Header Ads

অসমের পর আরেকটি রাজ্যে এনআরসি নিয়ে প্রস্তুতি শুরু, ডিটেশন সেন্টারের জন্য দেখা হচ্ছে জমি

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায় : অসমে ৩১ আগস্ট জারি হওয়া ন্যাশানাল রেজিস্টার অফ সিটিজেন-এর ফাইনাল লিস্টের পর এবার খবর আসছে যে, মহারাষ্ট্র সরকারও রাজ্যে প্রকৃত ভারতীয়দের চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছে। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক অবৈধ নাগরিকদের জন্য ডিটেশন সেন্টার বানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।
খবর অনুযায়ী, মহারাষ্ট্র সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক নয়া মুম্বাইয়ে প্ল্যানিং অথরিটির থেকে ডিটেশন সেন্টার বানানোর জন্য জমি চেয়েছে। সরকারের এই পদক্ষেপে মনে করা হচ্ছে যে, অসমের পর এবার মহারাষ্ট্রেও চালু হতে চলেছে এনআরসি। আর যারা প্রকৃত ভারতীয় নাগরিক নয়, তাদের বিচ্ছিন্ন করার প্রক্রিয়া শুরু করবে মহারাষ্ট্র সরকার।
প্রসঙ্গত, অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে কয়েক দশক ধরেই অসম প্রভাবিত। রাজ্যের বেশিরভাগ মানুষই এনআরসি ইস্যুতে ভারতীয় জনতা পার্টিকে সমর্থন জানিয়েছে। এমনকি বিজেপির সবথেকে বড় বিরোধী দল সিপিআইএম এর নেতা সূর্যকান্ত মিশ্রও বলেছেন যে, অসমে এনআরসি দরকার। এছাড়াও দেশের সর্বোচ্চ আদালত কেন্দ্র সরকারকে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের সমস্যার সমাধান করার নির্দেশ দিয়েছে। 
এনআরসি-তে নাম তোলার জন্য ৩ কোটি ৩০ লক্ষ ২৭ হাজার ৬৬১ জন মানুষ আবেদন করেছেন। সবার নথিপত্র খতিয়ে দেখার পর ৩ কোটি ১১ লক্ষ ২১ হাজার ৪ জনের নাম এনআরসিতে যুক্ত করা হয়েছে। আর ১৯ লক্ষ ৬ হাজার ৬৫৭ জনের নাম এনআরসি তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। যদিও এনআরসিতে নাম তোলা নিয়ে অনেক রকম ত্রুটি সামনে এসেছে। আর এরজন্য অসম সরকার বলেছে, যাদের নাম এনআরসিতে নেই, তাঁরা বিদেশী ট্রাইব্যুনালে গিয়ে তাঁদের নাগরিকতা প্রমাণ করতে পারেন।
এনআরসির সমস্যা সমাধানের জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশে ৪০০ টি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে। যাদের নাম এনআরসির লিস্টে নেই, তাঁরা শিডিউল অফ সিটিজেনশিপ এর সেকশন ৮ অনুযায়ী আবেদন করতে পারবেন। এর আগে এই সময়সীমা ৬০ দিন পর্যন্ত ছিল, কিন্তু পরে তা বাড়িয়ে ১২০ দিন করে দেওয়া হয়েছে। এবার এর শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ নির্ধারিত হয়েছে। এই লিস্টে নাম নেই যাদের, তাঁরা ৩১ ডিসেম্বরের আগে আবেদন করতে পারবেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.