Header Ads

সাইক্লোন ‘বুলবুলে’র গতিপ্রকৃতি ভয় ধরাচ্ছে, ‘মহাবিপদে’র সতর্কতা জারি বাংলাদেশেও !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়
আরও শক্তি বাড়িয়ে সন্ধ্যের মধ্যেই বংলার উপকূলে আছড়ে পড়বে সাইক্লোন 'বুলবুল'। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে এই ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের জেরে প্রবল ঝড়-বৃষ্টি হবে। বাংলার উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে সতর্ক বার্তা জারি করেছে হাওয়া অফিস। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে 'বুলবুল' ভয়াবহ রূপ নেবে উপকূলে।
‘বুলবুল' বঙ্গোপসাগরের উপর সাগরদ্বীপের কাছেই অবস্থান করছে। তা ঘণ্টায় ১৫ কিলোমিটার বেগে এগিয়ে আসছে উপকূলের দিকে। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে সমুদ্রে ক্রমশই শক্তি বাড়াচ্ছে বুলবুল। আলিপুর হাওয়া অফিসের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস জানিয়েছেন, ‘বুলবুল' ১৩৫ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়তে পারে বাংলার উপকূলে।

‘আয়লা'র পর ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবল' সরাসরি বাংলা উপকূলে আছড়ে পড়তে চলেছে। এর ফলে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন উপকূলবর্তী এলাকায় প্রভূত ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ‘বুলবুলে'র হানার আতঙ্কে ত্রস্ত বাংলার উপকূলবর্তী জেলা দুই ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর। এই বুলবুল ফের ১০ বছর আগের ‘আয়লা'র স্মৃতি উসকে দিয়েছে।
আলিপুর হাওয়া অফিসের তরফে আরও জানানো হয়েছে, রবিবার সকালেই বাংলাদেশের দিকে ঘুরে যাবে এই ঘূর্ণিঝড়। দুপুরের পর থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হবে। রবিবার দুপুর পর্যন্ত ঝোড়ো বাতাস বইবে সঙ্গে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিও হবে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলরে
জেরে।
শুধু বাংলা নয়, বাংলাদেশও 'বুলবুলে'র প্রকোপে মহাবিপদের মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এবার 'বুলুবুলে'র আতঙ্কে কাঁপছে বাংলাদেশ। এর আগে 'ফণী'র শক্তি 'বুলুবলে'র থেকে অনেক বেশি ছিল, তা সত্ত্বেও বাংলাদেশ এতটা উদ্বিগ্ন হয়নি, যতটা হয়েছে এবার। আসলে 'বুলবুলে'র গতিপ্রকৃতিই এবার ভাবাচ্ছে বাংলাদেশকে। যেমন ভাবাচ্ছে বাংলাকেও।
বাংলাদেশ ‘মহাবিপদে'র সতর্কতা জারি করেছে। শনিবার বাংলায় তাণ্ডব চালানোর পর রবিবার বাংলাদেশে প্রবেশ করবে। স্থলভাগে দীর্ঘ সময় ধরে অবস্থান করার জন্য, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাখ্যা করেছে, এটি ১০ ধাপ অতিক্রম করে ১১ ধাপে পৌঁছে গিয়েছে, যা মহাবিপদের সংকেত দেয়।
‘বুলবুলে'র জেরে চট্টগ্রাম থেকে খুলনা, ১৩টি জেলায় প্রবল প্রাকৃতিক দুর্যোগ চলছে। বাংলাদেশের আবহাওয়া দফতর সতর্কতা জারির পর নৌ পরিবহণমন্ত্রক ‘মহাবিপদে'র সংকেত দিয়েছে। নদী ও সমুদ্র বন্দরগুলিতে ১১ নম্বর সংকেত অর্থাৎ মহাবিপদ সংকেত দেখানো হয়েছে। আর পার্শ্ববর্তী ৯টি জেলা জারি করা হয়েছে ১০ নম্বর বিপদসংকেত।
বাংলাদেশের তরফে নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, এই মহাবিপদ সংকেত মানে তিনটি লাল পতাকা ওড়ানো। আর এর মাধ্যমে বোঝানো হয় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আবহাওয়া দুর্যোগপূর্ণ থাকবে। ঘূর্ণিঝড়টি ওই এলাকার উপর দিয়ে বয়ে যাবে। এর ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল' প্রথমে আছড়ে পড়বে সুন্দরবনে। তারপর তা গতি হারিয়ে চট্টগ্রামের দিকে ধেয়ে যাবে। এপার বাংলা ও ওপার বাংলার সুন্দরবনেই এই ঘূর্ণিঝড় ধাক্কা খাবে। ফলে শক্তি হারাবে ঠিকই। কিন্তু স্থলভাবে দীর্ঘসময় অবস্থান করবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.