এবার রোহিঙ্গাদের রাখতে চাইছে না বাংলাদেশ ! ১ লক্ষ রোহিঙ্গাকে পাঠানো হবে নির্জন দ্বীপে
বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায় : রোহিঙ্গা মুসলমানদের বাংলাদেশ তার উপকূল থেকে দূরে অবস্থিত একটি প্লাবিত দ্বীপে পাঠানো শুরু করবে। বেশ কয়েক হাজার শরণার্থীও এর জন্য প্রস্তুত রয়েছে বলে জানা গেছে। বাংলাদেশের এক কর্মকর্তা এই তথ্যটি দিয়েছেন। কক্সবাজারে অবস্থিত শরণার্থী শিবিরগুলিতে বিপুল ভিড় তৈরি হয়েছে। তাই বাংলাদেশ সেখান থেকে ১ লক্ষ শরণার্থীকে পাঠাতে চায় এক দ্বীপে। বর্তমানে মিয়ানমার থেকে আগত ১০ লক্ষের বেশি মানুষ শরণার্থী শিবিরে বাস করছে। কক্সবাজারে অবস্থিত ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের প্রধান মেহবুব আলম তালুকদার বলেছেন, “আমরা আগামী মাসের শুরুতে পুনর্বাসন শুরু করতে চাই।” তিনি সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, “শরণার্থীরা বিভিন্ন পর্যায়ে স্থানান্তরিত হবে।”
তিনি আরো বলেন যে, “আমাদের কর্মকর্তারা সেখানে যেতে ইচ্ছুক শরণার্থীদের একটি তালিকা প্রস্তুত করছেন।” এই কর্মকর্তা বলেন, শনিবারের মধ্যেই ৭০০০ শরণার্থী সেখানে যাওয়ার মত দিয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, চার সন্তানের পঞ্চাশ বছর বয়সী নূর হুসেন বলেছেন, আমি যেতে প্রস্তুত আছি। এখানে (লেদা শিবিরে) খুব ভিড়-ভাট্টা আছে। এ ছাড়া খাবার ও আবাসন নিয়েও সমস্যা রয়েছে।” বর্তমানে জাতিসংঘ এই বিষয়ে কোন মন্তব্য করেনি। তবে, বাংলাদেশি কর্মকর্তারা বলছেন যে তারা আশা করছেন আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে একটি প্রতিনিধি দল এই দ্বীপটি ঘুরে দেখবে।
একই সাথে, কিছু মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশের এই পরিকল্পনার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। কারণ এই দ্বীপটি প্রত্যন্ত এবং ঘূর্ণিঝড় থেকে বিপর্যয়ের ঝুঁকিতে রয়েছে। এছাড়াও, বহু শরণার্থী সরকারের পদক্ষেপের বিরোধিতা করছে, যার ফলে একটি নতুন সংকট তৈরির সম্ভাবনাও রয়েছে।
জানুয়ারিতে সফররত জাতিসংঘের এক মানবাধিকার তদন্তকারী বলেন, রোহিঙ্গাদের এই দ্বীপে নিয়ে গেলে তাদের জীবন বিপদের মুখে পড়তে পারে। মিয়ানমারে মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের এক বিশেষ সম্পর্কের অধ্যাপক ইয়াংহে লি বলেছেন, “আমার সফরের পরেও অনেক কিছুই অজানা, যে এই দ্বীপটি আসলে বসবাসযোগ্য কিনা,”!
কোন মন্তব্য নেই