অযোধ্যা নিয়ে এএসআইয়ের রিপোর্ট ছাপা হবে বইয়ের আকারে, জানালেন সংস্কৃতি মন্ত্রী
বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায় : অযোধ্যার রায়দানের পর আর্কিওলজিকাল সার্ভে অব ইন্ডিয়াকে ধন্যবাদ জানালেন কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী প্রহ্লাদ প্যাটেল। তিনি জানিয়েছেন, রিপোর্ট এএসআই তৈরি করেছে তা বইয়ের আকারে জনগণের জ্ঞাতার্থে প্রকাশ করা হবে। অযোধ্যার রায়দান শোনার পর নিজের বাসভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে একথা বলেন তিনি।
অযোধ্যা রায়দানে বড় ভূমিকা রয়েছে আর্কিওলজিকাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার রিপোর্ট-এর। এই রোপোর্টই উল্লেখ করে ফাঁকা জমিতে মসজিদ নির্মাণ হয়নি। মসজিদের ভিতের নীচে রয়েছে প্রাচীন স্থাপত্য। সেই স্থাপত্যে ইসলামিক সংস্কৃতির কোনও চিহ্ন নেই। এর থেকেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে বাবরি মসজিদ সেখানে আগে থেকে ছিল না। পরে নির্মাণ করা হয়েছিল। যদিও রায় দানের সময় শীর্ষ আদালত বারবারই জানিয়েছে, কোনও ধর্ম বিশ্বাসের উপর প্রভাবিত হয়ে এই রায়দান করা হয়নি। 
২০০৩ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশে বাবরি মসজিদের কাছে খনন কাজ শুরু করে আর্কিওলজিকাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া। সেই খনন কাজের পুরো রিপোর্ট আদালতে পেশ করে এএসআই। সেই ঐতিহাসিক বিস্তারিত রিপোর্ট জনগণকে জানানোর জন্য বই আকারে প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী। 
তিনি বলেন, এএসআইয়ের রিপোর্টেই জানা গিয়েছিল বাবরি মসজিদের থেকে বেশি প্রাচীন রামের মন্দির। ১০ শতকে তৈরি হয়েছিল রাম মন্দির। আর বাবরি মসজিদ তৈরি হয়ে ১৬ শতকে। স্থাপত্যের নমুনা পরীক্ষা করে বিস্তািরত রিপোর্ট তৈরি করেছিল এএসআই। যার প্রশংসা করেছে শীর্ষ আদালতও। 
এএসআইয়ের যে দল অযোধ্যায় খনন কাজ চালিয়েছিলেন তার নেতৃত্বে ছিলেন বুদ্ধ রশ্মী মণি। তিনি জানিয়েছেন একবার এএসআইয়ের রিপোর্ট বইয়ের আকারে প্রকাশ্যে এলেই দেশবাসীর কাছে স্পষ্ট হয়ে যাবে তাঁদের গবেষণা। তিনি জানিয়েছেন বাবরি মসজিদের নীচে একটা নয় তিনটি মন্দিরের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে। যদিও এএসআইয়ের এই রিপোর্টকে একপেশে এবং সঙ্ঘের প্রভাবে তৈরি করা বলে অভিযোগ করেছে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড।
 









 
   
   
 
 
 
 
কোন মন্তব্য নেই