Header Ads

কার সঙ্গে রফা করে বিদেশি তকমা যুক্ত দুলাল পালের পরিবারের ইচ্ছার বিরুদ্ধে নিয়ে যাওয়া হল মৃতদেহ, প্ৰশ্ন ঘুরছে সৰ্বত্ৰ

 নয়া ঠাহর প্ৰতিবেদন, গুয়াহাটিঃ

সূত্রপাত কংগ্রেস সরকারের আমলে ডি ভোটারের বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়, নথিপত্র পরীক্ষা না করে ভারতীয় নাগরিককে বিদেশি সাজিয়ে ডিটেনশন  ক্যাম্পে ঠেলে দেওয়া হয়। বর্তমানে বিজেপি সরকারের আমলে তা চূড়ান্ত রূপ নিয়েছে। সীমা ছাড়িয়ে গেছে। হিন্দুত্ত্ববাদী বিজেপি হিন্দু বাঙালিদের যে ভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে তার উজ্জ্বল উদাহরণ শোনিতপুর জেলার ঢেকিয়াজুলির আলিসিঙ্গা গ্রামের হত দরিদ্র দুলাল চন্দ্র পালের পরিবার। 


তিন পুত্র  আশীষ, অশোক ও রোহিত বিদেশির কলঙ্ক থাকা বাবা দুলাল চন্দ্র পালের মরদেহ গ্রহণ করবে না তা এক প্রকার নিশ্চিত ছিল। দুই মন্ত্রী পরিমল শুক্ল বৈদ্য এবং রঞ্জিত দত্তকে পৰ্যন্ত তাদের ঘরের দুয়ার থেকে ছেলেরা ফিরিয়ে দেয়। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করার পর সারা অসম যুব ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি দীপক দে সহ ফেডারেশনের স্থানীয় নেতা বিপ্লব দে ও অন্যান্যদের সামনে আশীষরা সরাসরি বলে দেন দুলাল চন্দ্র পালকে স্বদেশী ঘোষণা ছাড়া মরদেহ গ্রহণ করবে না। 

গ্রামবাসীও পাশে দাঁড়ায়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে অন্য রাস্তা ধরে, তাদের ওপর নানাভাবে চাপ সৃষ্টি শুরু হয়। ভয় দেখানো হয় বাবার মরদেহ গ্রহণ না করলে এনআরসি থেকে নাম কেটে বিদেশি বানিয়ে দেওয়া হবে। এই পরিস্থিতির খবর নিতে গত ১৯ তারিখে ফেডারেশনের অন্য গোষ্ঠীর সভাপতি কমল চৌধুরী, উৎপল সরকার এবং মহানন্দ সরকার দত্ত সেখানে গেলে দীপক দে গোষ্ঠীর বিপ্লব দে ও অন্যান্যেরা বাধা দেয়, হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে, আশীষ পালের সঙ্গে কথা বলতে দেয় নি। দুটি টি ভি চ্যানেলের সামনে কিছু বলতে চেয়েছিলেন,  আশীষ পালদের ঘরে ঢুকিয়ে বলা হয় দীপক দে র নির্দেশ ছাড়া বাইরের কারো সঙ্গে কথা বলা যাবে না। আজ  কমল চৌধুরী এই অভিযোগ করে বলেন, এর মধ্যে কোনও রহস্য আছে। বলেন, মরদেহ শোনিতপুর নিয়ে যাবার সময় কেবল ট্যাগে লেখা হয় শোনিতপুর হবে মৃতদেহের সঙ্গে কে বিদেশি কে স্বদেশীর সম্পর্কই নেই। অথচ এক সংবাদপত্রে মিথ্যা কথা লেখা হলো ঢাকায় নয়, শোনিতপুর ঘর। বিদেশি তকমা থাকা দুলাল চন্দ্র পাল কে স্বদেশী বানাতে সরকারকে অনেক কাঠ খড় পোড়াতে হবে। 

ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অজয় ভূষণ সরকার বলেন, দুলাল চন্দ্র পালের পরিবারের ওপর নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করা হয়। বিধায়ক শিলাদিত্য দেব, দীপক দে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাম বাড়াবার জন্যে পাল পরিবারকে রীতিমতো ভয় দেখিয়ে একপক্ষ ভাবে মরদেহ গ্রামে নিয়ে গেছে। ছেলেরা একবারও আসেনি। দুলাল চন্দ্র প্যালের প্রতি সরকারের চরম অবহেলা, অপরদিকে দেশ বিদেশের সংবাদমাধ্যম প্রতিদিন খবরটি গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ করছিল, বিজেপি সরকারের ভাব মূর্তিও ম্লান হচ্ছিল, শেষ পৰ্যন্ত এক রফা হয়, কি সেই রফা? আশীষ পালের ওপর কি ধরনের চাপ ছিল, আশীষের এক কাতর বার্তা স্পষ্ট হয়েছে লিখছেন-‘‘দাদা কি করি বলো? সবাই বোলতাছে যদি    ডেড বডি না নেই তাইলে পরে কিচ্ছু হইলে ওরা আমাদের সঙ্গে থাকবে না। আমি গো দাদা বুইজা পাইতিছি না, মাথা ছাতা খারাপ হইয়া গেইছে।’’

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.