Header Ads

হৈমন্তিক নবান্ন অগ্রহায়ণে !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়ঃ

এবারে ১১, ১৪ ও ১৭-ই অগ্রহায়ণ পালিত হবে নবান্ন উৎসব। কাকতালীয়ভাবেই আমার জন্ম হয়েছিল নবান্নোর দিন সকাল ন’টা নাগাদ। এর জন্যেই কিনা জানি না--নবান্ন আমার অন্যতম প্রিয় উৎসব। খুব ছোটবেলা থেকেই দেখেছি--মা-ঠাকুমা-বাবার সকাল হতে না হতেই ব্যস্ততা নবান্ন’র আয়োজন নিয়ে। সকালে কম করেও ৯ রকমের ফল, গরুর দুধ, নতুন খেজুর গুড়, সুগন্ধী আতপ চাল বাটা ইত্যাদি দিয়ে এক স্বর্গীয় স্বাদের খাদ্য বস্তু তৈরি করে গৃহদেবতাকে নিবেদন করতে। আমরা ছোটরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতাম--কতক্ষণে পুজো শেষ হবে ! মধ্যাহ্নে দেবতার অন্নভোগ হত নতুন সুগন্ধী চাল দিয়ে। সঙ্গে থাকত নতুন চালের পায়েস নতুন গুড় দিয়ে। নানান সুস্বাদু ব্যঞ্জনাদিও থাকত ! ঐ সব স্বপ্নমাখা দিনগুলো এখন ভীষণভাবে ‘মিস’ করি--ঐসব উৎসব অনুষ্ঠান থেকে বহু দূরে আমার বসবাস। 

এখন এই নবান্ন উৎসব মূলতঃ টিকে আছে কৃষিপ্রধান এলাকাগুলোতে, বিশেষ করে রাঢ়বাংলায়। শহুরে বাংলার ছেলেপিলেরা প্রায় কেউ জানে না নবান্ন খায় না মাথায় মাখে !
যাইহোক, নবান্ন হলো ঋতু কেন্দ্রীক একটি উৎসব, হেমন্তে নতুন ফসল ঘরে তোলার সময় যে উৎসব পালন করা হয়। শব্দটি একটি সন্ধিজাত শব্দ, ভাঙলে হয়- নব+অন্ন = নবান্ন। অর্থাৎ ‘নতুন অন্ন’। অভিধান মতে-‘দুধ, গুড়, নারকেল, কলা সহ সাধারণতঃ নয়টি ফলের সঙ্গে নতুন আতপ চাল খাওয়ার উৎসব বিশেষ--হৈমন্তী ধান কাটার পর অগ্রহায়ণ মাসে অনুষ্ঠিত একটি উৎসব।’ এক কথায় বলতে গেলে, নবান্ন হলো নতুন ধান কেটে ঘরেতোলার উৎসব।
আগে অবশ্য এই উৎসবের আরো অনেকগুলো উদ্দেশ্য ছিলো--তখন এই উৎসবে বেশি শস্য পাওয়ার জন্য প্রর্থনা করা হতো, সন্তানের মঙ্গল, সুখী সমৃদ্ধ জীবন, বৃষ্টি-- এসব কামনা করা হতো। কিন্তু এখন তো এটা বাঙালির অন্যতম প্রধান উৎসবগুলোরই একটি হয়ে গেছে। আর এই উৎসবটি হয় বাংলা পঞ্জিকার, মানে বাংলা ক্যালেন্ডারের অগ্রহায়ণ মাসে।

‘অগ্র’ মানে প্রথম আর ‘হায়ণ’ মানে হলো মাস। অর্থাৎ অগ্রহায়ণ হলো বছরের প্রথম মাস। তার মানে নিশ্চয়ই এক সময় এই অগ্রহায়ণ মাসই ছিলো বাংলা বছরের প্রথম মাস। তখন সম্ভবত, কৃষির ভিত্তিতে, মানে ফসল কাটার উপর ভিত্তি করেই মাস গণনা করা হতো। আমাদের আদিপুরুষ অস্ট্রিক বা ভেড্ডীরা। আর এই অঞ্চলে কৃষিকাজের সূচনাও হয়েছিলো ওদের হাত ধরেই। আর এই নবান্ন উৎসবও যে ওরাই শুরু করেছিলো, তারও যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে।
আমাদের নবান্ন উৎসব কিন্তু বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসবগুলোর মতোই প্রাচীন। আমাদের এই উপমহাদেশের মানুষ সবার প্রথমে ছিলো হিন্দু আর বৌদ্ধ। আর এই দুই ধর্মেই কিন্তু নবান্ন উৎসবের কথা আছে। বৌদ্ধ ভিক্ষুরা তো এ সময়ে চীবর দান করেই। আর হিন্দুদের যে পবিত্র গ্রন্থ--বেদ, তার ঋগ্বেদ অংশেও নবান্ন উৎসবের কথা বলা হয়েছে। তার মানে এসব ধর্মগুলো যখন আমাদের উপমহাদেশের মানুষ গ্রহণ করলো, সেই সময়ে, কিংবা তারও আগে থেকে এখানকার মানুষ নবান্ন উৎসব পালন করে।

শুধু আমরাই না, আমাদের দেশের যে আদিবাসীরা আছে, সাঁওতাল, গারো, চাকমা, মারমা, তঞ্চংগা, মুরং বা ম্রো আরো কতো কতো সুন্দর সুন্দর নামের আদিবাসীরা থাকে আমাদের দেশে, ওরাও কিন্তু আমাদের সাথে সাথেই নবান্ন উৎসব পালন করে। নবান্নতে সবচেয়ে মজা করে সাঁওতালরা। ওরা রীতিমতো সাত দিন সাত রাত ধরে আনন্দ করে। ওদের এই উৎসবকে বলা হয় ‘সোহরায়’ উৎসব। আবার গারোরা নবান্নকে বলে ‘ওয়ানগাল্লা’। ম্রোরা বলে ‘চামোইনাত’। এই চামোইনাতে ওরা মুরগি বলি দিয়ে নতুন ধানের ভাত দিয়ে সবাইকে আপ্যায়ন করে। আর উসুই’রা ওদের অন্নদাত্রী দেবী লক্ষ্মীকে স্বাগত জানিয়ে ‘মাইলোকমা’ উৎসব পালন করে।
আমাদের দেশে নানা ধর্মের নানা বর্ণের লোকের বসবাস। লোকেরা নানান ধর্মে বিশ্বাসী হলেও, সবাই-ই কিন্তু নবান্ন উৎসব পালন করতো। আর করবে না-ই বা কেন, নবান্ন যে একেবারে আমাদের দেশীয় উৎসব ! তবে হিন্দু-মুসলমান ভেদে নবান্নের কিছু রীতি আবার ভিন্ন। যেমন, হিন্দুরা নবান্নের দিন পূর্বপুরুষদের আত্মার কল্যাণ কামনায় নতুন ফসলের পায়েস, ভাত আরো নানা মজার মজার খাবার-দাবার তৈরি করে সেগুলো দেবতাদের অর্ঘ্য হিসেবে নিবেদন করে। হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী, এতে পূর্বপুরুষদের কল্যাণ হয়।
আবার মুসলমানেরা নতুন চালের পায়েস রান্না করে মসজিদে কিংবা মাজারে শিন্নি দেয়। আবার এখনো অনেক জায়গায় হিন্দু-মুসলমান দুই সম্প্রদায়ের লোকেরাই ধানের প্রথম গোছাটি ঘরের প্রবেশমুখে ঝুলিয়ে দেয়। এখন থেকে দেড়শো বছর আগে যে লাঙলের চারদিকে ধান ছড়িয়ে দিয়ে মানুষ আনন্দ-নৃত্যে মেতে উঠতো, সে-ও এখনো অনেক গ্রামে দেখা যায়।
দীনেন্দ্রনাথ রায় তাঁর ‘পল্লীবৈচিত্র্য’ বইতে লিখেছেন, “বঙ্গের অধিকাংশ পল্লীতেই নবান্ন অগ্রহায়ণ মাসের একটি আনন্দপূর্ণ প্রয়োজনীয় গার্হস্থ্য উৎসব। পল্লীবাসিগণ পিতৃপুরুষ ও দেবগণের উদ্দেশে নতুন চাউল উৎসর্গ না করিয়া স্বয়ং (নিজেরা) তাহা গ্রহণ করেন না। ... ... ... এমন কি অনেক প্রবাসীও (বাসা থেকে দূরে আছে যারা) এই উপলে (উপলক্ষে বা উৎসবে) প্রবাস হইতে গৃহে সমবেত হইয়া আত্বীয়স্বজনগণের সহিত মিলিয়া নবান্ন করিতেছেন এই দৃশ্য পূর্বে আমাদের পল্লী অঞ্চলে বিরল ছিল না।”
বোঝাই যাচ্ছে, আগে এই নবান্ন গ্রামবাংলার মানুষের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা উৎসব ছিলো। আর তাই তো এখন যেমন আমরা নানান পুজো-উৎসবে শহর থেকে গ্রামে আত্মীয়-স্বজনের মাঝে গিয়ে সবাই মিলে আনন্দ-উৎসব করি, তারাও নবান্নে সেরকম করতো। মোদ্দা কথা হলো, নবান্ন ছিলো গ্রামের মানুষের ফসলের উৎসব। আর সেই উৎসবে সবাই মিলে খুব আনন্দ করতো। আর শুধু আগে ছিলো বলছি কেনো, এখনো তো নবান্ন তা-ই আছে।
দেশে দেশে নবান্ন---
এই উৎসব শুধু আমাদের দেশেই হয় না, বিশ্বের নানা দেশেই এই নবান্ন উৎসব হয়। চীনে নবান্ন হয় রীতিমতো আয়োজন করে। ওদের নবান্ন উৎসবের নাম ‘চুং চু’ই’। ইংরেজিতে আবার এটার একটা গালভরা নামও দেয়া হয়েছে--অগাস্ট মুন ফেস্টিভাল। সাধারণত বছরের ৮ম মাসের ১৫ তারিখে পালিত হয় ওদের নবান্ন। সেদিন ওরা আপেল ও পাই দিয়ে এক বিশেষ কেক তৈরি করে। আর শুধু কেক বানালেই হয় না, সেই কেকটি আবার অবশ্যই পূর্ণিমার চাঁদের মতো গোলাকার আর হলদে হতে হয়। প্রত্যেক কেকের উপরে আবার খরগোশের ছবিও থাকা চাই। চাইনিজদের কাছে খরগোশের ছবি মানে পূর্ণচন্দ ! হিম হিম ঠাণ্ডায় কোনো এক চাঁদনি রাতে ওরা নবান্ন পালন করে। আর সেদিন পরিবারের সবাই একসাথে হয়ে নতুন ফসল দিয়ে বানানো হরেক রকমের খাবার-দাবার খায়। শুধু খায়-ই না, সেগুলো আবার আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতেও পাঠায়। সবাই মিলে আনন্দ করতে না পারলে কি আর সেই আনন্দ পূর্ণতা পায়? আর আনন্দ-উৎসবে নাচ, গান, শিশুদের জন্য পাপেট শো সহ আরো কতো আয়োজনই যে করা হয় !
বৃটেনে আবার নবান্নের দিন চার্চ আর ঘরবাড়ি খুব সুন্দর করে সাজানো হয়। সাজানোর জন্য ওরা ফল আর খাবারের ঝুড়ি ব্যবহার করে। আর চার্চে প্রার্থনা তো করেই। নবান্নর দিনটিকে ওরা বলে ফসলের উৎসব বা ঘরে ফসল তোলার উৎসব। আর চীনাদের মতো বৃটিশরাও বেছে নেয় পূর্ণিমার রাত। সাধারণত সেপ্টেম্বর মাসের ২৩ তারিখ বা এর কাছাকাছি পূর্ণিমার দিনেই ওরা নবান্ন পালন করে। আর সেদিন ওরা যে শুধু চার্চ আর ঘরবাড়ি-ই সাজায়, তা কিন্তু না। এমনকি ওরা ওদের স্কুলগুলোও সেদিন খুব সুন্দর করে সাজায়।
চীনের দক্ষিণ অঞ্চলে হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত তিব্বত। এই তিব্বতেও নবান্ন পালন করা হয় বেশ ঘটা করে। সেদিন ওখানকার কৃষকরা উৎসবের সাজে সেজে ওদের ফসলের ক্ষেতের মাঝ দিয়ে হেঁটে যায়। আর অনেক জায়গায় তো রীতিমতো নাচ-গান তারপর ঘোড়ার দৌড়, এ ধরনের মজার মজার সব আয়োজনও করা হয়।
হিমালয়ের দেশ নেপাল তো এমনিতেই দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে খুবই আকর্ষণীয়। আর এই পর্যটকদের কথা চিন্তা করে সেখানে নবান্নও খুব আড়ম্বর করে পালন করা হয়। নেপালের যে পাঁচটি বড়ো উৎসবে সরকারি ছুটি থাকে তারই একটি নবান্ন। সেদিন পাহাড়ি এই দেশটির কৃষকেরা খুব আনন্দ করে। নবান্নের রাতে ওরা সারারাত ধরে খুব প্রার্থণা করে। এই রাতকে ওরা বলে ‘কইয়াগরাত পূর্ণিমা’। ওরাও কোনো এক পূর্ণিমায় নবান্ন উৎসব করে। আর তারপরের দিনটি ওদের জন্য শুধুই
আনন্দ-উৎসবের দিন।
গ্রীকদের নবান্ন উৎসবের নাম ‘থেসমোফোরিয়া’। গ্রীকদের নবান্ন আবার চলে টানা তিন দিন। প্রথম দিনে গ্রীক নারীরা শস্যের কঞ্চি দিয়ে ঘরের চাল ছেয়ে নেয়। দ্বিতীয় দিন সবকিছু গোছগাছ করা হয়। আর তৃতীয় দিন হলো আনন্দের দিন। এদিন নতুন শস্য দিয়ে নানা রকমের খাবার আর পিঠে বানানো হয়। আর থাকে নানান ফল। সেই সঙ্গে এদিন ওরা নানা উপহারসামগ্রীও তৈরী করে।
রোমানদের নবান্ন উৎসবের নাম ‘সেরেলিয়া’। ওদের উৎসবটা আবার একটু ভিন্ন। ওরা ওদের দেবতা সেরেস’এর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে এই উৎসব পালন করে। প্রতি বছর অক্টোবরের ৪ তারিখ ওদের সেরেলিয়া। আর সেই উৎসবে ওরা গান গায়, নানা খেলার আয়োজন করে। আর সবার চেয়ে ওদের উৎসবটাকে ভিন্ন মাত্রায় দেয় ওদের নবান্নের প্যারেড।
প্রাচীন সভ্যতার দেশের কথা বললেই তো মনে পড়ে মিশরের নাম। নীলনদের তীরে গড়ে ওঠা তাদের সমৃদ্ধ সভ্যতায় ওদের নিজস্ব ধর্মও ছিলো। আর সেই ধর্মের ফসল আর উর্বরতার দেবতা হলেন মিন। তার সম্মানেই উদযাপিত হয় ওদের নবান্ন উৎসব। ওরা আগে বিশ্বাস করতো, দেবতা মিনের দেয়া ফসলই তাদেরকে বাঁচিয়ে রাখে। আর তারই কৃতজ্ঞতা স্বরূপ ওরা নবান্ন উৎসব পালন করতো। ভালো ফসল না হলে, আর সেই ফসল খেতে না পারলে মানুষ বাঁচবে কি করে?
কলম্বাস তো আমেরিকা আবিষ্কার করলেন। কিন্তু তিনি তো তখনো সেটা বুঝতেই পারেননি। পরে আমেরিগো ভেসপুচি-ই না বুঝলেন, কলম্বাস কী একটা কাজই না করে বসেছেন ! তিনি তাঁর দলবল নিয়ে সেখানে গিয়েছিলেন ১৬২১ সালে। গিয়ে তো তারা চাষবাস করলেন। আর সেই বছরেই এত্তো ফসল হলো, যে তা দিয়েই পরের মৌসুমও দিব্যি চলে যাবে। সে সব ফসলের মধ্যে ছিলো গম, সবজি, ফল এমনকি প্রচুর মাছও তারা পেয়েছিলো। সে বছর থেকেই তাদের গভর্নর উইলিয়াম ব্রাডফোর্ড সকলকে নিয়ে থ্যাংকস গিভিং ডে বা নবান্ন উৎসব উদযাপন করতে শুরু করলেন। পরে ১৭৭০ সালে জাতীয় কংগ্রেসে পাশ করে রাষ্ট্রীয়ভাবে উদযাপন করা শুরু হলো। আর ১৮৬৩ সালে বিখ্যাত প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন এই উৎসবের জন্য নির্দিষ্ট দিনক্ষণও ঠিক করে দিলেন। এরপর থেকেই নভেম্বর মাসের ৪র্থ বৃহস্পতিবার আমেরিকায় থ্যাংকস গিভিং ডে বা নবান্ন উৎসব পালন করা হয়।
ভারতে তো আবার মোটমাট রাজ্য আছে ২৯টা। সেই ২৯টা রাজ্যে আবার নানা জাতির নানা সংস্কৃতির মানুষের বসবাস। আর তাই ভারতে নবান্নও নানা নামে নানা ধরনের উদযাপিত হয়। যেমন উত্তর-পূর্ব ভারতে নবান্ন উৎসব পালিত হয় বৈশাখ মাসে। কেরালাতে এর নাম ওনাম। আবার মালয়রা মালায়াম ক্যালেন্ডারের প্রথম মাস সিঙ্গাম-এ নবান্ন উৎসব আয়োজন করে।
আবার রাশিয়ায় নবান্ন উৎসবকে বলে রদুনিৎসা। এরকম জাপান, ইরান এমনকি ইউরোপ ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশেও নবান্ন উৎসব উদযাপিত হয়। তবে এগুলোর নাম যেমন ভিন্ন, উৎসব উদযাপনের ধরনও ভিন্ন। তবে নাম আর উদযাপন যতোই ভিন্ন হোক, উৎসব তো আসলে ওই একই--নতুন ফসল ঘরে তোলার উৎসব।
প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ যেহেতু কৃষিকাজের উপর নির্ভর করে সভ্যতা গড়ে তুলেছে, কাজেই নতুন ফসল ঘরে তোলা সব জাতির সব সংস্কৃতির মানুষের জন্যই এক বিশেষ উপলক্ষ্য ছিলো। আর মানুষ তো বরাবরই বেশ আমুদে, তারা উৎসব পছন্দ করে। তো এরকম একটা উপলক্ষ্য কি আর কেউ ছেড়ে দেবে? কাজেই সারা পৃথিবীর সব জায়গাতেই নানা নামে আর নানা ঢঙে প্রচলিত হয়েছে নবান্ন উৎসব। তবে সকলের নবান্নের চেয়ে আমাদের নবান্ন উৎসবটি যেনো একটু বেশিই মিষ্টি। এ যে একেবারে আমাদের নিজেদের উৎসব !

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.