Header Ads

তালিবান জঙ্গি নেতা নুর ওয়ালিকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণা করল আমেরিকা, ইরাকে এয়ার স্ট্রাইক

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায় : পাকিস্তানের তেহেরিক-এ-তালিবানের পাক প্রধান নুর ওয়ালিকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণা করল আমেরিকা। ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিবৃতি জারি করে এই ঘোষণা করা হয়েছে। জঙ্গি দমনে আবারও একটা বড় পদক্ষেপ করল পাকিস্তান। ৯/১১ হামলার বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়। মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১১টি জঙ্গি সংগঠনের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। যেগুলি আমেরিকা সহ গোটা বিশ্বে নাশকতা তৈরি করছে।
বিবৃতিতে জানানো হয়েছে এই আমেরিকার কালো তালিকা ভুক্ত জঙ্গিদের মালিকাধীন যাবতীয় সম্পত্তি বােজয়াপ্ত করা হবে। অবশ্যই মার্কিন প্রশাসনের আওতাভুক্ত সম্পত্তিই বাজেয়াপ্ত করা হবে। আমেরিকায় থাকা কোনও ব্যক্তি এই কালো তালিকাভুক্ত জঙ্গির সঙ্গে কোনও রকম আর্থিক লেনদেনে জড়িত থাকলে তাঁকেও দোষী হিসেবে গন্য করা হবে। 
এর আগে মাসুদ আজহারকেও আন্তর্জাতিক জঙ্গি হিসেবে ঘোষণা করেছিল আমেরিকা। পরে রাষ্ট্রপুঞ্জ তাকে আন্তর্জাতিক জঙ্গির তকমা দেয়। কালো তালিকাভুক্ত জঙ্গিরা হল। মুফতি নূর ওয়ালি মেহসুদ নামে পরিচিত তিনি। পাকিস্তানে তেহরিক ই তালিবানের নেতৃত্বে রয়েছে সে। পাকিস্তানে একাধিক বিধ্বংসী জঙ্গি হামলার মূল চক্রী এই নূর ওয়ালি।
মারওয়ান ঈশা ইজ-অল-দিন-আল-কাসিম ব্রিগেডস এর নেতা। হামাসের শাখা সংগঠন এটি। এছাড়াও রয়েছে মুহম্মদ অল হিন্দি প্যালেস্তাইন ইসলামিক জিহাদের নেতা। বাহ আবু আল আটা। প্যালেস্তাইল ইসলামিক জিহাদের আরেক নেতা। যে গাজার দায়িত্বে রয়েছে। এরকম একাধিক জঙ্গিকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে আমেরিকা।
ওদিকে ইরাক থেকে একটা বড়ো খবর সামনে আসছে। আমেরিকা আবার ইরাকে আইএসআইএস ঘাঁটিতে এয়ার স্ট্রাইক করেছে। সন্ত্রাসী সংগঠন ইসলামিক স্টেটের ঘাঁটিতে বিমান হামলার সময় মার্কিন সেনাবাহিনী ৩৬ হাজার কেজি বোমা ফেলেছে। এই সমস্ত বোমা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের আধুনিক এফ -৩৫ এবং এফ -১৫ বিমানের সাহায্যে ফেলেছে। এখনও অবধি প্রাপ্ত খবরে বলা হয়েছে, আমেরিকা এই বোমাগুলি তিগ্রি নদীর দ্বীপ ফেলেছে যেখানে আতঙ্কবাদীরা ঘাঁটি জমিয়ে বসে ছিল। আইএসের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা  নিতেই মার্কিন সেনাবাহিনী হামলা চালিয়েছে বলে খবর। ইরাকের সুরক্ষা বাহিনীও এক্ষেত্রে আমেরিকার সহায়তা করেছে।
এই অভিযানের উদ্দেশ্য ছিল সন্ত্রাসী সংগঠন ইসলামিক স্টেটের ঘাঁটি পুরোপুরি ধ্বংস করা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জানানো হয়েছিল যে ইরাকের মোসুলের সিরিয়া ও জাজিরা রেজিস্তান অঞ্চল ছাড়াও আইএসআইএসের জঙ্গিরা কিরকুক ও মাখমুরে তাদের সন্ত্রাসীদের আস্তানা তৈরি করেছে। কানসু দ্বীপ, কায়ারা মার্কিন অপারেটিং বেসের কাছে অবস্থিত। সেই কানুস দ্বীপেই বড়ো ধরনের এয়ার স্ট্রাইক চালিয়েছে মার্কিন সেনা। হামলায় ২৫ জন আতঙ্কবাদী শেষ হয়েছে বলে খবর। যদিও আতঙ্কবাদী মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইরাকের মধ্যে চুক্তির পর থেকে এইবার দ্বিতীয়বারের মতো সেনাবাহিনী  এত বড় আক্রমণ চালিয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, ইরাকি প্রধানমন্ত্রী হায়দার-আল-আবাদি ২০১৭ সালে আইএস কে পুরোপুরি নির্মূল করেছে বলে দাবি করেছিলেন। তবে তা ঘটেনি, তাই মার্কিন সেনা এই পদক্ষেপ নিয়েছে। দাবি করা হয়, এই অঞ্চলে আইএস থেকে প্রচুর পরিমাণে স্লিপার সেল তৈরি করা হয়েছে। ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মনে করেছিলেন যে আইএস পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে তবে এই স্লিপার সেলগুলি সন্ত্রাসী সংগঠন ইসলামিক স্টেটকে পুনর্জীবিত করেছিল।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রথমবারের মতো আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য এফ-৩৫ বিমান ব্যবহার করেছে। এফ-৩৫ এ বিমান ৮,১০০ কেজি বহন করতে সক্ষম, এবং এফ-১৫ ১৩,৩৮০ কেজি অস্ত্র বহন করতে সক্ষম। এর আগে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গত বছরের সেপ্টেম্বরে আফগানিস্তানে তালিবানদের বিরুদ্ধে অভিযানে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করেছিল।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.