Header Ads

৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকে কাশ্মীরে ৩০৬টি পাথর ছোঁড়ার ঘটনা ঘটেছে, জানুন আসল সত্য !

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায় : মাস দুয়েক আগে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ৩৭০ ও ৩৫এ ধারা তুলে দেয় কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার। জম্মু কাশ্মীরকে দ্বিখণ্ডিত করে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভেঙে দেওয়া হয়। একদিকে জম্মু-কাশ্মীর ও অন্যদিকে লাদাখ। তারপর থেকে কাশ্মীর কার্যত স্তব্ধ হয়ে রয়েছে। স্বাভাবিক জীবনযাপন কার্যত স্তব্ধ। তবে জানা গিয়েছে, ধারা বাতিলের পর গত দুই মাসে কাশ্মীরে ৩০৬টি পাথর ছোঁড়ার ঘটনা ঘটেছে।
নিরাপত্তা বাহিনীর গোপন নথিতে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানা গিয়েছে বলে সর্বভারতীয় সংবাদ গোষ্ঠীর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এই পাথর ছোঁড়ার ঘটনায় প্রায় শ’খানেক নিরাপত্তা রক্ষী বাহিনীর জওয়ান আহত হয়েছেন। তার মধ্যে ৮৯ জন আধা সেনা বলে খবর। কাশ্মীরের প্রশাসন এতদিন দাবি করে এসেছে, বিচ্ছিন্ন কিছু পাথর ছোঁড়ার ঘটনা ছাড়া কাশ্মীর শান্ত রয়েছে। এছাড়া ২০১৯ সালের প্রথম ছয় মাসে মাত্র ৪০টি পাথর ছোঁড়ার ঘটনা ঘটেছে।
কাশ্মীরকে দ্বিখণ্ডিত করার আগে কয়েক হাজার সেনা পাঠানো হয়েছিল। তারা কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। তারপর দিল্লির সংসদে কাশ্মীর ভাগের পরিকল্পনা জানানো হয়। তারপর গত দুই মাস ধরে কার্যত জনজীবন স্তব্ধ হয়ে রয়েছে। প্রায় ৪ হাজার জনকে আটক রাখা হয়েছে।
এর পাশাপাশি কাশ্মীরের বড় সবকটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছেন ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা তথা কাশ্মীরের প্রাক্তন দুই মুখ্যমন্ত্রী ফারুক ও ওমর আবদুল্লা। এছাড়াও রয়েছেন পিডিপি নেত্রী তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি।
সরকারি রেকর্ড বলছে, গত দুই মাসে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে পাঁচবার এনকাউন্টার হয়েছে, দুজন নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ান মারা গিয়েছেন। আহত হয়েছেন ৯ জন। এছাড়াও পুলিশের কয়েকজন আহত হয়েছেন। মোট ১০ জন জঙ্গিকে নিকেশ করা গিয়েছে বলেও রিপোর্টে বলা হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.