সকালেই চমক প্রশান্ত কিশোরের ! প্রধানমন্ত্রী মোদীর তারিফ ঘিরে শুরু জল্পনা
বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায় : জল্পনা বাড়ালেন ভোট গুরু প্রশান্ত কিশোর। এদিন সকালে তিনি হিউস্টনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বক্তৃতার প্রশংসা করেন। দীর্ঘদিন তিনি নরেন্দ্র মোদীর ভোট কৌশলী ছিলেন। বর্তমানে জেডিইউ নেতা নীতীশ কুমারের দলের ডেপুটি ছাড়াও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের ভোট কৌশলী তিনি। এদিন সকালে তাঁর মোদীকে নিয়ে প্রশংসা জল্পনা বাড়িতে দেয় তৃণমূল মহলে।
হিউস্টনের সমাবেশ অভূতপূর্ব বলেও মন্তব্য করেন মোদী। মঞ্চে ট্রাম্পকে পাশে রেখে মোদী বলেন, আপনি আপনার পরিবারের সঙ্গে আমাকে পরিচিত করিয়ে দিয়েছিলেন। আজ আমার পরিবারের সঙ্গে আপনাকে পরিচিত করাচ্ছি। ২ দেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় মন্তব্য করেছেন মোদী। বলেছেন আমেরিকার শ্রেষ্ঠ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
মোদীর পর ভাষণ দিতে উঠে পাল্টা মোদীর প্রশংসা করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, আমেরিকায় বিশ্বস্ত মোদী। মোদীকে তাঁর বিশ্বস্ত বন্ধু বলেও বর্ণনা করেন তিনি। ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছাও জানান তিনি। ট্রাম্প বলেন মোদীর সঙ্গে কাজ করতে চাই। তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, আমেরিকা সবসময় ভারতের পাশে রয়েছে। তিনি বলেন, হোয়াইট হাউসের প্রকৃত বন্ধু ভারত। মোদীর নেতৃত্বাধীন একটা শক্তিশালী গণতন্ত্রকে দেখেছে ভারত। ৩ কোটি গরিবেব ক্ষমতায়ন ঘটিয়েছেন মোদী। বলেছিলেন ট্রাম্প।
ট্রাম্পের প্রশংসা করতে গিয়ে মোদী বলেন আব কি বার ট্রাম্প সরকার। মোদীর এই পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন প্রশান্ত কিশোর। বলেছেন মোদীর এই পদক্ষেপ অভূতপূর্ব। আমেরিকায় পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ট্রাম্প মোটেও ভাল অবস্থানে নেই। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে মোদী ট্রাম্পের হয়ে অর্থবহ প্রচার করে দিলেন। সেখানে থাকা ভারতীয়দের সংখ্যাকেই হাতিয়ার করেছেন মোদী। গণতন্ত্রে সংখ্যাটাই সব বলেও মন্তব্য করেছেন প্রশান্ত কিশোর।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, এদিন সকালে প্রশান্ত কিশোরের কথা এই টুইটের সঙ্গে সহমত হতে পারছেন না তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের অনেকেই। কেননা হিউস্টনের মঞ্চে দাঁড়িয়ে মোদী ট্রাম্প তথা রিপাবলিকান পার্টির হয়ে প্রচার করেছেন। যা কূটনৈতিক সম্পর্কের পরিপন্থী। কেননা ভারতের সঙ্গে বরাবর রিপাবলিকান এবং ডেমোক্রাটদের সুসম্পর্ক রয়েছে। যা নিয়ে দেশের বিরোধী দল কংগ্রেস ইতিমধ্যেই তাদের অবস্থানের কথা জানিয়েছে। সমালোচনা করে তৃণমূলের নেতারা বলছেন, প্রশান্ত কিশোর শুধুমাত্র একজন ভোট কৌশলী। রাজনীতি বোধের গভীরতা তাঁর নেই। যদি থাকত তাহলে এইধরনের টুইট তিনি করতেন না।









কোন মন্তব্য নেই