Header Ads

শরদ পাওয়ারের এনসিপি কি বিভক্ত হচ্ছে ? জল্পনা উঠেছে তা নিয়েই

 নয়া ঠাহর ওয়েব ডেস্কঃ
শনিবার সকালে যা হল, ভারতীয় রাজনীতিতে তা বছরের বিস্ময়! লোকসভা ভোটে নরেন্দ্র মোদীর একাই তিনশ পার হওয়াতেও সম্ভবত এত বিস্মিত অনেকে হননি। এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ারের সমর্থন নিয়ে মহারাষ্ট্রে রাতারাতি ফের মুখ্যমন্ত্রী হয়ে গেলেন বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। ঘুম থেকে উঠে কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাঁদের অভিনন্দনও জানিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ।


বিস্ময়ের ব‍্যাপার হল, এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার দাবি করলেন, তিনি এসবের কিছুই জানতেন না। অজিত পাওয়ারের সিদ্ধান্ত তাঁর ব্যক্তিগত, এনসিপির সিদ্ধান্ত নয়।
এখন বড় প্রশ্ন হল, এনসিপি কি তা হলে ভেঙে যাচ্ছে? শরদ পাওয়ারের দলের একাংশ ভেঙে নিয়ে চলে যাবেন অজিত পাওয়ার? বাস্তবিকই মহা সন্ধিক্ষণে মহারাষ্ট্র। গত বিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে রাজনীতিতে যাঁরা বিপরীত মেরুতে বাস করেছেন, সেই কংগ্রেস, এনসিপি সরকার গড়তে চলেছিল শিবসেনার সঙ্গে। এখন আবার অজিত পাওয়ার হাত মেলালেন অমিত শাহের সঙ্গে। যে অমিত শাহ ভোট প্রচারে বলেছিলেন, অজিত দুর্নীতি কাণ্ডে জেলে যাবেন।

মহারাষ্ট্র বিধানসভা ভোটে এ বার এনসিপি ৫৪ টি আসনে জিতেছে। সে ক্ষেত্রে অজিত পাওয়ার ও শরদ পাওয়ার বিজেপিকে সমর্থনের প্রশ্নে যদি ঐক্যমত্য না হন, তা হলে অজিতকে দল ভাঙতেই হবে। দলত্যাগ বিরোধী আইন অনুযায়ী সেই পরিস্থিতিতে ৫৪ জন বিধায়কের মধ্যে দুই তৃতীয়াংশ অর্থাৎ ৩৬ জন বিধায়ককে অন্তত নিয়ে বেরোতে হবে অজিতকে। তার থেকে কম বিধায়ক তাঁর সঙ্গে থাকলে এবং দলবিরোধী কাজ করলে তাঁদের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিও উঠতে পারে।
রাজনীতির কুশীলবরা বলছেন, খেলাটা আসলে সহজ নয়। বরং খুবই জটিল। এখানে খেলার মধ্যেও খেলা থাকতে পারে। অজিতের সঙ্গে যে বিধায়করা রয়েছেন, তাঁদের বিধায়ক পদ খারিজ হলে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ম্যাজিক সংখ্যাও সমানুপাতে কমে যাবে সাময়িক ভাবে। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে, ধরা যাক অজিতের সঙ্গে কুড়ি জন বিধায়ক রয়েছেন। তাঁরা দলবিরোধী কাজ করায় এবং দলের হুইপ না মানায় বিধায়ক পদ খারিজ হল। মানে ২৮৮ আসনের মহারাষ্ট্র বিধানসভায় তখন বর্তমান বিধায়কের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াবে ২৬৮-তে। সেই পরিস্থিতিতে সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য আর ১৪৫ জন বিধায়কের সমর্থন লাগবে না। ১৩৫ জন বিধায়কের সমর্থন পেলেই হল।

মহারাষ্ট্রে এবারের ভোটে ১০৫ টি আসনে জিতেছে বিজেপি। ফলে সরকার গঠনের জন্য তাদের আর চল্লিশ জন বিধায়কের সমর্থন দরকার ছিল। অজিত পাওয়ার ৩৬ জন বিধায়ককে তাঁর সঙ্গে ধরে রাখতে পারলে কোনও চিন্তাই নেই অমিত শাহদের। তা না পারলে তখন এইসব অঙ্কের খেলা হবে। ফলে নাটক অনেক বাকি রয়ে গেল মহারাষ্ট্রে।





কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.