এনআরসি ভবিষ্যতে অসমের মার্গদর্শন হবে, বিদায় বেলায় প্রতীক হাজেলা বলে গেলেন, এনআরসি সমন্বয়ক হিসাবে বিতর্কিত ব্যাক্তিত্ব হিতেশ দেব শর্মা যোগ দিলেন
অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি
আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে, রাজ্যের স্বার্থে কাজ করেছি, এনআরসি ভবিষ্যতে অসমের মার্গ দর্শন হয়ে উঠবে, এনআরসি এক স্পর্শকাতর বিষয়, এ বিষয়ে বেশি কথা বলতে চাই না। এনআরসি সমন্বয়ক প্রতীক হাজেলা আজ বিদায় বেলায় আবেগতাড়িত হয়ে এই মন্তব্য করেন। আজ গুয়াহাটি বিমানবন্দরে এনআরসি-র অফিসার কর্মচারীদের প্রতীক হাজেলা বলেন, তার জন্মভূমি মধ্যপ্রদেশ হলেও কর্মভূমি অসম, বিগত ২৩ বছর অসমের স্বার্থে কাজ করছি বলেন,আমার মেয়ে বাড়িতে অসমিয়া ভাষায় কথাবার্তা বলে, অসমকে আমি ভালোবাসি, ভালো পায়, সময় সুযোগ পেলে আবার আসবো। এন আর সি-র সমন্বয়কের পদ থেকে রিলিজ পাওয়ার পর আজ ডেপুটেশনে চাকরিতে যোগ দিতে তার কর্মস্থল মধ্যপ্রদেশ গেলেন।
১৯৮৯ ব্যাচের এসিএস অফিসার হিতেশ দেব শর্মা প্ৰতীক হাজেলার স্থলাভিষিক্ত হবেন। প্রতীক হাজেলা তৃতীয় শক্তির হাতের পুতুল হয়ে রাজ্যের স্থায়ী নাগরিক ভাষিক ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু বাঙালিদের বিরুদ্ধে কাজ করেছেন, ১৯৬৫, ১৯৬৬ সালে বা তারও আগে আসা মানুষদের রিফিউজি সার্টিফিকেটও খারিজ করে দেওয়ার ফলে এনআরসি থেকে নামছুট ১৯ লাখ মানুষের মধ্যে প্রায় ১৪ লাখ রিফিউজি বাঙালি বলে বিভিন্ন সূত্রে প্রকাশ। হিতেশ দেব শর্মা একজন সরকারি আমলা হলেও তার ফেসবুকের টাইমলাইনে অনেক বিতর্কিত মন্তব্য খুঁজে পাওয়া গেছে। তিনি আসুর এবং আসাম চুক্তির বিরোধিতা করে লিখেছিলেন, সংবিধান অবমাননা করে আসাম চুক্তির ফলে ৫০ লাখের বেশি পূর্ব পাকিস্তানের মানুষকে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি মূলত দেশ বিভাজনের বলে এদেশে আশ্রয় নেওয়া বাঙালি হিন্দুদের টার্গেট করেছেন। তার হাত ধরে অসমে এনআরসি ছুট ৫০, ৬০ বছর ধরে অসমে বসবাস করা বাঙালি রিফিউজিদের ভাগ্য সুনিশ্চিত হবে তো?
কোন মন্তব্য নেই