Header Ads

এনআরসি-র মতো জ্বলন্ত বিষয় থাকা সত্তেও হিন্দু মুসলিম সংখ্যালঘু মানুষ ঐক্যবদ্ধ ভাবে লড়তে পারলো না আক্ষেপ আইনজীবী তপাদারের

অমল গুপ্ত, গুয়াহাটিঃ

২০০৫ সালের ৫ মে তদানীন্তন কংগ্রেস সরকার এবং আসুর মধ্যে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে অসমে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি নবায়নের চূড়ান্ত রূপ দেওয়া হয়েছিল। আজ ১৪ বছর পর জাতীয় নাগরিকপঞ্জির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ পেল। ৩ কোটি ১১ লাখের ওপর মানুষের নাম উঠল। কিন্তু বাদ পড়া ১৯ লাখের বেশি মানুষের ভাগ্য কিন্তু ঝুলে রইলো। আবার হাজার ভুলে ভরা তালিকা প্রকাশ পেল।
ছবি, সৌঃ আন্তৰ্জাল

 ব্যাপকহারে বানান বিভ্রাট ঘটেছে,পদবি চেঞ্জ হয়ে গেছে, এনআরসি কর্তৃপক্ষের পরোয়া নেই। তারা সবই ত্ৰুটিমুক্ত বলে দাবি করছে, এমন কি কেন্দ্রীয় সরকারও সব কিছু ত্রুটি মুক্ত বলে দাবি করছে। মানুষের জীবন নিয়ে সরকার ছেলেখেলা শুরু করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ১২০ দিন সময়ের মধ্যে ট্রাইবুন্যালগুলো ১৯ লাখ নাম ছুট মানুষের মামলাগুলো নিষ্পত্তি করবে, মানুষ স্বস্তি পাবে এমন আশা করা যায় না।
এ এস তপাদারের মত বিশিষ্ট আইনজীবীরা হতাশ, তিনি আজ বলেন, নামছুটদের মামলা কোনও দিন নিষ্পত্তি হবে না। বলেন, এনআরসি-র মতো জ্বলন্ত ইস্যু থাকা সত্বেও হিন্দু মুসলিম সংখ্যালঘু মানুষ একজোট হয়ে লড়তে পারল না, আর কবে পারবে? আইনজীবী তপাদার বলেন,আজ জানা গেল রাজ্যের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নামও চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়ে গেছে। হিন্দু মুসলিম মানুষ যদি এক সঙ্গে জোট বেঁধে লড়তে পারতো তবে তালিকা থেকে এত সংখ্যালঘু মানুষের নাম বাদ যেত না। দুর্ভাগ্য আমাদের আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে লড়তে পারলাম না বলে তিনি মন্তব্য করেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.