Header Ads

অধীরের গড়ে সব ‘কালীদাসে’র বাস : শুভেন্দু

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায় : মুর্শিদাবাদের মাটিতে অধীর চৌধুরীর নাম ও নিশানা মুছে দেওয়ার পণ করেছিলেন শুভেন্দু। বহরমপুরের বেতাজ বাদশাকে বহরমপুর কেন্দ্রে না হারাতে পারলে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেবেন এমন চ্যালেঞ্জও করেছিলেন। শেষপর্যন্ত অধীরকে হারাতে পারেননি শুভেন্দু। একা গড় রক্ষা করে অধীর দেখিয়ে দিয়েছিলেন কেন তিনি বহরমপুরের 'রবীনহুড'।
এবার লোকসভা-যুদ্ধে হারেরই কি প্রতিফলন পড়তে চলেছে আসন্ন বিধানসভায়? অন্তত শুভেন্দু অধিকারীর ভাষ্যে তেমনই মনে হচ্ছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। অধীরের সঙ্গে সম্মুখ সমরে পিছু হটছেন শুভেন্দু। কেননা শুভেন্দু সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি মুর্শিদাবাদের ২১টি কেন্দ্রের দায়িত্ব নিলেও, বহরমপুর কেন্দ্রের দায়িত্ব নেবেন না।
এখন প্রশ্ন উঠেছে কেন এই বৈরাগ্য? এই বৈরাগ্যের নেপথ্যে কি অধীরের কাছে শোচনীয় হারই রয়েছে, নাকি অন্য কোনও কারণ রয়েছে শুভেন্দুর সিদ্ধান্তের পিছনে। শুভেন্দু স্বয়ং ব্যাখ্যা করেছেন, বহরমপুরে সব কালীদাসের বাস, সেখানে তিনি দায়িত্ব নিতে পারবেন না। বহরমপুরের সব যে ডালে বসে থাকে সেই ডালই কাটে !
তাঁর এই কথায় অন্য ইঙ্গিত খুঁজছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, দলীয় কোন্দলের পাশাপাশি বহরমপুরের মানুষের দিকেও তিনি ইঙ্গিত করেছেন। জেলার অন্য আসনগুলিতে সিংহভাগ ভোট তাঁদের দিকে এলেও বহরমপুরের ভোট সব অন্যত্র চলে গিয়েছে। সেই কারণেই তাঁদের হারতে হয়েছে।
শুভেন্দু বলেন, কংগ্রেস স্লোগান তুলেছিল তিনে তিন, তৃণমূল কংগ্রেসকে কবর দিন। ফলাফল প্রকাশের পর দেখা গেল তৃণমূল কংগ্রেসকে দুটি আসনে মানুষ আশীর্বাদ দিয়েছেন। কংগ্রেস জিতেছে মাত্র একটি আসনে। তাও মার্জিন কমেছে বহু। অধীর চৌধুরী যেখানে ২০১৪ সালে ৩ লক্ষ ৮০ হাজারে জিতেছিলেন, এবার সেখানে মার্জিন মাত্র ৭৮ হাজার।
শুভেন্দু বলেন, একটি আসন তাঁরা হারিয়েছেন ঠিকই, এই জেলায় ২২টি বিধানসভার মধ্যে ১৬টিতে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। ২০২১-এ ২২-এ ২২-এর টার্গেটে নামছে তৃণমূল। তবে ২২টির মধ্যে বহরমপুর কেন্দ্রের দায়িত্ব তিনি নেবেন না। বাকি ২১টির দায়িত্ব তিনি নিজের কাঁধেই তুলে নেবেন। একটি মাত্র কেন্দ্র ওই বহরমপুর নিয়ে তিনি যে তিতিবিরক্ত, তা বুঝিয়ে দিলেন শুভেন্দু।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.