দীননাথপুরে সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে স্মরণিকা উন্মোচন
বি.এম.শুক্লবৈদ্য, বিহাড়া : গড়ের ভিতর দীননাথপুর সর্বজনীন শ্রীশ্রী দূর্গা পূজা কমিটি আয়োজিত দূর্গা পূজার সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষ উপলক্ষে শুক্রবার মহাষষ্ঠির দিনে এক 'শ্রদ্ধাঞ্জলি' স্মরণিকার উন্মোচন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শিলচর গুরুচরণ কলেজের অবসর প্রাপ্ত অধ্যাপক তথা বরাক উপত্যকার বিশিষ্ট ভাষা সাহিত্যিক ড. অমলেন্দু ভট্টাচার্য। এছাড়া অন্যদের মধ্যে ছিলেন অধ্যাপক ড. কালিপদ দাস, শিক্ষাবিদ কল্যান দেশমূখ্য, রামেন্দ্র ধর, নিখিল দেব, কানাই লাল ভট্টাচার্য, মৌসম দত্ত, অরুণ কুমার নাথ, সভাপতি প্রণয় কুমার বর্মণ সহ বিশিষ্ট গুণি জনেরা। এদিন সন্ধ্যায় প্রথমে পারম্পরিক ডিমাসা গামছা দিয়ে অতিথিদের বরণ করে নেওয়া হয়। তারপর ফিতা কেটে শুভ উদ্ভোদন করা হয় পূজা মণ্ডপের।
এরপর শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান। এতে উপস্থিত ড.অমলেন্দু ভট্টাচার্য সহ অন্য বিশিষ্ট অতিথিদের শ্রীহস্তে উন্মোচিত হয় সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে প্রকাশিত স্মরণিকা 'শ্রদ্ধাঞ্জলি'। স্মরণিকাটি উৎসর্গ করা হয় পঞ্চাস বৎসর পূর্বে পূজার সূচনা করা ব্যক্তিবর্গকে। স্মরণিকাটি সম্পাদনা করেন কল্যান দেশমূখ্য। এতে রয়েছে ড.অমলেন্দু ভট্টাচার্যের 'হেড়ম্ব রাজ পরিবারের দূর্গোৎসব' শির্ষক রচনা সহ অনেক তথ্য বহুল চরনা, ছোটগল্প, কবিতা ও সমসাময়িক রচনা। এটি পাঠক কুলকে তৃপ্ত করবে আশা প্রকাশকদের। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড.অমলেন্দু ভট্টাচার্য বলেন, মহারাজ গোবিন্দ চন্দ্র খুবই সাড়ম্বরে দূর্গা পূজা করতেন। সেকালের নিদর্শন থেকে পাওয়া তথ্য মতে রাজবাড়ীর দূর্গোৎসবের ব্যয় ছিল ৪২৫০ টাকা। যা বর্তমানে চার কোটিরও বেশি হবে। প্রসঙ্গ ক্রমে তিনি কছারি রাজার অমলে নির্মিত বিহাড়া ব্রাহ্মণ গ্রামের দশভূজা মন্দিরের কথাও তুলে ধরেন। পরে চন্দ্রনাথপুর এম.ই.স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা প্লাস্টিক মুক্তির আহ্বান জানিয়ে একটি নাটক পরিবেশন করে। অনুষ্ঠানের শেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন পূজা কমিটির সম্পাদক পুলক কুমার দে। অনুষ্ঠন পরিচালনা করেন সুদীপ কুমার দে।
কোন মন্তব্য নেই