Header Ads

বিপদের নাম বিজেপি, সোমেনের চা-চক্রে বিমান-সূর্যরা বিধানভবনে, গাঁটছড়া বাঁধতে এগলেন আরও এক ধাপ !

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায় : ঊনিশের লড়াই শেষ, এখন একুশের লক্ষ্যে তাল ঠুকতে শুরু করেছে সব রাজনৈতিক দলই। শাসক তৃণমূল থেকে শুরু করে চ্যালেঞ্জার বিজেপি কেউ বসে নেই। বসে নেই বাম-কংগ্রেসও। রাজ্যে বড় বিপদ বিজেপি ও তৃণমূলকে রুখতে জোট গড়েই চমক দিতে চায় বাম-কংগ্রেস নেতৃত্ব।
রাজ্যে বড় বিপদ হয়ে দেখা দিতে চলেছে বিজেপি। তারপর ক্ষমতায় রয়েছে তৃণমূল। দুই শক্তিধর প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য জোট গড়তে আরও এক পা এগলো বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস। সেই জোট প্রক্রিয়ায় আর কোনও ফাঁক রাখতে চান না বাম-কংগ্রেস নেতৃত্ব। তাই কংগ্রেসের আমন্ত্রণ ফেরাতে পারলেন না, প্রদেশ কংগ্রেস অফিসে হাজির হলেন বামনেতারা।
গান্ধীজির জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে বিধানভবনে গিয়ে সোমেন মিত্রের চা-চক্রে অংশ নেন বিমান বসু-সূর্যকান্ত মিশ্ররা। বিজেপি ও তৃণমূলকে আটকাতে প্রথম প্রদেশ কংগ্রেস অফিসে গিয়ে বাম নেতৃত্ব একযোগে জোটের বার্তা দিল। রাজনৈতিক মহল এই ঘটনাকে জোট গড়ার লক্ষ্যে আরও একধাপ বলে বর্ণনা করছে।
সম্প্রতি কংগ্রেস ও সিপিএম সিদ্ধান্ত নিয়েছে উপনির্বাচনগুলিতে একসঙ্গে লড়াইয়ের। বিজেপি ও তৃণমূলকে হারাতে সবকটি উপনির্বাচনেই জোট প্রার্থী দাঁড় করিয়েছেন তাঁরা। তারপর কলরকাতা পুরসভা নির্বাচনেও জোট গড়ে লড়াই করতে তারা উৎসুক। সেই কথাবার্তাও চলছে। আর মহাল্য অবশ্যই ২০২১।
বিমান বসু বলেন, দেশকে বাঁচাতে একসঙ্গে লড়ার সময় হয়েছে। শুধু সিপিএম নয়, অন্যান্য বাম শরিকরাও বিধানভবনে গিয়েছিলেন। সেখানে কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে সাক্ষাতের পাশাপাশি তাঁরাও একসঙ্গে চলার বার্তা দেন। এমনকি হাত ধরতে যে বাম শরিকের সবথেকে বেশি আপত্তি ছিল, সেই ফরওয়ার্ড ব্লকও এদিন স্বীকার করে নেন একসঙ্গে চলাটা জরুরি।
আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের নেতাদের প্রদেশ কংগ্রেসের অফিসে উপস্থিতি এদিন বাংলার রাজনীতিতে অন্য মাত্রা এনে দিল। এককালে যাঁর ছিল প্রবল প্রতিপক্ষ, তাঁরাই এখন অস্তিত্বের লড়াইয়ে হাত ধরে চলতে চাইছে। চাইছে একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করে বিজেপি ও তৃণমূলকে যোগ্য জবাব দিতে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.