Header Ads

ইউএনজিএ-তে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ৫০ মিনিটের মিথ্যে ভাষণের ভূত মাত্র ৭ মিনিটেই ছাড়িয়ে দিলেন ভারতের প্রতিনিধি বিদিশা মৈত্র

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায় : শুক্রবার সংযুক্ত রাষ্ট্রের মহাসভায় (UNGA) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণের ১৭ মিনিট পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ভাষণ দেন। নিজের ৫০ মিনিটের ভাষণে ইমরান খান ভারতের ভুয়ো এবং মনগড়া চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করেন। আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের বিরুদ্ধে অন্যান্য দেশ গুলোকে এক করার জন্য প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এই বৃথা চেষ্টা করেন। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের এই ভাষণের প্রতিক্রিয়া শনিবার বিদেশ মন্ত্রালয়ের প্রতম সচিব বিদিশা মৈত্র কড়া জবাব দেন।
রাইট টু রিপ্লাই অনুযায়ী, বিদিশা মৈত্র পাকিস্তানের মিথ্যের পর্দাফাঁস করেন। উনি বলেন, ইমরান খানের ভাষণ ঘৃণায় ভরা ছিল, আর তার প্রতিটি কথাই মিথ্যে। তিনি আন্তর্জাতিক মঞ্চের ব্যাবহার ভুল ভাবে ভারতের বিরুদ্ধে করার চেষ্টা করেছেন। পাকিস্তান সরাসরি আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী লাদেনকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল। পরমাণু নিয়ে দেওয়া ওর বয়ান দ্বায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দেয়। পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুলে বলেছিলেন, আমাদের কাছে হাতিয়ার তুলে নেওয়া আর পরমাণু হাতিয়ার ব্যাবহার করা ছাড়া আর কোন রাস্তা নেই।
মৈত্র বলেন, ‘মানবাধিকার নিয়ে বড়বড় কথা বলা পাকিস্তানকে সবার আগে পাকিস্তানে বসবাস করা সংখ্যালঘুদের অবস্থা দেখা উচিত। পাকিস্তানে থাকা সংখ্যালঘুদের সংখ্যা ২৩ শতাংশ থেকে ৩ শতাংশ হয়ে গেছে। ওই দেশে শিখ, ইসাই, হিন্দু, বৌদ্ধ, শিয়া, সিন্ধী, পশতুন আর বালোচদের বিরুদ্ধে ঈর্ষা-নিন্দার আইন লাগু করা হয়। ওদের উপর অত্যাচার করে ওদের জোর করে ধর্মপরিবর্তন করানো হয়। পাকিস্তানের ইতিহাস কখনো ভোলা যাবেনা। ১৯৭১ সালে ওরা নিজদের লোকেদেরই গণহত্যা করেছিল।
উনি বলেন, ‘বন্দুক তুলে নেওয়া মধ্যযুগীয় মানসিকতা দেখাচ্ছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। এক সময়ের ক্রিকেটার ইমরান খান জেন্টলম্যান গেমের কথা বলতেন, আর এখন বন্দুক উঠিয়ে যুদ্ধের কথা বলছেন। ভারতের কোন নাগরিক চায়না যে, তাঁদের তরফ থেকে ইমরান খানের মতো মানুষ কোনও কথা বলুন। কারণ তিনি ঘৃণা মনে নিয়ে নিজের দেশে সন্ত্রাসবাদের ফ্যাক্টরি বানিয়ে রেখেছেন। পাকিস্তান এমন এক দেশ, যারা সন্ত্রাসবাদ আর ঘৃণাকে নিজেদের জীবনের অঙ্গ হিসেবে যুক্ত করে নিয়ে সন্ত্রাসী জঙ্গিদের পেনশন দিচ্ছে, আর  আজ তারাই মানবাধিকারের আড়ালে ওয়াইল্ডকার্ডের ব্যাবহার করতে চাইছে।” ভারতের তরফ থেকে পাকিস্তানকে প্রশ্ন করা হয় যে, পাকিস্তান কি এটা স্বীকার করবে, যে তাঁরা বিশ্বের প্রথম দেশ যারা এমন এক ব্যাক্তিকে পেনশন দেয়, যে সংযুক্ত রাষ্ট্রে নিষিদ্ধ তালিকায় নিজের নাম লিখিয়েছে?’’

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.