Header Ads

বিদেশি বাবা দুলাল চন্দ্র পালের মরদেহ নিয়ে ছেলেদের সঙ্গে ম্যারাথন বৈঠক

অমল গুপ্ত, গুয়াহাটিঃ

প্ৰকৃত ভারতীয় নাগরিক, বৈধ নথিপত্র আছে, তিন পুত্র,পত্নী, প্রয়াত কন্যা সবাই স্বদেশী, এনআরসিতে নামও আছে,অথচ পরিবারের কর্তা দুলাল চন্দ্র পাল হয়ে গেলেন বিদেশি, তাঁকে ধরে বেঁধে তেজপুর ডিটেনশন ক্যাম্পে ভরে দেওয়া হল। ডায়াবেটিক রুগী, যথাযথ চিকিৎসা করা হল না।


পরিবারের মানুষদের বলা হল, তাঁকে গুয়াহাটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিবারের মানুষ ছুটে এলেন গুয়াহাটি, জিএমসিএইচ-এ গিয়ে দেখেন বিদেশি তকমা দেওয়া বাবা এক করিডোরের মেঝেতে পড়ে আছে। নিম্ন অসমের কোচ রাজবংশী সম্প্রদায়ের অন্ন বালা রায়কে বিদেশি সাজিয়ে গোয়ালপাড়া ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানোর কয়েকদিন বাদেই স্বদেশী বানিয়ে সরকার তাঁকে মুক্ত করে দিল। কারণ কোচ রাজবংশী রাজ্যে শক্তিশালী জনগোষ্ঠী, আন্দোলনে নামলে সরকার বিপদে পড়বে,তাই ছেড়ে দেওয়া হল,রাজ্যের দূর্বল বাঙালি সংগঠনগুলির এই অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া যাবে না। সারা দেশের ইতিহাসে বিরল ৮ দিন ধরে বিদেশির কলঙ্ক মাথায় নিয়ে বেওয়ারিশ লাশের মতো গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পড়ে আছে দুলাল চন্দ্ৰ পালের মরদেহ। গতকাল থেকে ছেলেদের বুঝিয়ে সুঝিয়ে মরদেহ সমঝে নেওয়ার অনুরোধ বার বার ফিরিয়ে   দিয়েছে, দুলাল চন্দ্র পালকে  ভারতীয় ঘোষণা না করা পৰ্যন্ত তারা বাবার সৎকার করবে না।

 মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল লিখিতভাবে পাল পরিবারকে জানিয়েছে,সরকার সব ধরনের আইনি সহায়তা দেবে, বাবার দেহ গ্রহণ করে, তার শ্ৰাধ্য সভায় উপস্থিত থাকার কথাও দিয়েছেন। আজ রাত পৰ্যন্ত সারা আসাম যুব ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি দীপক দে ও অন্যান্যরা ঢেকিয়াজুলি গিয়ে দুলাল বাবুর পুত্র আশীষ  ও অন্য ভাইদের সঙ্গে ম্যারাথন কথাবার্তা চালাচ্ছেন বলে ফেডারেশন এর চেয়ারম্যান প্রদীপ কর রাতে জানান। বিদেশি ট্রাইবুন্যালে ঘোষিত বিদেশিকে রেহাই দিতে আদালতের আশ্রয় নিতে হবে। তা সময়ের ব্যাপার। তাই আপাতত  মরদেহ সমঝে নেওয়ার অনুরোধ পরিবার  কিছুতেই মানতে রাজি হচ্ছে না। তারা বারবার বলছেন, বিদেশির কলংক মাথায় থাকা দুলাল চন্দ্র পালের সৎকার তারা করবে না। এই প্রতিবেদন পাঠানো পৰ্যন্ত আলোচনা  চলছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.