জনতা ভবনে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক নিষিদ্ধ, মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনওয়াল মাটির কাপে চা এবং কেটেলিতে আনা জল খান
নয়া ঠাহর প্রতিবেদন : দেশজুড়ে আবর্জনা সৃষ্টি করেছে প্লাস্টিক। নালা নর্দমা, পথ ঘাট যেখানে সেখানে হাজার হাজার প্লাস্টিকের কাপ, গ্লাস, ব্যাগ প্রভৃতি ছড়িয়ে ছিটিয়ে পরে থাকে। প্লাস্টিক পুড়ে না, বিনষ্ট করা যায় না। সাগরের গভীর তলে ও প্লাস্টিক ভাসতে দেখা গেছে। এমন কি তিমি মাছের পেটে ও কেজি কেজি প্লাস্টিক পাওয়ার খবর আছে। ২ অক্টোবর মহাত্মা গান্ধীর জন্মতিথি থেকে দেশ জুড়ে প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
আধুনিক সভ্যতার অভিশাপ স্বরূপ একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বন্ধ করা হয়েছে জনতা ভবনে। আজ সরকারি সূত্রে কথা জানা গেছে। জনতা ভবনে প্লাস্টিক বোতল, কাপ, গ্লাস, থালা, বাটি, ব্যাগ ব্যাবহার করা যাবে না। থার্মোকলের থালাবাটির ওপরেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনওয়াল আজ প্লাস্টিকের বদলে মাটির কাপে চা খান এবং কেটলিতে আনা জল খান। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর দেশজুড়ে স্বচ্ছ অভিযান কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবে অসমে একবার ব্যবহার যোগ্য প্লাস্টিক ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর নো টু প্লাস্টিক স্লোগান মেনে কাজ করলে অসম পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাজ্য হিসাবে উঠবে। প্লাস্টিক মুক্ত রাজ্য হিসাবে গড়ে তোলার জন্য মুখ্যমন্ত্রী সবার সহযোগিতা কামনা করেন। রাজ্যে প্লাস্টিক মুক্ত পরিবেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে কিনা যথেষ্ট সন্দেহ আছে। কারণ, স্মার্ট সিটি হিসাবে ঘোষণা করা গুহাহাটি মহানগর এর সবর্ত্র আবর্জনা, প্লাস্টিক হটানো যায় নি। জেলাগুলোর একই অবস্থা। এক সূত্রে জানা গেছে দেশের প্রায় ১০ হাজার কোম্পানি কয়েকশ কুইন্টাল একবার ব্যবহার যোগ্য প্লাস্টিক উৎপাদন করে প্রায় ৭ দোকানের মাধ্যমে সারা দেশে সরবরাহ করে। প্রায় ৫ লাখ কর্মী এই কাজে নিয়োজিত আছে। কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন জানিয়ে বলেছে দেশের বহুজাতিক কোম্পানি এবং কর্পোরেট সন্থা ৯৮ ভাগ একবার ব্যাবহার যোগ্য প্লাস্টিক ব্যাবহার করে। হাতে সময় দিয়ে প্লাস্টিক বন্ধ সম্ভব নয়। তাছাড়া তা বন্ধ হলে কয়েক লাখ কর্মী বেকার হয়ে যাবে।
কোন মন্তব্য নেই