Header Ads

মহারাষ্ট্র, হরিয়ানার ফলাফল দেখে ঝাড়খণ্ড নির্বাচনে মেপে পা ফেলতে চাইছে বিজেপি

ননী গোপাল ঘোষ : ঝাড়খণ্ডে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। ২০১৪ সালে প্রবল মোদী হাওয়ায় ভর করে বিজেপি ও তার জোটসঙ্গীরা ঝাড়খণ্ডে ৮২টি আসনের মধ্যে দখল করেছিল ৪৩টি আসন। পরে ঝাড়খণ্ড বিকাশ পার্টির ৬ বিধায়কও যোগ দেন বিজেপিতে।
আপাতভাবে অনুপজাতি মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তেমন কোন অভিযোগ নেই। কিন্তু আদিবাসীদের ভোট নিয়ে স্বস্তিতে নেই বিজেপি। আদিবাসী আন্দোলনে থিতু করতে ছোটনাগপুর টেনান্সি এক্ট ও সাঁওতাল টেনান্সি এক্টে বদল করতে চেয়েছিলেন রঘুবর দাস। এর জেরে আদিবাসীদের বিরাট অংশ ক্ষুব্ধ। বিজেপির আদিবাসী মুখ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা সে সময় সঙ্গ দিয়েছিলেন রঘুবর দাসের। বিজেপি এবার রঘুবর দাসের সঙ্গে অর্জুন মুন্ডাকেও বেশি করে প্রচারে এনে আদিবাসীদের ক্ষোভকে ঠান্ডা করতে চাইছে।
মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানাতে এনআরসি, সংবিধান থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপ, এক পেনশন এক পদ নীতি, অনুপ্রবেশ সমস্যা নিয়ে জোরদার প্রচার করেছিলেন বিজেপির ছোট-মেজো-বড় সব নেতা। কিন্তু মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানার ফলাফল দেখে বিজেপির থিংক ট্যাঙ্ক বুঝতে পারছেন স্থানীয় ইস্যুকে শুধুমাত্র জাতীয়তাবাদের কড়া দাওয়াই দিয়ে ধামাচাপা দেওয়া মুশকিল।
তাই, এবার ঝাড়খণ্ডে স্থানীয় ইস্যুর উপর নির্ভর করেই ঘুঁটি সাজাতে চাইছে বিজেপি। শুধু তাই নয়, বিরোধী প্রার্থীদের মধ্যে কে, কেমন প্রার্থী, তাও উঠে আসতে পারে বিজেপির প্রচারে বলে বিজেপি সূত্রের খবর। বিজেপি বুঝতে পারছে প্রতিষ্ঠানবিরোধীতাও রয়েছে বিজেপির বিরুদ্ধে।
ঝাড়খণ্ডে বিরোধীরা ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম), লালু প্রসাদের রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) ও কংগ্রেস জোট গড়ে ধাক্কা দিতে পারে বিজেপিকে। বাম দলগুলিও সামিল হতে পারে এই জোটে। মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানার ফলাফল অনেকটাই অক্সিজেন জুগিয়েছে বিজেপি বিরোধীদের। তবে,  সব কিছুই স্পষ্ট হবে ২৩ ডিসেম্বর নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.