Header Ads

রাজ্যের ডিটেনশন ক্যাম্পগুলিতে ২৮ জনের মৃত্যু, ১,১৩,৭৩৮ জন ‘ডি’ ভােটার



অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি
 রাজ্যের ডিটেনশন ক্যাম্পগুলিতে ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এবং ৬ টি ডিটেনশন ক্যাম্পে ৯৫৭ জন আছে। আজ বিধানসভায় প্রশ্নোত্তরপর্বেমুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনােয়ালের পক্ষে পরিষদীয় ও শিল্প বাণিজ্যমন্ত্রী চন্দ্রমােহন পাটোয়ারী এক প্রশ্নের জবাবে একথা জানান। এআইইউডিএফের সদস্য আমিনুল ইসলাম ও অগপ’র উৎপল দত্তের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, যােরহাট জেলে ১ জন, তেজপুরে ৯ জন, শিলচরে ৩ জন, কোকরাঝাড়ে ২ জন এবং গােয়ালপাড়া জেলে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি জানান, ছয়টি ডিটেনশন ক্যাম্পের মধ্যে সব থেকে বেশি বিদেশির সংখ্যা হচ্ছে তেজপুরে। সেখানে ৩১০ জন বিদেশি আছেন। যােরহাটে আছে ১৯১ জন। ডিব্রুগড়ে ৪০ জন। শিলচরে ৭১ জন। কোকরাঝাড়ে ১২৮ জন এবং গােয়ালপাড়ায় ২১৭ জন। সর্বমােট ৯৯৭ জন। যারা তিন বছরের বেশি বন্দি জীবন কাটাচ্ছেন তাদের ছেড়ে দেবার জন্য হাইকোর্ট নির্দেশ জারি করেছে। ইতিমধ্যে ৭৩ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এবং আরও ১৩ জনকে মুক্তি দেওয়ার যাবতীয় প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে। দুর্গা ভূমিজের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ডিটেনশন ক্যাম্পে ঘােষিত বিদেশিদেরই রাখা হয়। দুর্গা ভূমিজ প্রশ্ন করেছিলেন, ডিটেনশন ক্যাম্পে মৃত্যু হওয়া ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে কি না? জবাবে মন্ত্রী জানান, সে ধরনের কোনাে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা নেই। তিনি জানান, গােয়ালপাড়া সীমান্ত পুলিশের তথ্য মতে, গােয়ালপাড়া বিদেশি ট্রাইব্যুনাল ১২ জন চা জনগােষ্ঠীর মানুষকে বিদেশি বলে ঘােষণা করেছে। আমিনুল ইসলামের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী পাটোয়ারী জানান, বিদেশি ট্রাইব্যুনালগুলিতে ২২১ জন সদস্যকে সরকার নিয়মনীতি মেনে নিযুক্তি দিয়েছে। এআইইউডিএফের রফিকুল ইসলামের এক প্রশ্নের জবাবে জানান, ২০১৯ সালের ৩১ মে পর্যন্ত বিদেশি ট্রাইব্যুনালগুলিতে ১৫৮,৫৮,৫৫৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযােগ দায়ের করা হয়েছে, তা । এখন নিষ্পত্তিহীন অবস্থায় হয়ে আছে। এবং রাজ্যে ১,১৩,৭৩৮ জনকে ‘ডি’তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ২০১৬ থেকে ২০১৯ এর ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত বিদেশি ট্রাইব্যুনালগুলিতে চলতি মামলার মধ্যে ১,১৬,৫৯০টি মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। এবং তার মধ্যে ৪১,৪০০ জনকে ভারতীয় ও ৫৫,৬৭৯ জনকে বিদেশি হিসাবে ঘােষণা করা হয়েছে। ছয়টি ডিটেনশন ক্যাম্পে ২০১৯ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বন্দিদের রাখার জন্য মােট ৪,৪৭,০৬,০৪৯ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। তিনি জানান, বর্তমানে গােয়ালপাড়া জেলার মাটিয়াতে একটি ডিটেনশন ক্যাম্প নির্মাণ করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আলােচনাক্রমে এই ক্যাম্প নির্মাণের প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়েছে। এখনও কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমােদন পাওয়া যায়নি। মৃণাল শইকিয়ার এক প্রশ্নের জবাবে জানান, পাকিস্তানের লান্ধি জেলে বন্দি গােলাঘাটের মেরাপানির সীমান্ত শইকিয়ার মুক্তির জন্য কেন্দ্রীয় সরকার পাকিস্তানের সঙ্গে যােগাযােগ রক্ষা করে চলেছে। এ সম্পর্কে কোনাে নির্দিষ্ট খবর পাওয়া যায়নি।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.