Header Ads

মোদীর জন্মদিনে মমতা সাক্ষাৎপ্রার্থী, এবারেও কি কুর্তা-পাজামা আর ফুল-মিষ্টির প্যাকেট থাকবে !

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায় : ভোটের আগে এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী মোদী জানিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে বছরে দু-একবার কুর্তা-পাজামা উপহার দেন। সঙ্গে থাকে বাংলার মিষ্টিও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হঠাৎ দিল্লি সফরের আগে তা নিয়েই ফের জল্পনা শুরু হল। কারণ মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন, আর ওইদিনই মমতা যাচ্ছে মোদী-সাক্ষাতে।
রাজ্যের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে যখন তৃণমূল ও বিজেপি অহি-নকুল সম্পর্ক, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন সবকিছুতেই এড়িয়ে চলছেন কেন্দ্রকে, মোদী-বিরোধিতাই সার ভেবেছেন, তখন কেন হঠাৎ করে মোদীর সঙ্গে সাক্ষাতের কথা ভাবছেন তিনি। তবে কি কোনও প্রতিকূল পরিস্থিতির জেরেই এমন ধরনের ভাবনা। নাকি ভাবনা নয়, নিতান্তই রটনা এই সাক্ষাৎ-প্রসঙ্গ। তা নিয়েও চর্চা চলছে।
প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রী সাক্ষাৎ হলে তা হবে দ্বিতীয় মোদী সরকারের আমলে প্রথম বৈঠক। প্রথম মোদী সরকারের শেষ দু-বছর থেকে যে বৈরিতা শুরু হয়েছিল মমতার, তার কিঞ্চিৎ হলেও নিরসন হবে ওই সাক্ষাতে। সেইসঙ্গে মোদীর জন্মদিনের শুভেচ্ছাও জানানো যাবে প্রত্যক্ষ উপস্থিতিতে।
যদিও সিপিএম দিদি-মোদী সেটিংয়ের অভিযোগ তুলে নিত্যদিন অভিযোগ করে আসছে, এভাবেই নারদা-সারদা মামলা ধামাচাপা দিয়ে রাখা হয়েছে বলে। মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লি সফর সেই জল্পনার জিগির ফের একবার তুলে দেবে। আবার মোদী-দিদি সেটিং নিয়ে ছড়াবে নানা মুখরোচক গল্প।
অবশ্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাক্ষাৎ প্রার্থী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষিত উপলক্ষ্য রাজ্যের বকেয়া প্রকল্প নিয়ে আলোচনা এবং রাজ্যের ঘাড়ে চেপে থাকা ঋণের বোঝা কমানো নিয়ে সওয়াল করা। মুখ্যমন্ত্রীর অফিস সূত্রে খবর প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে বুধবার বিকেল ৪.৩০-এ সাক্ষাৎকারের সময় দেওয়া হয়েছে।
আগামীকাল মঙ্গলবার দিল্লি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোাপাধ্যায়। ফেরার কথা রয়েছে ২০ সেপ্টেম্বর। এই সময়ের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চান মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে ২২ সেপ্টেম্বর থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমেরিকা সফর শুরু হচ্ছে। ফলে এই সময়ের মধ্যে তুমুল ব্যস্ততা রয়েছে। 
মুখ্যমন্ত্রীর দফতর সূত্রে খবর--কেন্দ্র ও রাজ্যের যৌথ প্রকল্পগুলি নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি রাজ্যের ঘাড়ে থাকা বিপুল ঋণ নিয়ে আলোচনা করতে চান মুখ্যমন্ত্রী। লোকসভা ভোটের আগে থেকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে তোপ দাগা শুরু করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরবর্তী সময়েও তা কমেনি। ২০১৪ সালের নির্বাচনী প্রচারে নরেন্দ্র মোদীকে কোমড়ে দড়ি দিয়ে ঘোরানোর হুমকিও দিয়েছিলেন মমতা। আর ২০১৯-এর নির্বাচনের সময় থেকে এখনও পর্যন্ত এনআরসি-সহ বিভিন্ন ইস্যুতে মোদীকে কড়া আক্রমণ করে এসেছেন মমতা।
বিরোধী শিবির থেকে অবশ্য কটাক্ষ করা শুরু হয়ে গিয়েছে। তাদের মন্তব্য সারদা নিয়ে সিবিআই-এর জাল ক্রমশ তৃণমূল এবং মুখ্যমন্ত্রী ঘনিষ্ঠ পুলিশ অফিসার রাজীব কুমারের ওপর চেপে বসছে। ফলে তা নিয়ে কিছু একটা করতে চান মমতা। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে মোদী মমতার সাক্ষাৎ নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল একইরকমের।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.