Header Ads

ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত আদালতের : অযোধ্যায় হবে রাম মন্দির, মুসলিমদের দেওয়া হবে আলাদা জমি !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়
প্রায় ৫০০ বছর অপেক্ষার পর এবার অযোধ্যা বিতর্কের অবসান ঘটল। সুপ্রিম কোর্টে ৭০ বছর ধরে আইনি বিষয়ে জড়িত এই মামলা খুবই সংবেদনশীল ছিল। যার জন্য দেশের প্রশাসন ব্যাবস্থায় কড়া সতর্কতা রাখতে হয়েছে। রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও সামাজিকভাবে সংবেদনশীল এই মামলায় ৪০ দিনের ম্যারাথন শুনানির পরে ১৬ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট রায় সংরক্ষণ করেছিল। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি এস এ ববদে, ডিওয়াই চন্দ্রচুড়, অশোক ভূষণ ও এস আবদুল নাজিরের সংবিধান বেঞ্চ সকাল সাড়ে দশটা থেকে তাদের রায় পড়া শুরু করেছিলেন।

সর্বসম্মতভাবে পাঁচ বিচারক শিয়া ওয়াকফ বোর্ডের দাবি খারিজ করেছেন। একই সঙ্গে নির্মোহী আখড়ার দাবিও খারিজ করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, বাবরি মসজিদ খালি জায়গায় তৈরি হয়নি। অর্থাৎ মসজিদ তৈরি করা হয়েছিল অন্য কোনো স্থাপত্য এর উপর যা দ্বাদশ শতাব্দীতে তৈরি হয়েছিল যার প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনে হিন্দু স্থাপত্যচিহ্ন যথেষ্ট পরিমাণে থাকলেও ইসলামিক স্থাপত্যের কোন চিহ্ন ছিল না। সেই স্থাপত্য যে রাম মন্দির তাও আদালত ইঙ্গিত দিয়েছে--যদিও স্পষ্ট করে নি। আদালত ASI এর খনন পরবর্তী সমীক্ষা-নমুনাকে মান্যতা দিয়েছে। ASI দাবি করেছিল যে বাবরি মসজিদের নীচে মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ ছিল।
আদালত মুসলিমদের অন্যত্র পৃথক ৫ একর জায়গা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। দুই পক্ষের মধ্যে বিবাদ যাতে না বৃদ্ধি হয় সেদিকে খেয়াল রেখে আদালত এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অন্যদিকে বিতর্কিত স্থানে যে মন্দির ছিল তার ইঙ্গিতও প্রকাশ করেছে। বিতর্কিত স্থান রামলীলা বিরাজমানের পক্ষে এসেছে। অন্যদিকে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের দাবি খারিজ হয়ে গেছে। কিন্তু মুসলিমদের মনে যাতে অসন্তোষ না তৈরি হয় তার জন্য তাদের আলাদা জমি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মন্দিরের জন্য তিন মাসের মধ্যে বিশেষ ট্রাস্ট গঠন করে তাদের মন্দির নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া
হয়েছে।।
সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত শোনানোর সময় বলা হচ্ছে,  ASI প্রমাণ করতে পারেনি যে, সেখানে হিন্দু মন্দির ছিল, পাশাপাশি সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের দাবি খারিজ করে দিয়ে বাবরি মসজিদের নীচে যা পাওয়া গেছিল সেটা ইসলামিক ছিল না বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, বাবরি মসজিদের নিচে খননে যা পাওয়া গিয়েছিল ছিল সেটা অনেক বড় স্থাপত্য ছিল আর সেটি কোনভাবেই ইসলামিক ছিল না।
সুপ্রিম কোর্ট আরও জানায়, ১৮৫৬-৫৭ সালের আগে বিতর্কিত জমিতে নিয়মিত নামাজ পড়ার কোন প্রমাণ নেই। ১৮৫৬ সালের আগেও হিন্দুরা ওই জায়গায় পুজোপাঠ করত। বাধা আসার পর হিন্দুরা বাইরে পুজো করতে বাধ্য হয়। ১৯৩৪ সালের দাঙ্গার পর মুসলিমদের দখল ছিলনা ওখানে এবং পুরাতত্ত্ববিদের প্রচুর প্রমাণ হিন্দুদের পক্ষেই গিয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.