চলে গেলেন নবনীতাদি--আমার অন্যতম প্রিয় লেখিকা !
 বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়
চলে গেলেন নবনীতাদি--আমার অন্যতম প্রিয় লেখিকা ! আশাপূর্ণা দেবী, 
মহাশ্বেতাদি’র পর বাংলা সাহিত্যে শূন্যতার পরিধি অনেকটাই বাড়িয়ে গেলেন 
নবনীতা দেবসেন। বাংলা সাহিত্যে শক্তিশালী লেখিকা ঊনবিংশ শতক থেকেই আমরা 
পেয়ে এসেছি। 
সময়ের প্রেক্ষাপটে ভয়ঙ্কর সব প্রতিবন্ধকতাকে সরিয়ে তাঁদের 
অবিস্মরণীয় বহু সৃষ্টির সঙ্গেই বাংলা সাহিত্য রসিকজন পরিচিত হয়েছেন। নবনীতা 
দেবসেন গোটা বিশ্বকেই কলমের ডগায় যেভাবে তুলে এনেছেন--তুলে আনার প্রয়াস 
পেয়েছেন তার তুলনা বাংলাসাহিত্যে বিরল। তাঁর কলমেও আশ্চর্য্য যাদু ছিল। বহু
 ভাষা জানতেন তিনি--সে কারণেই হয়তো বহু বিচিত্র মানুষকে নিজস্ব 
দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখার সহজাত ক্ষমতা তৈরি হয়েছিল তাঁর মধ্যে। অসাধরণ সব রচনার
 সঙ্গে আমার পরিচয় ঘটেছে বহু আগেই। এই মুহূর্তে তাঁর যেসব রচনার কথা আমার 
মনে পড়ছে--ন.ব-নী.তা (সাহিত্য অকাদেমি/১৯৯৯), হে পূর্ণ তব চরণের কাছে, 
পাড়ি, নাট্যারম্ভ, একটা দুপুর, শব্দ পড়ে টাপুর টুপুর, নটী নবনীতা, 
দ্বিরাগমন, ঠিকানা, সীতা থেকে শুরু, আমি অনুপম, ভালোবাসার বারন্দা, ট্রাক 
বাহনে ম্যকমাহনে (একটা অসাধরণ রচনা), আমি যাবই যাব পেরু, ভালবাসা কারে কয়, 
অ্যালবাট্রস ইত্যাদি ছাড়াও কিশোর সাহিত্য, রম্যসাহিত্য, ভ্রমণসাহিত্যে তাঁর
 অনায়াস বিচরণ মুগ্ধ করে নি এমন বাঙালি পাঠক বোধহয় খুবই কম পাওয়া যাবে। 
বার তিনেকের বেশি তাঁর মুখোমুখি কথা বলার সুযোগ আমার হয় নি। কিন্তু ঐ সংক্ষিপ্ত আলাপচারিতাই তাঁর স্বজন নির্মাণের সাবলীলতা বুঝতে আমার অন্ততঃ অসুবিধে হয় নি। সত্যি ই একটা বড় মাপের শূন্যতা তৈরি হল বাংলাসাহিত্য জগতে।
গভীর শ্রদ্ধা জানাই আপনাকে--আপনার কাঙ্ক্ষিত লোকে আপনি ভাল থাকুন দিদি !
বার তিনেকের বেশি তাঁর মুখোমুখি কথা বলার সুযোগ আমার হয় নি। কিন্তু ঐ সংক্ষিপ্ত আলাপচারিতাই তাঁর স্বজন নির্মাণের সাবলীলতা বুঝতে আমার অন্ততঃ অসুবিধে হয় নি। সত্যি ই একটা বড় মাপের শূন্যতা তৈরি হল বাংলাসাহিত্য জগতে।
গভীর শ্রদ্ধা জানাই আপনাকে--আপনার কাঙ্ক্ষিত লোকে আপনি ভাল থাকুন দিদি !
 









 
   
   
 
 
 
 
কোন মন্তব্য নেই