালে ডিব্রুগড়ে অসমিয়া 'প্রত‍্যয়' দৈনিকে যোগ দেন। কাজের সুবাদে পরিচয় হয় অসমের ভূমিপুত্র ভাস্কর বড়ুয়ার সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গেই বিয়ে হয়। সে সময় যিনি অসমিয়া জনজাতীকে একত্র করে সবাইকে কৃষি সমেত বিভিন্ন কাজে উন্নয়নের দিশা দেখাচ্ছিলেন। মেয়েদের নিয়ে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় লেখালেখি করতে করতে নিজেকে আঞ্চলিক ভাষা পাঠ ও পেশাকে আপন করে নেন। যোগ দেন বিভিন্ন আন্দোলনে, উত্তরপূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন ভাষাভাষীর মেয়েদের সঙ্গে মিলেমিশে যান। তাঁর অন‍্যান‍্য বইয়ের মধ‍্যে রয়েছে 'অর্ধ আকাশের সংগ্রাম', 'বিহারের নারী এবং সংগ্রাম', 'মণিপুরের মেয়েরা: সংগ্রাম ঘরে বাইরে', 'নারীর পৃথিবী, নারীর সংগ্রাম', 'ডাইনী হত‍্যার উৎস সন্ধানে'।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.