Header Ads

পুজো কেমন কাটালেন বৃদ্ধাশ্রমে থাকা লক্ষী সেন

নয়া ঠাহর প্রতিবেদন, বদরপুর : এবারের পুজো কেমন কাটল বৃদ্ধাশ্রমে থাকা লক্ষী সেনের ? তাঁর কথায় ভাল। পুজোর আগে মেজো ছেলে কৃষ্ণ এসে মা কে একখানা শাড়ি দিয়ে গেছে আর বৃদ্ধাশ্রমের সম্পাদক সাদিক আর সুফিয়ান তাকে  সপ্তমিতে পূজা প্যাণ্ডেলে নিয়ে মা দূর্গার মুখ দেখিয়ে নিয়ে এসেছে। শুক্রবার গুয়াহাটি থেকে স্টেট লিগ্যাল সেলের হয়ে করিগঞ্জের বারইগ্রাম  ' সপ্তবর্ণ ' বৃদ্ধাশ্রমে ঠাঁই পাওয়া লক্ষী সেনের বর্তমান অবস্থা দেখতে এসেছিলেন গৌতম পাটিকর ও দেবযানি পাটিকর। বৃদ্ধাশ্রম কর্তৃপক্ষ তাদের সাধ্যমত  দেখাশোনা করলেও সন্তানদের এই অবহেলা মানতে পারছেন না  লক্ষী। একটা অব্যক্ত ব্যথা কুরেকুরে খাচ্ছে তাকে। দিন দিন শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। প্রতি দিনই আশা করেন এই বুঝি ছেলে মেয়েরা তাকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে এল। ডিস্টিক্ট লিগ্যাল সেলের পক্ষ থেকে তার ছেলেদের উপর মামলা  হয়েছে। মাঝে তিন ছেলে শঙ্কর, কৃষ্ণ আর দিলীপ সেন মিলে তাকে মাসোহারা বাবদ ছয় হাজার টাকা দেওয়ার কথা হলেও কেউ একটা পয়সাও দেয়নি। 
পুজোর আগে দুই মেয়ে দু দিনের জন্য মাকে তাদের বাড়িতে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু লিগ্যাল সেল তাদের প্রস্তাব পত্রপাঠ খারিজ করে। সেলের বক্তব্য নিলে সারা জীবনের জন্য নিতে হবে। এভাবে দুদিনের জন্য অনুমতি দেওয়া যাবেনা। তাঁদের সঙ্গে এতদিন লক্ষীর হয়ে লড়াই চালিয়ে যাওয়া বদরপুরের মহিলা জাগরণ সমিতির সভানেত্রী শাশ্বতী চক্রবর্তী, সম্পাদিকা সুমালা দাস সহ অন্যরাও ছিলেন। উল্লেখ্য, গত ২১ জুন লক্ষীকে মারধোর করে ছেলেরা বাড়ি থেকে বের করে বদরপুর স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে ছেড়ে যায়।সেখান থেকে ২৪ জুন তাঁর ঠাই হয় বারইগ্রাম বৃদ্ধাশ্রমে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.