ধরাশায়ী বিজেপি ! দিলীপ, মুকুলদের সংগঠনকে হারিয়ে বড় জয় তৃণমূলের
বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায় : বিজেপির সংগঠনকে ধরাশায়ী করে বড় জয় পেল তৃণমূলের সংগঠন। টালিউড এখন শুধু সবুজে সবুজ। এই নির্বাচনে ২১ টি আসনের সবকটিতেই জয় পেয়েছে তৃণমূল। লোকসভা ভোট পরবর্তী পর্যায়ে বিজেপির শিল্পী সংগঠনে যোগদানের যে ঢল নেমেছিল, তাতে মনে হয়েছিল ভাঙন ধরেছে তৃণমূলের সংগঠনে। যদিও তা হয়নি। নির্বাচনে তৃণমূলের সংগঠনের জয়ে স্বভাবতই খুশি মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
২১ টি আসনের সবকটিতেই জিতে যাওয়ায় চলচ্চিত্র শিল্পের সঙ্গে যুক্ত কলাকুসলী ও টেকনিশিয়ানদের ফোরামের দায়িত্ব ফের পেল তৃণমূল। এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত তৃণমূলকে সমর্থনকারী শিল্পী ও কলাকুশলীরা।
লোকসভা নির্বাচনের পর দলে দলে শিল্পী ও কলাকুশলীরা বিজেপির সংগঠনে যোগদান করেছিলেন। তখন অনেকেই মনে করেছিলেন এবার রাজ্যের বিনোদন ইন্ডাষ্ট্রিতেও ভাগ বসাতে চলেছে গেরুয়া শিবির। কিন্তু তা হয়নি। একটি আসনও পায়নি তারা। ফলে আধিপত্য বজায় থাকল ঘাসফুল শিবিরেরই।
ইম্পায় তৃণমূল সমর্থিত শিল্পী ও কলাকুশলীদের জয়ে প্রতিনিধিদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। অন্যদিকে বিএন সরকার সরণিতে সবুজ আবির নিয়ে মেতে ওঠেন তৃণমূল সমর্থক শিল্পী ও কলাকুশলীরা।
টলিউড দখলে আনতে পথে নেমেছিল বিজেপির ৩ সংগঠন। মুকুল রায় একটি সংগঠনের দায়িত্ব দিয়েছিলেন শঙ্কুদেব পণ্ডাকে। অন্যদিকে দিলীপ ঘোষ অপর একটি সংগঠনের দায়িত্ব দিয়েছিলেন অগ্নিমিত্রা পালকে। জরুতি ভিত্তিতে কাজও শুরু করেছিলেন শঙ্কুদের পণ্ডা এবং অগ্নিমিত্রা পালরা। শঙ্কুর সংগঠনের নাম ছিল বঙ্গীয় চলচ্চিত্র পরিষদ। এবং অগ্নিমিত্রার সংঠনের নাম ছিল ইস্টার্ন ইন্ডিয়া টেলি সিনে টেকনিশিয়ান অ্যান্ড আর্টিস্ট ফেডারেশন। এর পাশাপাশি ছিল বিজেপির হয়ে টালিগঞ্জে কাজ শুরু করা অঞ্জনা বসুর সংগঠন। শেষ মুহুর্তে তিনটি সংগঠনকে একসঙ্গে নিয়ে বৈঠক হয়েছিল রবিবার রাতে বিজেপি সাংসদ স্বপন দাশগুপ্তের কলকাতার বাড়িতে। সেই বৈঠকে নতুন সংগঠন তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। নাম দেওয়া হয়েছিল খোলা হাওয়া। সভাপতি করা হয় বাবুল সুপ্রিয়কে।
কোন মন্তব্য নেই