Header Ads

পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরার স্থায়ী বাসিন্দাদের নাম এনআরসি-র চূড়ান্ত তালিকায় ওঠেনি

অমল গুপ্ত, গুয়াহাটিঃ
 এনআরসি-র চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়া ১৯ লক্ষাধিক মানুষের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ,ত্রিপুরা,মেঘালয়ের  স্থায়ী বাসিন্দা কর্মসূত্রে অসমে বসবাস করে, ভারতীয় নাগরিক এমন বহু নাগরিকের নাম বাদ    পড়েছে। পশ্চিমবঙ্গের ডাইমন্ড হারবারের পার্মানেন্ট অধিবাসী নাসিরুদ্দিন আহমেদ পরিবার নিয়ে গুয়াহাটিতে সরকারি আবাসে প্রায় ৪০ বছর ধরে বসবাস করছেন। স্বামী স্ত্রীর নাম আসেনি। পুত্র কন্যার নাম তালিকাতে উঠেছে। নাসিরুদ্দিন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন স্নাতক  ডিগ্রিধারী । ত্রিপুরার স্থায়ী বাসিন্দা  সেখানে জমি মাটি সব আছে, শীল পরিবারের  কর্তা কেন্দ্রীয় সরকারের  অধীনে ৩৫ বছর কাজ করার পর অবসর নিয়েছেন,কর্মসূত্রে গুয়াহাটিতে স্থায়ী ভাবে বসবাস করছেন এখানেও জমি জমা আছে।  সরকারি নথিপত্র এনআরসি কর্তৃপক্ষ খারিজ করে দিয়েছে ।   

 ছবি, সৌঃ ইন্টারনেট
এই ধরণের বহু অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। গুয়াহাটি তথা উত্তর পূর্বাঞ্চলের বিশিষ্ট কেক বিস্কুট   বেবসায়ি শেখ ব্রাদার্স প্রায় ১৫০ বছর আগে অসমে এসেছে, সেই পরিবারের নাম চূড়ান্ত তালিকাতে নেই। এনআরসি-র এক সূত্র জানান, ১৯লাখ নাম বাদ পড়া ব্যক্তিদের মামলাগুলি নিষ্পত্তি হতে কম  করেও ৮মাস লেগে যাবে। হাই কোর্টের এক  আইনজীবী জানান  নাম বাদ মানুষের মধ্যে অধিকাংশ গরিব, অর্থের বিনিময়ে মামলা করার ক্ষমতা তাদের নেই,এছাড়া একাংশ আইনজীবী মানবিকতাকে বাদ দিয়ে অর্থ কমানোর লাইনে নেমেছে। লাখ লাখ বাদ পড়া মানুষ শেষপর্যন্ত দেশহীন নাগরিক হয়ে গেলে তাদের ভাগ্যে কি ঘটবে?  বিজেপি সরকার চিন্তাতে পরছে। বিজেপির ভোটার হিন্দু বাংলাদেশীদের নাম বেশি বাদ পড়েছে। এদিকে গোয়ালপাড়া জেলার মাটিয়া দলগোমা গ্রামে    প্রস্তাবিত ৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে  ডিটেনশন ক্যাম্প নির্মাণের কাজ জোর কদমে চলছে। আড়াই হেক্টর জমিতে ১৫ টি ভবন নির্মাণ করা হবে। তিন হাজার ডি ভোটারকে এই ক্যাম্পে রাখা হবে। গোয়ালপাড়া জেলাতে পুর্ব পাকিস্তান থেকে অত্যাচারিত হয়ে আসা বাঙালি হিন্দু  এবং হাজং, কোচ প্রভৃতি   উপজাতি গোষ্ঠীর ৯ টি উদ্বাস্তুদের ক্যাম্প স্থাপন করে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তাদের  
 অধিকাংশের নাম নেই এনআরসি  তালিকায়। এরপরেও বলতে হবে  চূড়ান্ত তালিকা সঠিক হয়েছে?

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.