Header Ads

মমতা-মোদী হাইভোল্টেজ বৈঠক এবার কলকাতায়, তিক্ততা সরিয়ে নয়া সমীকরণের জল্পনা

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায় : লোকসভা ভোট থেকেই রাজ্য-কেন্দ্রের মধ্যে তিক্ততার সম্পর্ক মাত্রা ছাড়িয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী আর মুখ্যমন্ত্রী মমতার মুখ দেখাদেখি পর্যন্ত ছিল না। সেই তিক্ততার খানিক অবসান ঘটেছে দিল্লিতে দুই নেতা-নেত্রীর বৈঠকের পর। এবার কলকাতায় মোদী-মমতা বৈঠকের তোড়জোড় শুরু হয়েছে। এখন থেকেই এই হাইভোল্টেজ বৈঠকের সম্ভাবনা নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা।
হঠাৎ করেই এই বৈঠকের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তবে এখনও চূড়ান্ত নয় সূচি, সংকেত মিলেছে মোদী-মমতা বৈঠকের। আগামী ৫ নভেম্বর কলকাতা বন্দরের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আসার কথা নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে। সেদিনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হতে পারে।
বঙ্গ বিজেপির তরফে এমন বৈঠক বা প্রধানমন্ত্রীর কলকাতায় আসার ব্যাপার নিয়ে কোনও খবর নেই। এদিকে পোর্ট ট্রাস্টের এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রীর দফতর এখনও সবুজ সংকেত দেয়নি এই ব্যাপারে। ওইদিন কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের ১৫০ বছর উপলক্ষে অনুষ্ঠান রয়েছে।
কেন্দ্রীয় জাহাজমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য কলকাতায় এসেছেন। তিনি পোর্ট ট্রাস্টের সঙ্গে বৈঠক করবেন। তারপরই প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠান সূচী স্থির হবে। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের সঙ্গে আলোচনা করেই চূড়ান্ত হবে প্রধানমন্ত্রীর কলকাতা সফর। এই সফরেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ফের সাক্ষাৎ হতে পারে প্রধানমন্ত্রীর। তাঁদের মধ্যে কথাও হতে পারে।
উল্লেখ্য, নভেম্বর মাসেই প্রধানমন্ত্রী তিনবার কলকাতায় আসতে চলেছেন। পোর্ট ট্রাস্টের অনুষ্ঠান ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কলকাতা সফরে আসার কথা ১১ নভেম্বর শান্তিনিকেতনের সমাবর্তনে আর ২২ নভেম্বর ইডেনে। এখন এই তিন সফর সূচিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী অবস্থান নেন সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। কেননা বিগত দিল্লি সফরে মোদীর সঙ্গে বৈঠকের পর মমতার সঙ্গে তাঁর তিক্ততার সম্পর্ক কিছুটা উন্নতি হয়েছিল।
২০১৯-এ নরেন্দ্র মোদী দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে পর্যন্ত যাননি মমতা। এমনকী নীতি আয়োগের বৈঠকেও তিনি যাননি। তারপর কেন হঠাৎ করে মমতা দিল্লিতে উড়ে গেলেন মোদীর সঙ্গে দেখা করতে, তা নিয়ে বিরোধীরা কাটাছেঁড়া করতে ছাড়েনি। বিরোধীদের বাক্যবাণ থেকে নিস্তার পাননি মমতা।
বিরোধী বাম-কংগ্রেস এতদিন পর মোদীর সঙ্গে মমতার বৈঠকের মূল কারণকে সেটিং হিসেবে ব্যাখ্যা করে যাচ্ছিল। তাদের মতে সারদা মামলায় রাজীবের গ্রেফতারি সম্ভাবনায় আতঙ্কে রয়েছেন মমতা। তাই নিজেকে বাঁচাতেই তিনি গিয়েছেন দিল্লির দরবারে। অধীর চৌধুরী বলেছিলেন, এই বৈঠক আসলে মোদীর কাছে মমতার আত্মসমর্পণ। আর সুজন চক্রবর্তী বলেছিলেন, মমতা মোদীর কোমরে দড়ি পড়ানোর বার্তা দিয়েছিলেন, এবার নিজের কোমরে যাতে দড়ি না পড়ে, তার সেটিং করতে গিয়েছেন দিল্লিতে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.