Header Ads

অসম চুক্তির ৬ নম্বর অনুচ্ছেদ নিয়ে গুয়াহাটিতে উচ্চ পৰ্যায়ের বৈঠক, ৬ মাসের মধ্যে কেন্দ্ৰীয় স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰককে প্ৰতিবেদন

নয়া ঠাহর প্ৰতিবেদন, গুয়াহাটিঃ

 অসমিয়া মানুষের সাংবিধানিক রক্ষাকবচ সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে অসম চুক্তির ৬ নম্বর ধারা রূপায়ণে ১৪ জনের উচ্চ পর্যায়ের কমিটির বৈঠক আজ গুয়াহাটি স্টাফ এডমিনিস্ট্ৰেটিভ কলেজের প্রেক্ষাগৃহে অনুষ্ঠিত হয়। চেয়ারম্যান বিপ্লব শর্মার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আগামী ৬ মাসের মধ্যে কমিটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

 ছবি, সৌঃ আন্তৰ্জাল
কেন্দ্রের মনোনীত এই উচ্চ পর্যায়ের কমিটিতে রাজ্যে ১ কোটিরও বেশি মুসলিম জনগোষ্ঠীর একজন প্রতিনিধি আছেন, উপজাতি জনগোষ্ঠীর এক প্রতিনিধিকে সব শেষে অন্তৰ্ভুক্ত করা হয়, কিন্তু রাজ্যে ৫০ লাখের বেশি হিন্দু বাঙালির কোনও প্রতিনিধি নেই, বিধানসভায় বরাকের কংগ্রেস বিধায়ক কমলাক্ষ্য দে পুরকায়স্থ কমিটিতে বাঙালি প্ৰতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করার  জোরালো দাবি জানিয়েছিলেন। বরাকের বাকি বাঙালি বিধায়করা কোনও দাবি জানায়নি। এই কমিটিতে স্বাভাবিকভাবে বাঙালিদের সমস্যাগুলি গুরুত্ব পাচ্ছে না।

এক সূত্র থেকে জানা গেল  এই কমিটির একাংশ সুপ্রিমকোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চে বিচারাধীন হয়ে থাকা অসম সম্মিলিত মহাসংঘের বিষয়টিকে সমর্থন করছেন। ১৯১২ সালে মতিউর রহমান ১৯৫১ সালকে ভিত্তি বছর হিসাবে গণ্য করে নাগরিকত্ত প্রদানের দাবি জানিয়েছিলেন। অসম বিধানসভার প্রাক্তন অধ্যক্ষ প্রণব গগৈ অসমের ২৭ টি সংগঠনের প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলে ১৯৫১ সালকে ভিত্তি বছর করে এক প্রতিবেদনে বিধানসভাতে পেশ করার সঙ্গে সঙ্গে কংগ্রেসের অর্ধেন্দু কুমার দে অধ্যক্ষের হাত থেকে কেড়ে নিয়ে কুটি কুটি করে ছিঁড়ে ফেলেছিলেন।

মুখ্যমন্ত্রী তরুণ   গগৈয়ের পূর্ণ সমর্থন পেয়েছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী দে। এই সরকারের হাই প্রোফাইল মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ও ১৯৫১ সালকে বহুবার সমর্থন করে বক্তব্য রেখেছেন। ১৪ জনের কমিটি যদি একবার ১৯৫১ সালকে ভিত্তি বছর হিসাবে পাশ করিয়ে নিতে পারে। তবে ১৯৬৫ সালে পাক ভারত যুদ্ধ, ১৯৭১ বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধের ফলে কয়েক লাখ মানুষ ভারতে আসতে বাধ্য হয়েছিল, তাদের ভাগ্যে কি ঘটবে ? মুজিব ইন্দিরা চুক্তিতে ভারতে আসা মানুষদের ভারতে নাগরিক হিসাবে গ্রহণ করার কথা বলা হয়েছিল। তাদের ভাগ্যে কি হবে? সুপ্রিমকোর্টের  সংবিধানিক বেঞ্চে মামলা চলছে, অপরদিকে ১৯৭১ এর ২৫ মার্চকে ভিত্তি বছর করে এনআরসি-র চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ পাবে ৩১ আগস্ট। এর মধ্যে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পুনরায় সংসদে পেশ করার কথা বলা হচ্ছে। এই সব ক্ষেত্রে রাজ্যের হিন্দু মুসলিম সংখ্যালঘু বাঙালিরা গবেষণাগারের গিনিপিকে পরিণত হচ্ছে। দেশের মানবতাবাদী সংগঠনগুলি বিস্ময়করভাবে চুপ।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.