বৈষ্ণ দেবী মন্দিরে জনতার হাতে মার খেতে খেতে বাঁচলেন পাকিস্তান প্রেমী কংগ্রেসি নেতা নবজ্যোত সিং সিধু
বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায় : একদা বিজেপি করতেন নবজ্যোত সিং সিধু তখন ওনার কাছে কংগ্রেস নেতা তথা গান্ধী পরিবারের অন্যতম সদস্য রাহুল গান্ধীর পরিচয় ছিল ‘পাপ্পু” নামে। আর ইউপিএ চেয়ারপার্সন সনিয়া গান্ধী ছিলেন ‘করাপশন মাতা”। এরপর সময় বদলাল, উনি বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে গিয়ে যোগ দিলেন। আর তখন থেকে লাগাতার বিজেপির উপর ঝাঁঝালো আক্রমণ করে বিজেপিকে পাঞ্জাব ছাড়া করতে উঠেপড়ে লেগেছিলেন। পেয়েছিলেন মন্ত্রিত্ব, কিন্তু ভাগ্যের পরিহাসে সিধু এখন কংগ্রেসও ছাড়তে পারছে না, আবার বিজেপিতেও যেতে পারছে না। এমনকি ওনার উল্টোপাল্টা মন্তব্যের জেরে টিভি শো গুলোতেও কাজ হারিয়েছেন তিনি। এছাড়াও এখন ক্রিকেটের কমেন্ট্রিতেও সুযোগ পান না।
পাঞ্জাবে মন্ত্রিত্ব পাওয়ার কয়েকমাস পরেই পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে শুরু হয় মতানৈক্য। এমনকি এক সময় মন্ত্রিত্ব চলে যাওয়ারও আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল। এরপর ফেব্রুয়ারি মাসের ১৪ ফেব্রুয়ারি জম্মু কাশ্মীরের পুলওয়ামায় পাকিস্তান সমর্থিত জঙ্গি সংগঠন জইশ এ মোহম্মদ এর জঙ্গি হামলার পর গোটা দেশ সিধুর বিরুদ্ধে ক্ষেপে ওঠে। সেই সময় সিধু পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের নিরীহ দেশ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন।
এমনকি পুলওয়ামা হামলার পর ভারতীয় সেনার পালটা আক্রমণে বালাকোটে থাকা জঙ্গি ঘাঁটি গুলো যখন ধ্বংস হয় তখন এই সিধুই ভারতীয় সেনার পরাক্রমের উপর সন্দেহ করে বালাকোটে এয়ার স্ট্রাইকের প্রমাণ চেয়ে বসেছিলেন। এইসব কিছু ঘটনার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘বয়কট সিধু’ নামে অভিযান চালানো হয়, আর এরপর সনি টিভির কমেডি শো থেকে বাদ পড়ে সিধুর নাম। এমনকি তারপর থেকে তাঁকে কোন ক্রিকেট ম্যাচের কমেন্ট্রি করতেও দেখা যায়নি আর।
এবার আবারও শিরোনামে নবজ্যোত সিং সিধু। এবার তিনি বৈষ্ণ দেবীর মন্দিরে গিয়ে হেনস্থার শিকার হলেন। আর তার কারণ হল ওঁর পাকিস্তান প্রেম। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, সোমবার বৈষ্ণ দেবী মন্দিরে
দেবী দর্শনে যান সিধু। সেখানে তার সাথে ধাক্কা ধাক্কি করা হয়, মার খাওয়ার উপক্রম হয় সিধুর। শোনা যায় যে, এক শিবসেনা সমর্থক কংগ্রেস নেতা সিধুকে মন্দিরে হেনস্থা করেন। শিবসেনার সমর্থক সিধুর উপর অভিযোগ তুলে বলেন, নবজ্যোত সিং সিধু পাকিস্তান প্রেমী। তিনি পাকিস্তানকে সমর্থন করে ভারতের বিরুদ্ধে কথা বলেন। এরপর শিবসেনার সমর্থক মন্দিরে সিধু গো-ব্যাক এর স্লোগান দেন। এমনকি তিনি সিধুর ভিভিআইপি ট্রিটমেন্ট নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।









কোন মন্তব্য নেই