Header Ads

বাঙালি সংগঠনের প্রতিনিধিরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সন্তোষ প্রকাশ করেন

অমল গুপ্ত

অসমের ভাষিক এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘু মানুষের সঙ্গে নেপালি, কোচ রাজবংশী, হাজং প্রভৃতি ভূমিপুত্র ও এনআরসি-র চূড়ান্ত তালিকায় নাম ছুট ব্যক্তিরা ভয় ও আতঙ্কের মধ্যে আছেন। নামছুট ব্যক্তিদের কেন নাম কাটা পড়েছে তার কারণ জানিয়ে প্রত্যেকের কাছে এনআরসি কর্তৃপক্ষ   রিজেকসন লেটার পাঠাবে। এই লেটার পাঠানোর দিন থেকে ১২০ দিন সময়ের মধ্যে বিদেশি ট্রাইব্যুনালের কাছে আবেদন করতে হবে। বিদেশি ট্রাইবুন্যাল সেই আবেদন খারিজ করলে, হাইকোর্ট যেতে পারবে, সেখানে খারিজ হলে সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হতে পারবে আবেদনকারীরা যারা দীর্ঘ সময়, নাম ছুট ব্যক্তিরা ভয় ও আতঙ্কের মধ্যেই থাকবেন, স্বস্তি পাবেন না।

এই দীর্ঘ সময় যে মানসিক যন্ত্রনা ভোগ করবে, জীবন শেষ করে দেবে, তার দায়িত্ব কি কেন্দ্র সরকার, রাজ্য সরকার বা এনআরসি কর্তৃপক্ষ নেবে? এই তীব্র মানসিক যন্ত্রণা কি টাকার বিনিময়ে মাপা যায়? আজ মুখ্যমন্ত্রী  সর্বানন্দ সনোয়ালের সঙ্গে সারা অসম বাঙালি যুব ছাত্র ফেডারেশনের প্রতিনিধিরা মিলিত হয়ে এনআরসি উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। এবং স্মারকপত্র দেন। মুখ্যমন্ত্রী জানান, আগামী ১ নভেম্বরে থেকে এনআরসি কর্তৃপক্ষ রিজেকশন লেটার দিতে শুরু করবে। এনআরসি সমন্বয়ক  প্রতীক হাজেলা আজও রাজ্য সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন না, এমন কি সুপ্রিমকোর্টকেও অন্ধকারে রাখা হয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রী ঘনিষ্ঠ মহলে অভিযোগ করেছেন। আজ মুখ্যমন্ত্রী পুনরায় আশ্বাস দিয়ে বলেছেন,বাঙলি হিন্দুদের ভয়ের কোনও কারণ নেই। তাদের রক্ষা করার দায়িত্ব বিজেপি সরকারের। তিনি বলেন- নামছুট ব্যক্তিদের আইনের সহায়তা দেবে সরকার। বাড়ির কাছে বিদেশি ট্ৰাইবুনালগুলি বসানো হয়েছে। ফেডারেশনের পক্ষে কমল চৌধরী, মহানন্দ সরকার দত্ত, উৎপল সরকার, সুদীপ শর্মা চৌধুরী প্রমুখ ছাড়াও গৌড়ীয় মঠ, বেঙ্গলি উন্নয়ন সমাজ, বিবেকানন্দ সেবা সমিতি প্রভৃতি সংগঠনের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। সরকারের পক্ষে মিডিয়া উপদেষ্টা ঋষিকেশ গোস্বামী, আইনি উপদেষ্টা শান্তনু ভরালি, স্বরাষ্ট্র বিভাগের অফিসার কুমার সঞ্জয় কৃষ্ণ, মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান সচিব সঞ্জয় লোহিয়া,সচিব রঞ্জন চক্রবর্তী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এদিনের  প্রতিনিধিরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বলে জানা গেছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.