Header Ads

অবশেষে স্বদেশী ছেলেরা বিদেশি বাবার মরদেহ সৎকার করল

অমল গুপ্ত, গুয়াহাটিঃ

 অবশেষে স্বদেশী ছেলেরা বিদেশি বাবার মরদেহ সৎকার করল। মুখাগ্নি করলেন বড় ছেলে আশীষ পাল। এদিন প্ৰায় ১০ কিলোমিটার রাস্তা বিদেশি দুলাল চন্দ্ৰ পালের মরদেহ নিয়ে শোক মিছিল হয়। অল ইন্ডিয়া বেঙ্গলি অৰ্গানাইজেশন দুলাল পালকে শহিদ বলে ঘোষণা করেছে। একথা জানিয়েছেন অৰ্গানাইজেশনের সাধারণ সম্পাদক মানস রায়। তবে তাঁর বিদেশি কলঙ্ক কবে ঘুচবে তা এখনও অনিশ্চিত। আদালত কবে বিদেশি দুলাল চন্দ্র পালকে স্বদেশীর ছাড় পত্র দেবে, কবে ভারতীয় নাগরিক হবেন তা অনিশ্চিত। 

এই অনিশ্চয়তার মধ্যে কেবল মাত্র মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস পেয়ে প্রায় ইচ্ছার বিরুদ্ধে দীর্ঘ ১০ দিন পর বিদেশি বাবার মরদেহ গ্রহণ করলেন স্বদেশী তিন পুত্র । আশীষ, অশোক এবং রোহিত।‘ জীবনে যারে তুমি দাওনী মালা মরণে কেন তারে দিতে গেলে ফুল..’ শোনিতপুর জেলার ঢেকিয়াজুলির কাছে বড়চোলা কেন্দ্রের অধীন আলিসিঙ্গা গ্রামে রাজকীয় মর্যাদায়, সরকারি এসকর্ট, বাইক, বিধায়কের গাড়ির কনভয় হত দরিদ্র অবহেলিত দুলাল চন্দ্র পালের ১০ দিনের পচা গলা মরদেহর জয় গান করতে করতে ধুলো ধুসরিত পথে নিয়ে যাওয়া হয়। 


দুবছরের বেশি  ডিটেনশন ক্যাম্পে ছিলেন তিনি। কেউ খবর নিতেও যায় নি। বিনা চিকিৎসায়,সরকারের চরম অবহেলায় মারা গেলেন দুলাল বাবু।   এখন কৃতিত্ব নেবার জন্যে বাঙালি সংগঠনের নেতাদের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার প্রায় কয়েক হাজার গ্রামবাসী দুলাল বাবুর মরদেহ নিয়ে মিছিল করে। বিজেপি বিধায়ক শিলাদিত্য দেব, স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক গণেশ লিম্বু,সার্কেল অফিসার সব্যসাচী কাশ্যপ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সারা অসম বাঙালী যুব ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি দীপক দে, উপদেষ্টা রক্তিম স্বামী, বিধায়ক শিলাদিত্য দেব প্রমুখরা এসকৰ্ট দিয়ে একজন বিদেশি ডিটেনশন ক্যাম্পে থাকা দুলাল চন্দ্র পালকে বেলা ১১ টা নাগাদ    ঢেকিয়াজুলি নিয়ে যান। শোনিতপুর জেলার এক ম্যাজিস্ট্রেট প্রথমে মরদেহ আনুষ্ঠানিক ভাবে গ্রহণ করে বলে ফেডারেশনের চেয়ারম্যান প্রদীপ রঞ্জন কর জানান।


কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.