Header Ads

এনআরসির পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি, বললেন, ‘এটা ভবিষ্যতের জন্য খুবই দরকার”

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায় : অসমে ন্যাশানাল রেজিস্টার অফ সিটিজেনশিপ (এনআরসি) নিয়ে নানারকম আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে। আর এরই মধ্যে চীফ জাস্টিস অফ ইন্ডিয়া রঞ্জন গগৈ প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। উনি অসমে এনআরসি-র পক্ষে কথা বলেন। তাঁর মতে, এনআরসি শুধু বর্তমানের দস্তাবেজ না, ১৯ লক্ষ আর ৪০ লক্ষের ইস্যু না এনআরসি ভবিষ্যতের দস্তাবেজ। উনি বলেন, আমরা এই দস্তাবেজের মাধ্যমে ভবিষ্যতের দাবিগুলির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারি।
‘পোস্ট কলনিয়ল অসম” নামের একটি পুস্তকের লঞ্চিংয়ে চীফ জাস্টিস রঞ্জন গগৈ রবিবার বলেন, অবৈধ অনুপ্রবেশকারী আর অবৈধ নাগরিকদের সংখ্যা জানা খুব দরকার ছিল। এনআরসির মাধ্যমে কিছু এমনই করা হয়েছে। না বেশি, না কম। উনি এনআরসি ইস্যু নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু মানুষের গুজব আর ভুয়ো খবর ছড়ানো নিয়েও মুখ খোলেন। উনি বলেন, অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুল ব্যাবহার করে এই ইস্যুতে অস্পষ্ট খবর ছড়াচ্ছে। এটা নিয়ে নেগেটিভ কথা বলা হচ্ছে, তাদের ছড়ানো খবর আসল ঘটনার ঠিক উলটো।
৩১ আগস্ট ২০১৯ এ জারি করা অসম এনআরসি তালিকায় ১৯ লক্ষ ৬ হাজার ৬৫৭ জনের নাম নেই। ওই তালিকায় ৩ কোটি ১১ লক্ষ ২১ হাজার ৪ জনের নাম যুক্ত করা হয়েছে। অসমে এনআরসি লিস্টে নাম না থাকা মানুষদের ৩১ আগস্ট থেকে ১২০ দিনের সময় দেওয়া হয়েছে নাগরিকতা প্রমাণ করার জন্য। আর এর জন্য ২০০টি নতুন ট্রাইব্যুনাল খোলা হয়েছে। তাঁরা সেখানে স্বছন্দে আবেদন করতে পারবেন।
বিদেশ মন্ত্রালয়ের তরফ থেকে বলা হয়েছিল যে, এনআরসি ফাইনাল লিস্টে নাম না থাকা অসমের নাগরিকদের অধিকারে কোন প্রভাব পরবেনা। ফাইনাল লিস্টের বাইরে থাকা মানুষদের গ্রেফতার করা হবেনা। আইনের মাধ্যমে সমস্ত রকম উপায় ব্যাবহার করা পর্যন্ত, তাঁদের অধিকার আগের মতই বজায় থাকবে। এনআরসি ২৪ মার্চ ১৯৭১ অথবা তাঁর আগে থেকে অসমে থাকা বাস্তবিক ভারতীয় নাগরিকদের চিহ্নিত করার জন্য করা হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.