শিলচর-সৌরাষ্ট্র ইষ্ট-ওয়েষ্ট করিডরের ভূতাত্বিক জরিপে ডিমা হাসাওয়ে জাপানিজ বিশেষজ্ঞ
বিপ্লব দেব, হাফলংঃ অস্ট্রেলিয়ার বিশেষজ্ঞ দলের পর এবার শিলচর-সৌরাষ্ট্র ইষ্ট-ওয়েষ্ট করিডোরের এএস ২১ প্যাকেজের জাটিঙ্গা থেকে হারাঙ্গাজাও পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার অংশ পরিদর্শন করে জাপানের একটি বিশেষজ্ঞ দল। বুধবার লামডিং থেকে হারাঙ্গাজাও পর্যন্ত অংশের লাংটিং-কালাচান্দ হাতিখালি-লাংটিং মাহুর-জাটিঙ্গা ও জাটিঙ্গা-হারাঙ্গাজাও পর্যন্ত ধস বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করে মাটির গুনগত মান পরীক্ষা করে। এবং সঙ্গে মাটির নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। এর আগেও একবার জাটিঙ্গা থেকে হারাঙ্গাজাও অংশ পরিদর্শন করে যায় অস্ট্রেলিয়ার একটি বিশেষজ্ঞ দল।
অষ্ট্রেলিয়ার ওই বিশেষজ্ঞ দল ঘুরে গিয়ে যে প্রতিবেদন জমা দিয়েছিল এতে দেখা যায় জাটিঙ্গা থেকে হারাঙ্গাজাও পর্যন্ত যে অংশ দিয়ে মহাসড়ক নির্মান কাজ চলছিল সেই অংশের মাটির গুনগত মান নিম্নমানের এবং সেই অংশে রয়েছে ভূতাত্বিক সমস্যা। যার দরুন অস্ট্রেলিয়ার ওই বিশেষজ্ঞ দল তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছিল যে জাটিঙ্গা নদীর ডান দিক দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করার কথা জানিয়েছিল। সেইমত ডিপিআর প্রস্তুতির কাজ ও চলছিল কিন্তু এবার জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ অস্ট্রেলিয়ার এই বিশেষজ্ঞ দলের জরিপ হিমঘরে পাঠিয়ে দিয়ে এবার জাপানের বিশেষজ্ঞ দলকে নিয়ে এসেছে জরিপের জন্য।
এবার জাপানিজ এই বিশেষজ্ঞ দল পুনরায় জরিপ করার পর আবার নতুন করে ডিপিআর তৈরী করা হবে। তবে তা দীর্ঘমেয়াদী কাজ। আজ জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের গুয়াহাটি কার্যালয়ের সিজিএম অলোক কুমার ও জাপানের বিশেষজ্ঞ দল সম্প্রতি ভেঙ্গে পরা হাতিখালি-লাংটি লাংটিং-কালাচান্দ এবং দীর্ঘদিন থেকে বিপর্যস্ত হয়ে পড়া মাহুর-জাটিঙ্গা অংশ ও জাটিঙ্গা-হারাঙ্গাজাও অংশের ভূতাত্বিক জরিপ করার পাশাপাশি মাটির নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যায়।
১৯৯৮ সালে শিলচর-সৌরাষ্ট্র ইষ্ট-ওয়েষ্ট করিডর নির্মান কাজের শিলান্যাস হওয়ার পর ২১ বছর অতিক্রম হয়ে যাওয়ার পর ও এখন পর্যন্ত প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর স্বপ্নের ইষ্ট-ওয়েষ্ট নির্মান কাজ আজ পর্যন্ত সম্পূর্ণ হয়নি একমাত্র রাইটস নামের একটি সংস্থার ভূল ভূতাত্বিক জরিপের জন্য এমনই অভিযোগ সর্বত্র। তবে এবার জাপান থেকে আসা বিশেষজ্ঞ দল ভূতাত্বিক জরিপ করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পরই আবার নতুন করে ডিপিআর প্রস্তুতের কাজ শুরু হবে এমনটাই জানা গিয়েছে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ সুত্রে। উল্লেখ্য কিছুদিন আগে হাতিখালি-লাংটিংয়ের মধ্যবর্তী স্থানে বৃষ্টির জেরে মহাসড়কের প্রায় ২০০ মিটার সড়ক ভেঙ্গে চৌচির হয়ে যায় তার আগে একই ভাবে লাংটিং ও কালাচান্দের মধ্যে রাস্তা ভেঙ্গে পড়ে। তাছাড়া মাহুর থেকে জাটিঙ্গা ও জাটিঙ্গা থেকে হারাঙ্গাজাও অংশ দীর্ঘদিন থেকে বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। মাহুর থেকে জাটিঙ্গা অংশের সড়ক নির্মানের দায়িত্বে থাকা এনকেসি নির্মান সংস্থা ভূতাত্বিক সমস্যায় পড়ে কাজ ছেড়ে দিয়ে চলে যায় অন্যদিকে জাটিঙ্গা-হারাঙ্গাজাও অংশে রাস্তা নির্মানের কাজে থাকা জেকেএম ইনফ্রা নির্মান সংস্থাকে ২০১৬ সালে কালো তালিকাভুক্ত করে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ।
কোন মন্তব্য নেই