Header Ads

মোদী সরকারের মাস্টারপ্ল্যান, নেপালে পাইপলাইন উদঘাটন করে চীনের প্রভাব কাটিয়ে দিল ভারত

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায় : বিগত ১০ বছর ধরে চীন দক্ষিণ এশিয়ায় নিজের প্রভাব লাগাতার বৃদ্ধি করে চলেছে। ভারতের চারপাশের দেশগুলিতে নিজের প্রভাব বিস্তার করে ভারতকে ঘিরে ফেলার এক ষড়যন্ত্রও চলছে। তবে এবার ভারত চীনের পাল্টা পথ বের করে নিয়েছে। মালদ্বীপকে চীনের প্রভাব থেকে বের করে আনার পর এবার নেপালের দিকে সরকার জোর দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মঙ্গলবার ভারত ও নেপালের মধ্যে পেট্রোলিয়াম পাইপলাইন উদ্বোধন করেন। এই প্রকল্পটি রেকর্ড সময়ে সম্পন্ন হয়েছে। নেপাল গত কয়েক বছরে চীনের দিকে ঝুঁকছে। তবে এই প্রকল্পের উদ্বোধনের পরে ভারত এখন নেপাল থেকে চীনের উপস্থিতি ঠেকানোর দৃঢ় সিধান্ত নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদী ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলির সাথে মতিহারি-আমলেখগঞ্জ (নেপাল) পেট্রোলিয়াম পণ্য পাইপলাইন উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, “কয়েক বছর ধরে রাজনীতি নিয়ে আমাদের মধ্যে অভূতপূর্ব ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে এবং নিয়মিত যোগাযোগ হয়েছে। গত দেড় বছরে আমার বন্ধু প্রধানমন্ত্রী অলিজি এবং আমি চারবার সাক্ষাত করেছি। তিনি বলেছিলেন যে আমি খুশি যে আমরা আমাদের সহযোগিতার সকল ক্ষেত্রে অগ্রগতি করছি। আমি আশা করি যে আমরা আমাদের অংশীদারিত্ব আরও বিস্তৃত করতে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের অংশীদারিত্ব আরও গভীর করতে এগিয়ে যাব।’’
৪ বছর আগে নেপালে যে বিধ্বংসী ভূমিকম্প হয়েছিল তা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন,  ২০১৫ সালের বিধ্বংসী ভূমিকম্পে নেপাল পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়ার পর ভারত সহযোগিতা করার জন্য প্রতিবেশী এবং নিকটতম বন্ধু হিসাবে হাত বাড়িয়েছে। আমাদের পারস্পরিক সহযোগিতায় নেপালের গোর্খা এবং নুওয়াকোট জেলায় পুনর্বাসিত হওয়ার জন্য আমরা আনন্দিত। আবার সাধারণ মানুষের মাথায় ছাদ এসেছে।
মতিহারি-আমলেখগঞ্জ পেট্রোলিয়াম পণ্য পাইপলাইন নেপালের জন্য ‘গেম চেঞ্জার’ হবে। মতিহারি-আমালেকগঞ্জ পাইপলাইন নেপালে তেল সংরক্ষণের সমস্যা কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করবে। বিশেষজ্ঞদের মতে এই প্রকল্পটি কেবল দামে স্বস্তিই দেবে না বরং পরিবেশবান্ধবও বটে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.