Header Ads

আসন্ন স্বাধীনতা দিবস, রেল ,জল ও সড়ক পথের সুরক্ষার বিশেষ ব্যবস্থা


দেবয়ানী ,গুয়াহাটি। আসন্ন স্বাধীনতা দিবস। ৭৩ তম স্বাধীনতা।দিবসের প্রাক্কালে রাজ্যের সুরক্ষা ব্যবস্থা উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে,বিশেষে করে রাজধানী গুয়াহাটি এলাকাতে । রাজধানী গুয়াহাটির  প্রবেশের জলপথ ,সড়কপথ রেলপথ এর উপর বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। শুক্রবার আসাম পুলিশের একটি দল ব্রহ্মপুত্র নদের উপর তৈরি শরাইঘাটের পুরনো ও নতুন সেতু দুটির সুরক্ষা ব্যবস্থা পরিদর্শন করে। এরপর বিভিন্ন ঘাট যেমন  উত্তর গুয়াহাটির পর ঘাট ,পাণ্ডু ঘাট,শুক্লেস্বর ঘাট গুলিতে  পুলিশে তল্লাশি চালায়। ওদিকে পুলিশের একটি টিম ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর তল্লাশী অভিযান চালায়। জল পুলিশ, রেলওয়ে সুরক্ষা বাহিনী ,ও অসম পুলিশ সড়কপথের প্রতিটি যানবাহনে তল্লাশী করছে। পুলিশের সূত্র থেকে প্রকাশ যে স্বতন্ত্রতা দিবসের প্রাক্কালে কোন উগ্রপন্থীর হামলা যাতে না হয় অর্থাৎ রেলপথ ও সড়কপথে ও জল পথে যাতে  কোন উগ্রবাদী বা অপরাধী হামলা  না করতে পারে তার উপর বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ।এই অভিযান স্বাধীনতা দিবস পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। অর্থাৎ শান্তিপূর্ণভাবে ৭৩ সংখ্যক স্বতন্ত্রতা দিবস পালনের পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছে পুলিশ প্রশাসন।


স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে গুরুত্বপূর্ণ রেল স্টেশন গুলিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের দিকে লক্ষ রেখে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল গুয়াহাটি র  গুরুত্বপূর্ণ রেল স্টেশনগুলিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে তুলেছে ।সব কটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে পাহারা থাকবে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির পুলিশ কর্মী আর অন্যান্য নিরাপত্তাকর্মী সংস্থার। উত্তর-পূর্বএর  সবচেয়ে বড় রেল স্টেশন হল গুয়াহাটি রেল স্টেশন ।এখানে  ৪০ হাজার মানুষের আসা যাওয়া হয়  ও ৩০ জোড়া ট্রেন চলাচল করে ।এখান থেকে তাই এই স্টেশনের নিরাপত্তার উপর সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। এই স্টেশনে সর্বক্ষণ একটি কুইক রেসপন্স টিমের নিরাপত্তারক্ষীরা পালা করে মোতায়েন থাকবে ।এই টিমে রয়েছেসম্পূর্ণ সশস্ত্র আরপিএসএফের জওয়ানদের সাথে আরপিএফ এর সাথে আরপিএফ কর্মীরা ।স্টেশনের প্রত্যেকটি শিফটে প্রায় ৩০জন জিআরপিএফ জওয়ানদের নিরাপত্তা রক্ষার ক্ষেত্রে সহযোগীতা করছে। সুরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে  কামাখ্যা স্টেশন ও আশপাশ এলাকা



রেলওয়ে পুলিশ বাহিনী স্টেশনের আশপাশের এলাকায় অনেক ঝোপড়ি ভেঙে ফেলেছে। এছাড়া কামাখ্যা স্টেশন এ নিয়মিত তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে ।বিপদের আশঙ্কা থাকা রেল স্টেশন চত্বরে মোতায়েন করা হয়েছে নিরাপত্তা রক্ষী ।রয়েছে পেট্রোলিং এর ব্যবস্থা ।মেটাল ডিটেক্টর ,প্যাকেজ স্ক্যানার ব্যবহারের করে মালপত্র তল্লাশি করা হচ্ছে যাত্রীদের ।বিভিন্ন রেল, স্টেশন ,ট্রেন ,প্লাটফর্ম চত্তরে ইত্যাদিতে স্নিফার ডগ  দিয়ে নাশকতা বিরোধী অভিযান চালানো হচ্ছে  বিপদের আশঙ্কা থাকা সব স্থানে দিন রাত সর্বক্ষণ  সিসিটিভির মাধ্যমে নজর রাখা হচ্ছে সমস্ত বড় স্টেশনও ইয়াডেগুলো তে আগাম সাবধানে মূলক ব্যবস্থা না হয়েছে  তা দেখার জন্য রাতে স্টেশন আর ইয়ার্ডে  গিয়ে গেজেটেড অফিসাররা।সমস্ত নিরাপত্তা সাবধানতা মূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ।এসব ছাড়াও সংশ্লিষ্ট বিভাগ গুলিতে এই নির্দেশ পাঠানো হয়েছে যে ঘন ঘন যাতে ডাস্টবিন ,পার্সেল, পার্কিং এরিয়া চেক করা হয় ।সন্দেহজনক ব্যক্তি বা জিনিসের উপর নজর রাখতে হবে সে সম্পর্কে আলোচনা করার জন্য কুলি ,ভ্যান  ট্যাক্সি অটোরিকশা চালকের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে ।জাতিদের মধ্যে নিরাপত্তা সম্পর্কিত সর্তকতা সম্পর্কে সজাগ থাকার জন্য জনসাধারণের উদ্দেশে থাকা ঘোষণা ব্যবস্থার মাধ্যমে বারেবারে এসব কথা ঘোষণা করা হচ্ছে।
বড়ঝাড় স্থিত গোপীনাথ বরদলৈ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সুরক্ষা ব্যবস্থার উপর জোর দেওয়া হয়েছে।বিমানবন্দরের যাত্রীদের নিয়মিত তল্লাশী ছাড়াও বিমানবন্দরের ও আশে পাশের এলাকার পুলিশ চেকিং জোরদার করা হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.