Header Ads

আপনাদের চিন্তা আমার মাথায় দিন ! উদ্বাস্তু বন্ধু তিনিই, নৈহাটি উৎসবে প্রমাণের চেষ্টা মমতার !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়ঃ

ঘটনাস্থল নৈহাটি উৎসবের উদ্বোধনী মঞ্চ। সেখানে গাছের চারা, সাইকেল উপভোক্তাদের হাতে তুলে দেওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে চলে এল উদ্বাস্তুদের কথা। তিনি প্রথববার সংসদে যাওয়ার পর থেকে উদ্বাস্তুদের দাবি নিয়ে সরব বলে দাবি করেছেন। আর সিএএ নিয়ে তিনি বলেন, কাউকে বাংলা ছাড়া হতে দেব না। আপনাদের চিন্তা আমার মাথায় দিন। উৎসবের মঞ্চ থেকে আহ্বান জানান মমতা।
নৈহাটি উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। কিন্তু সেখানেও নো ক্যাব, নো এনআরসি পোস্টার। স্বভাবতই খুশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তিনি তো বলেননি। কিন্তু মানুষ মানুষের কাজ করেছে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মনে করিয়ে দিলেন, মন্ত্রী থাকাকালীন নৈহাটির জুবিলি ব্রিজ তৈরি করতে তিনিই উদ্যোগ নিয়েছিলেন। 


বিজেপি এখন উদ্বাস্তুদের পাশে থাকার কথা জানাচ্ছে। তাদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলছে। তিনি উদ্বাস্তুদের পাশে রয়েছেন সেই ১৯৮৪ সাল থেকে। উদ্বাস্তুরা যাতে নিঃশর্ত জমির দলিল পায়, সেই ব্যবস্থা তিনিই প্রথমবার সাংসদ হওয়ার পর করেছিলেন বলে দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তাঁর সরকার ৯৪ টি উদ্বাস্তু কলোনিকে অনুমোদন দিয়েছেন। বাকিগুলিকে অনুমোদন দেওয়ার জন্য চিঠিও লিখেছিলেন তিনি। তাঁর সরকার সবকটি উদ্বাস্তু কলোনিকেই আইনত স্বীকৃতি দিয়েছে বলে দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
যাঁরা ১৯৭১-এ এ দেশে এসেছেন তাঁরা জেনুইন সিটিজেন বলে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কটা কার্ড হবে, প্রশ্ন মমতার। আধার কার্ড হয়েছে, প্যান কার্ড হয়েছে রয়েছে ভোটার কার্ড, আরও কতগুলো কার্ড করবে কেন্দ্র--প্রশ্ন করেন মমতা। কেন্দ্রের সমালোচনা করে মমতা বলেন, কেন্দ্র সকালে বলে এই কার্ড তো, বিকেলে বলে অন্য কার্ডের কথা।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করে বলেন ভাঙা ছাড়া গড়ার কাজ করে না বিজেপি। সিএএ নিয়ে সেখানে উপস্থিত সাধারণ মানুষকে আশ্বস্ত করে বলেন, আপনাদের চিন্তা আমার মাথায় দিন। আর নিশ্চিন্তে থাকুন।
মানুষকে বিজেপি কলের পুতুল ভেবেছে ! তিনি বলেন, মতুয়াদের ভুল বোঝানো হচ্ছে। নাগরিকত্ব নিয়ে মিথ্যা প্রচার চালানো হচ্ছে। এক বছর আগে আধার কার্ড নিয়ে মোদী সরকার কী না করেছে। এখন আবার আধারকে অন্ধকারে পাঠিয়ে দিয়েছে।
সব কিছুর সঙ্গে আধার লিঙ্ক করতে হবে। তা না হলে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন না কেউ, ভর্তি হতে পারবে না স্কুলে, কত কিছুই না বলেছিল মোদী সরকার। এখন সেই আধার-প্রেম শেষ। আধার কার্ডকে অন্ধকারে পাঠিয়ে দিয়েছে বিজেপি। এখন বলছে নাগরিকত্বের সার্টিফিকেট চাই।
বিজেপিকে নিশানায় মমতা বলেন, তুমি কে হে নাগরিকত্ব দেওয়ার। আমাদের এতদিন কি কোনও নাগরিকত্বের সার্টিফিকেট ছিল? আমরা কী জানতাম, এদেশে জন্মেছি, এদেশে ভোটাধিকার রয়েছে, ভোটার কার্ড রয়েছে, ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে, এ দেশের স্কুলে পড়েছি, এ দেশে বড় হয়েছি, এ দেশ আমার। আমরা এদেশের নাগরিক।
আর বিজেপি সেসব ভুলিয়ে দিতে চাইছে। দেশের মানুষকে বিদেশি বানানোর ছক কষছে। বলছে, আমরা যাদের সার্টিফিকেট দেব, তারা শুধু নাগরিক, বাকিরা নয়। এটা কি বিজেপির একার দেশ! প্রশ্ন তুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে তিনি বললেন, আপনারা ভাববেন না। আপনাদের সব ভার আমাকে দিন।
মমতা বলেন, মানুষকে লাইনে দাঁড় করানো যাবে না। এখানে এনআরসি হবে না। কারণ এখানে আমাদের সরকার রয়েছে। অসমে এনআরসি হয়েছে, তার কারণ অসমে বিজেপির সরকার রয়েছে। বঙ্গবাসীর উদ্দেশ্য, মমতার বার্তা আপনারা শুধু ভোটার লিস্টে নামটা ঠিকঠাক করে তুলে রাখুন। তারপর দেখব বিজেপি কী করে দেশের মানুষকে বিদেশি বানায়।
মমতা বলেন, বিজেপি এমন একটা ফাঁদ পেতেছে যে, দেশের মানুষকে এরা বিদেশি বানিয়ে দেবে, তারপর নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে বলবে। এবং এদের সরকার ঠিক করবে কে নাগরিক হবে। অর্থাৎ যাদের গলায় বিজেপির মাদুলি ঝোলানো থাকবে, তারাই নাগরিক। সে হবে না। মানুষ তোমাদের অভিসন্ধি পূরণ করতে দেবে না।
মমতা বলেন, বিজেপি এমন একটা ফাঁদ পেতেছে যে, দেশের মানুষকে এরা বিদেশি বানিয়ে দেবে, তারপর নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে বলবে। এবং এদের সরকার ঠিক করবে কে নাগরিক হবে। অর্থাৎ যাদের গলায় বিজেপির মাদুলি ঝোলানো থাকবে, তারাই নাগরিক। সে হবে না। মানুষ তোমাদের অভিসন্ধি পূরণ করতে দেবে না।
বাংলার সরকার মানুষের পাশে রয়েছে। বিজেপির অপচেষ্টা রুখবই আমরা। মানুষ সঙ্গে থাকলে, মোদী-শাহদের ক্ষমতা নেই অধিকার কেড়ে নেওয়ার। অধিকার কেড়ে নিতে দিচ্ছি না দেব না। আমাদের অধিকার আমাদেরই থাকবে। বিজেপিকেই বিদায় নিতে হবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.