কামাতাপূর রাজ্যের দাবি থেকে কোচ রাজবংশী ছাত্র সংস্থা সরে আসবে না ,দাবি আদায় করবেই বলে জানালেন হিতেস্বর বর্মন
বা দিক থেকে দিসপুর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কুঞ্জ মোহন রায়,মাঝে হিতেস্বর বর্মন ও ডানদিকে দিসপুর প্রেস ক্লাবের উপদেষ্টা অমল গুপ্ত।
অমল গুপ্ত ,গুয়াহাটি
উত্তরবঙ্গের কোচবিহার,জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, উত্তর দিনাজপুর এবং অসমের বঙ্গাইগাঁও, ধুবরী, কোকড়াঝার, বরপেটা, নলবাড়ী প্রভৃতি জেলাকে নিয়ে প্রায় ৫০, ৬০ লাখ কোচ রাজবংশী সম্প্রদায়ের মানুষের নিজস্ব রাজনৈতিক অধিকার, নিজস্ব ভাষা , কৃষ্টি রক্ষা করতে পৃথক কামতপুর রাজ্য গঠনের দাবি থেকে কোচরাজবংশী ছাত্র সন্থা এক চুলও সরে আসেনি। তারা দাবি আদায় করবেই। আজ দিসপুর প্রেসক্লাবে কোচ রাজবংশী ছাত্র সংস্থার মুখ্য উপদেস্টা হিতেস্বর বর্মন দৃঢ়তার সঙ্গে এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, বি পি এফ প্রধান হাগ্রামা মহিলারি, সাংসদ নব সরনিয়া কোনও ফ্যাক্টর নয়, অবড়ো জনগোষ্ঠীর সন্মিলিত ঐক্যমঞ্চ যে প্রস্তাব গ্রহণ করবে তাই হবে। এবার পরিবর্তন চেয়েছে , পরিবর্তন হবেই। তিনি অভিযোগ করেন, বি টি সি এলাকার কোচ রাজবংশীর নিজস্ব কৃষ্টি, ঐতিহাসিক সব স্থান ,পরম্পরা সব ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে, কোচ রাজবংশী জনগোষ্ঠীর ভূমির অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ১৯৫২ সালে দীপেন্দ্র নারায়ণ রায়, প্রথম বিধায়ক, শরৎ চন্দ্র সিনহা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কোচ রাজবংশী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি ছিলেন। কোচবিহারের কোচ রাজা নর নারায়ণ , বীর চিলা রায় শ্রীমন্ত শঙ্কর দেব কে মর্য্যদা প্রদান করেছিলেন। কিন্তু আজ বীর চিলা রায়কে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না, অবহেলা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন কোচ রাজবংশী নেতা হিতেস্বর বর্মন। তিনি অভিযোগ করেন, বিজেপি সরকার কোচ রাজ বংশী জনগোষ্ঠী কে উপজাতি গোষ্ঠী হিসাবে স্বীকৃতি দেবার জন্যে তিন তিন বার অর্ধ্যাদেশ জারি করে ছিলেন, কিন্তু পরে তা খারিজ হয়ে যায়। প্রধানমন্ত্রী অসমে এসে আশ্বাস দিয়েছিলেন কোচ রাজ বংশী সহ ৬ জনগোষ্ঠী কে উপজাতি স্ট্যাটাস দেওয়া হবে। মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা কে চেয়ারম্যান নিযুক্ত করে এক কমিটি গঠন করে দিয়ে ছিল। কিন্তু আজও কিছুই হলো না। বিজেপি র মিথ্যা আশ্বাস এর উপর তাদের আর বিশ্বাস নেই এই মন্তব্য করে বর্মন বলেন, আগামী ২৩ ,২৪ নভেম্বর টংলা তে কোচ রাজবংশী ছাত্র সন্থার প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে আন্দোলন কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। তিনি অভিযোগ করেন কোচ রাজ বংশী জনগোষ্ঠী ভারতীয় নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও প্রায় ৫০ হাজার মানুষের নাম এন আর সি তালিকা থেকে চক্রান্ত করে বাদ দেওয়া হয়েছে।নিরুবালা রায় কে ডিটেনশন ক্যাম্প এ পাঠানো হয়েছিল। সব দিক থেকে কোচ রাজ বংশী সম্প্রদায় এর মানুষ কে বঞ্চিত করা হয়েছে, বিজেপি র উপর আর বিশ্বাস নেই। আগামী নির্বাচনে তার উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।
কোন মন্তব্য নেই