Header Ads

পিকে আর তৃণমূলের মোকাবিলা ! 'অভিনব' কর্মসূচি শুরু বিজেপির

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায় : দিদিকে বলোর মোকাবিলায় অভিনব কর্মসূচি শুরু করে দিল রাজ্য বিজেপি। রাজ্যে তাদের প্রতি জনসমর্থন এবং নিজেদের সাংগঠনিক ক্ষমতা যাচাই করে নিতে পুরো নেতৃত্বইকেই নামিয়ে দেওয়া হয়েছে কাজে। জানা গিয়েছে, রাজ্যের ৭৮ জন নেতাকে ২৬ টি কমিটিতে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। তাদের ৪২ টি লোকসভা এবং ২৯৪ বিধানসভা এলাকার কাজও ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। আগাী ১৫ দিনের মধ্যে সংগঠনের হালচাল নিয়ে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে।
শনিবার আইসিসিআর-এ রাজ্য বিজেপির তরফে বিশেষ পর্যালোচনা বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সেই বৈঠকে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ছাড়াও রাজ্য সম্পাদক সংগঠন সুব্রত চট্টোপাধ্যায় হাজির ছিলেন। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে ছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অরবিন্দ মেনন। ছিল মুকুল রায়, প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়, সায়ন্তন বসু। রাজ্যে বিজেপির সাংসদ ও বিধায়কদের অধিকাংশই এই বৈঠকে হাজির ছিলেন। ওই বৈঠকেই ২৬ টি কমিটি গড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
প্রশান্ত কিশোরের নির্দেশে কার্যত ছুটে বেড়াতে হচ্ছে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের। জনগণের মধ্যে গিয়ে অভাব অভিযোগ শুনছেন তাঁরা। এবার বিরোধীদলের তরফে সেই কাজটি শুরু করেছে বিজেপি। রাজ্যের ৭৮ জন নেতাকে ২৬ টি কমিটিতে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ প্রতি কমিটিতে ৩ জন করে সদস্য রয়েছেন। ২৬ টি কমিটির বেশিরভাগের হাতে দেওয়া হয়েছে ২ টি করে লোকসভা আসনের দায়িত্ব। আগামী ১৫ দিনে সংগঠন সম্পর্কে হিসেব দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কমিটিগুলিকে। এই কমিটিগুলিতে সাংসদ, বিধায়ক ছাড়াও রয়েছেন, জেলা সভাপতি এবং পর্যবেক্ষকরা। তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ায় বাবুল সুপ্রিম এবং দেবশ্রী চৌধুরীকে কোনও দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।
২৬ টি কমিটির প্রত্যেকটিকেই প্রত্যেক বিধানসভা কেন্দ্রে আলাদা করে বৈঠক করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে যেসব কমিটির হাতে দুটি করে লোকসভার দায়িত্ব রয়েছে, তাদেরকে ১৫ দিনে ১৪ টি বৈঠক করতে হবে।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের জবাব দেওয়ার পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সাফল্যের কথাও তুলে ধরতে হবে কমিটির নেতাদের। পাশাপাশি ৩৭০ ধারা রদ নিয়েও প্রচার চালাতে হবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.