লন্ডনে বেদান্ত সোসাইটির প্রতিষ্টাতা শ্রী ভগবানের উপস্থিতিতে ব্যাপক সাড়া
নয়া ঠাহর ,প্রতিবেদন ।ইন্টারন্যাশনাল বেদান্ত সোসাইটির প্রতিষ্টাতা শ্রীভগবান তাঁর সন্ন্যাসী শিষ্য স্বামী প্রবুদ্ধানন্দ এবং স্বামী সেবানন্দ কে সাথে নিয়ে ৫ই সেপ্টেম্বরে বেদান্ত প্রচারের উদ্দেশ্যে লন্ডনে যাত্রা করেন। তাঁর দিব্য উপস্থিতিতে লন্ডনে বিপুল সংখ্যক মানুষ তাঁর সাহচর্য পেয়ে সমৃদ্ধ হয়েছেন। লন্ডনের প্রতিষ্টিত সমাজ বেদান্তের কাজে সাহায্য করবার জন্য এগিয়ে এসেছেন। ওনার উপস্থিতিতে অনেক দিব্য ঘটনা ঘটনা ঘটে চলেছে তার মধ্যে কিছু ঘটনা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। লন্ডনে একদিন গলফ ময়দানে বেশ কিছু বিদেশি ভক্তকে নিয়ে ভগবান বেদান্ত এবং ধ্যানের ওপর চর্চা করছিলেন। সকলে তাঁর কথাগুলো খুব শ্রদ্ধা সহকারে শুনে চলছিল। সেই সময়ে পার্কে অন্য একটি মেয়ে ওনাদের পাশ দিয়ে কোথাও যাচ্ছিলেন। সেই যুবতী মেয়েটি হঠাই দাঁড়িয়ে যায় এবং দেখতে দেখতে তাদের সাথে বসে পড়লেন। অল্প কিছুসময়ের মধ্যে মেয়েটির গভীর ধ্যান হতে লাগে আর তার চোখ দিয়ে জল গড়াতে লাগে। এইভাবে বেশ কিছু সময় কেটে যাবার পর তার একটু স্বাভাবিক পর্যায় আসলে সে বলে আমি এসব বিষয় কিছু জানিনা এবং কোনদিন শুনিনি। আমি শুধু আপনাদের দেখে খুব ভালো লাগে এবং একটু দাঁড়িয়ে পড়েছিলাম শুনবার জন্য কিন্তু আমার যে এই ধরণের অবস্তা হবে তা কিছুই বুঝতে উঠতে পারছি না কিন্তু এটা বুঝতে পারছি যে আমার মনে কোনো চিন্তা নেই, সকল চিন্তা যেন কোথাও উদাও হয়ে গেছে। আমি এই মুহূর্তে ভীষণ শান্তি এবং খুব হালকা অনুভব করছি যা জীবনে আজ অব্দি পাইনি। আরেকটি ঘটনা আরো বেশি বিস্ময়কর। ভগবান বিদেশি ভক্তদের নিয়ে লোকাল ট্রেনে কোথাও ঘুরতে যাচ্চেন। ট্রেনে নানান যাত্রীরা কেউ বসে আছে বা কেউ বা দাঁড়িয়ে আছে। আর ভক্তরা নিজেদের মধ্যে হাসি ফুর্তি করছে, মাজে মাজে ভগবানকেও যুক্ত করছেন। ভগবানও বিদেশি ভক্তদের সাথে ইংলিশ এ দু-একটি কথা মাজে সাঝে বলছেন। হঠাৎ ট্রেন এ থাকা এক রাশিয়ান মহিলা যিনি ইংলিশ বোঝেননা তিনি হঠাৎ কাঁপতে কাঁপতে ভগবানের সামনে এসে বসতে চাইলেন। তিনি রাশিয়ান ভাষায় ভগবান কে উদ্দেশে করে বলছেন আমি যেন হঠাৎ এত টান অনুভব করছি কেন? নিজেকে আর ধরে রাখতে পারিনি। ট্রেন এ কাঁদতে শুরু করে দিলেন। সামনে ট্রেনের সিট এ উনি বসে ভগবানের হাত ধরে বলছেন- আমি আপনার আশীর্বাদ প্রার্থী। আমি দাঁড়ানোর অবস্থায় বুঝেছি যে আপনি সাধারণ মানুষ নন। আপনার মধ্যে অকল্পনীয় শক্তি আছে। মহিলাটির কথা গুলো ট্রেন এ একজন দোভাষীর মাধ্যমে বাকিদের বুজতে সক্ষম হয়। এই ঘটনা যে প্রমান করে যে ভাষা একটা বাধা বলে জানতাম সেটা আজকের ঘটনায় চুরমার হয়ে গেছে। আগের ঘটনাটি মেয়েটি তবুও ইংলিশ এ আলোচনা কথাগুলো কিছু বুজতে পেরেছিল কিন্তু এ ক্ষেত্রে একদম ব্যতিক্রম। আধ্যাত্মিক শক্তির প্রবাহের জন্য চাই এক উন্নত আধার আর যিনি শক্তিপাত করবেন তিনি সামান্য সৎগুরুর পর্যাইয়ের থাকলে সম্ভব নয়। তাকে নিঃসন্দেহে ঈশ্বরীয় পুরুষ হতেই হবে। আজ লন্ডন তাঁকে সেই পর্যায়ের বলে মান দিয়েছেন। ইংল্যান্ডের অগ্রণী পত্রিকায় "THE TIMES 'এ শ্রী ভগবানের এই দিব্য ঘটনাগুলো খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপিত করে ছেপেছে। এ ছাড়া বিভিন্ন সংস্থা এবং মন্দির কর্তৃপক্ষ মাধ্যমে বেশ কয়েক জায়গায় সৎসঙ্ঘের আয়োজন করা হয়েছে যেখানে লন্ডনের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিপুল মানুষের সমাগম হয়েছে। পরবর্তী যাত্রা স্পেন এবং ইটালি । ভগবান চলতি মাসের ২০ তারিখে ভারতে ফিরবেন।
কোন মন্তব্য নেই