Header Ads

সিপিএম-সিপিআই মিশে যাচ্ছে ! একান্ত আলাপচারিতায় রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায় : লোকসভা ভোটে জোর ধাক্কা খেয়েছে বামদলগুলি। এই পরিস্থিতিতে দুই কমিউনিষ্ট পার্টি ফের সংযুক্তিকরণের কথা ভাবছে সিপিএম ও সিপিআই। নিজেদের মধ্যে ঐক্য রও সুদৃঢ় করার ভাবনা শুরু হয়েছে। এই আঙ্গিকে দুই দলের শীর্ষ নেতৃত্ব বৈঠকেও বসেছে সম্প্রতি। ৫৫ বছর পর পরিস্থিতির চাপে যে চর্চা শুরু হয়েছে, তা নিদেনপক্ষে কতটা কার্যকর হয়, এখন তা-ই দেখার।
সিপিএম ও সিপিআই চাইছে নিজেদের মধ্যে সমঝোতা আরও বাড়াতে। তা সম্ভব হলে দুই দল ফের এক হয়ে যেতেও আপত্তি থাকার কথা নয়। রাজনৈতিক মহলে সেই জল্পনার পারদ ক্রমশ চড়ছে। তবে বিষয়টি নিয়ে এখনও কোনও পক্ষই খোলসা করেনি। তবে কিছু একটা যে চলছে, তা স্পষ্ট। কিন্তু হঠাৎ কেন এই কথা রটল? দুই কমিউনিস্ট পার্টির এক হয়ে যাওয়ার জল্পনা উসকে দিয়েছে সম্প্রতি দুই দলের শীর্ষ নেতার একান্ত আলাপচারিতা। 
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইন্দ্রজিৎ গুপ্তার জন্মশতবর্ষের অনুষ্ঠানে সিপিএম ও সিপিআইয়ের সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে সীতারাম ইয়েচুরি ও ডি রাজা একান্তে বৈঠক করেন। বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে এই বৈঠকে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে দুই দল নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়ার অভাব দূর করতে হবে। তবেই একসঙ্গে পথ চলা সম্ভব। তা না হলে সমঝোতার লক্ষ্যে এক হওয়ার কোনও মানে হয় না। সেই এক হওয়া সার্বিক ঐক্যের পরিচয় হবে না।
ইতিমধ্যে দুই দল একটি যৌথ কমিটি গড়ার পরিকল্পনাও সেরে ফেলেছে। দুই দলের পাঁচজন করে থাকবেন এই কমিটিতে। তবে কমিটিতে কারা থাকবেন, সেই নাম এখনও চূড়ান্ত হয়নি। দুই দল কথা বলে ১০ নেতার নাম চূড়ান্ত করবে। তাঁরাই সমঝোতার মধ্যে দিয়ে ফের এক হওয়ার রাস্তা তৈরি করবেন।
এর আগেও দুই কমিউনিস্ট পার্টির সংযুক্তিকরণের ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হয়। ১৯৬৪ সালের ৭ নভেম্বর কমিউনিস্ট পার্টি ভেঙে যাওয়ার পর হরকিষেন সিং সুরজিৎ ও এবি বর্ধন আলোচনা করেছিলেন দুই পার্টির মিশে যাওয়া নিয়ে। কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয়নি। তারপর সুধাকর রেড্ডি ও সীতারাম ইয়েচুরিও একবার চেষ্টা নিয়েছিলেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.