৬ নম্বর ধারা র সাংবিধানিক বৈধ্যতার প্রশ্ন তুলল জমিয়ত
অমল গুপ্ত
১৯৮৫ সালে সর্বসম্মতিক্রমে ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চের আগে আসা মানুষদের নাগরিকত্ব প্রদানের লক্ষ্যে অসম চুক্তি সম্পাদিত হয়েছিল। সেই চুক্তির ৬ অনুচ্ছেদ খিলন্জিয়া ভুমিপত্রের সাংবিধানিক রক্ষা কবজের বাবস্থা করা হয়। আজ তিন দশক পরেও কে ভুমিপুত্র ,কে খিলাঞ্জিয়া সে ব্যাপারে সংজ্ঞা নির্ণয় করা হলো না। লজ্জার কথা আজও ২৬৩ কিলোমিটার অসম বাংলাদেশ সীমা সিল করা হলো না। এতদিন পরে রাজ্যের জাতীয়তাবাদী সংগঠনগুলির চাপে পড়ে কেন্দ্রীয় সরকার অসম চুক্তির ৬ নম্বর ধারা কার্যকরী করার জন্যে উচ্চ পয্যয়ের কমিটি গঠন করে দিলো। বিস্ময় এর কথা সেই কমিটিতে ১ কোটির বেশি জন সংখ্যা বিশিষ্ট মুসলিম ও প্রায় ৫০ লখ্যাধিক হিন্দু বাঙলি জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি কে কমিটি তে রাখা হলো না। অভিযোগ তুলে এই কমিটি গড়ার সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিভিন্ন সংখ্যালঘু সংখ্যালঘু সংগঠন। সারা অসম বাঙলি ঐক্য মঞ্চ আজ ৬ নম্বর ধারা বাস্তবায়ন কমিটি রূপায়ণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। অসম রাজ্য জমিয়ত উলেমা আজ দিসপুর প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সন্মেলন ডেকে ৬ নম্বর ধারা বাস্তবায়ন এ ক্ষেত্রে তাতে জোরালো ভাবে আপত্তি জানিয়ে নানা ঐতিহাসিক পেক্ষাপট তুলে ধরে দাবি করে ১৯৩১ সালের তদানীন্তন সেনসাস কমিশনার মুলার বলেছিলেন, ১৯৩১ সালে তিন লাখ মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ পূর্ব বঙ্গ থেকে অসমে এসেছিল। ১৯২৬ সাল থেকে ১৯৩১ সালের মধ্যে লাখলাখ চা লেবার , কয়েক লাখ বাঙলি হিন্দু মানুষ এসেছিল। ভালো ইংরেজি জানা কেরানির কাজে নিয়োগ করার জন্যে ব্রিটিশ রা বাঙলি দের এনেছিল। এছাড়াও মারো যারি , বিহারী প্রভৃতি জনগোষ্ঠীর মানুষ এসেছিল। অখণ্ড ভারতের অঙ্গ রাজ্য থেকে ১০০ বছর আগে আগে আসা মানুষকে কি খিলন্জিয়া বা ভূমিপুত্র বলা যাবে না বলে প্রশ্ন তোলে জমিয়ত। হাফিজ বশির আহমেদ কাশিমি,আমিনুল ইসলাম, মৌলানা ফজলুল করিম কাশিমি প্রমুখ সাংবাদিক সন্মেলন এ বলেন,এন আর সি নামে, অসম চুক্তির নামে অনেক গোলমাল হয়েছে ,এখন শান্তি লাগে, সংঘর্ষ নয়। ৬ নম্বর ধারার নামে আর যেন অশান্তি না হয়। ইতিহাসের প্রেক্ষাপট বিচার করে প্রকৃত ভূমি পুত্র কারা, কারা খিলাঞ্জিয়া তার সংজ্ঞা নির্ধারণ করতে হবে। সব জনগোষ্ঠীর মানুষ কে আস্থা ও বিশ্বাস এর মধ্যে আনতে হবে তার পর ৬ নম্বর ধারা রূপায়ণের প্রশ্ন উঠবে। নেতারা জমিয়তের শত বছরের ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, জমিয়ত বেসরকারি সংগঠন , ১৯১৯ সালে হজরত সেইখুল হিন্দ মৌলানা মাহমুদ হোসেইন এর মত পন্ডিত এর নেতৃত্বে জমিয়ত উলেমা ই হিন্দ দে শের স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগ দিয়েছিল। এই আন্দোলনের জন্যে কারা বরণ ও করেন জমিয়তের নেতারা।
কোন মন্তব্য নেই