Header Ads

গোরক্ষার জন্য বিগত ২৭ মাস ধরে দেশের প্রতিটি শহর আর গ্রামে ঘুরছেন এই মুসলিম যুবক

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায় : সাধারণভাবে দেশে গোহত্যার জন্য মুসলিমদের দায়ি করা হয়ে থাকে। কিন্তু এই দেশে এমনও এক মুসলিম আছেন, যিনি গোরক্ষার জন্য গোটা দেশ সফরে বেরিয়েছেন। ফৈজ খান নামের এই গোরক্ষক দাবি করেন, ইসলামেও গরুর মহত্ব স্বীকার করা হয়েছে। আর মুঘল বাদশাহ-এর আমল থেকে গরুদের আইনি সংরক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। গো-রক্ষা ভাবনা যাত্রায় মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলার সময় ইসলামে গরুর গুরুত্ব নিয়ে কথা বলেন তিনি।
অনেকেই ফৈজ খানকে হিন্দুত্ববাদি বলে মানেন, কিন্তু তিনি ধর্মীয় বিশ্বাসে পুরোপুরি মুসলিম। আর গোমাতার প্রতি ওর ভালোবাসা এতটাই যে, বড় বড় গোরক্ষক ওর সামনে দাঁড়াতে পারছে না ! শুধুমাত্র গরু রক্ষা করার সংকল্প নিয়েই ফৈজ খান বিগত ২৭ মাস ধরে দেশের প্রতিটি শহর, গ্রাম এলাকায় যাচ্ছেন। ওর সংস্পর্শে আসা ব্যাক্তি হিন্দু হোক আর মুসলিম, তার কিছু যায় আসেনা। উনি সবাইকে গরুর প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব জানিয়ে তাঁদের গোরক্ষা করার ব্যাপারে সক্রিয় করে তোলার চেষ্টা করছেন।
ফৈজ জানান যে, গরুর সেবা করার কথা উনি ইসলাম থেকেই জেনেছেন। কুরানের উল্লেখ করে উনি বলেন, কুরানের একটি গোটা অধ্যায় গোরুর সম্পর্কেই লেখা হয়েছে। কুরআনে সুরা-এ-বকর নামের একটি অধ্যায়ে গরুর গুরুত্ব জানানো হয়েছে। 
উনি বলেন, ওই অধ্যায় অনুযায়ী, পয়গম্বর মুহম্মদের কাছে গরুর দুধ খুব প্রিয় ছিল। ফৈজ খানের বক্তব্য অনুযায়ী, মুঘল বাদশাহ গরুর মহত্ব বুঝে দেশে গরু রক্ষার জন্য আইন বানিয়েছিলেন। খান জানান, ওনার এই যাত্রা ২৪ জুন ২০১৭ সালে লাদাখ থেকে শুরু হয়েছিল। তখন জম্মু কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা চলত। আর উনি ওই কাশ্মীরে আগামী বছরের জানুয়ারি মাসে যাত্রার সমাপ্তি করবেন !

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.