কাশ্মীরি পণ্ডিতরা এবার নিজেদের ফেলে আসা ভিটেতে ফেরার আশা দেখছেন
নয়া ঠাহর প্রতিবেদন : কাশ্মীরি পন্ডিত হওয়ার জেরে পিএল টিকুকে নব্বইয়ের দশকে ছাড়তে হয়েছিল নিজের ভিটে মাটি। জঙ্গিরা হত্যা করেছিল পিএল টিকুর বড় ছেলেকে। রাতারাতি বিশাল বাড়ি ও বাগান ফেলে প্রাণ বাঁচাতে কাশ্মীর উপত্যকা ছাড়তে হয় পিএল টিকু ও তাঁর পরিজনদের। পুত্রশোকে মারা যান তাঁর স্ত্রীও। বর্তমানে তাঁর কাশ্মীর উপত্যকায় ফেলে আসা বাড়ি-ঘর, বাগান সব দখল হয়ে গেছে। তবু ৩৭০ ধারা বিলোপ হওয়ার জেরে নিজের ভিটেতে ফেরার আশা দেখছেন তিনি।
তেমনই, আরেকজন এ কে ধর। তিনিও নব্বইয়ের দশকেই বাধ্য হয়েছিলেন কাশ্মীর উপত্যকা ছাড়তে। পরিবার ও নিজের প্রাণ বাঁচাতে প্রাণ বাঁচাতে এছাড়া আর উপায় ছিল না তাঁর। ৩৭০ ধারা বিলোপের পর এ কে ধরের মন্তব্য, গত সাত দশক ধরে জম্মু কাশ্মীরের বিশেষ সুবিধার অপব্যবহার করেছে কিছু রাজনৈতিক দল। নব্বইয়ের দশকে, পিএল টিকু বা এ কে ধরের মতো অসংখ্য কাশ্মীরি পন্ডিত পরিবারকে উপত্যকায় থাকা নিজেদের পূর্বপুরুষের ভিটে ছাড়া হতে হয়েছিল রাতারাতি। এঁদের একমাত্র দোষ ছিল এঁরা সবাই কাশ্মীরি পন্ডিত।
৩৭০ ধারা বিলোপের পর উপত্যকা থেকে উৎখাত হওয়া কাশ্মীরি পন্ডিতদের প্রতিনিধিত্ব করে বলে দাবি করা 'অল স্টেট কাশ্মীরি পন্ডিত কনফারেন্স'র সভাপতি রবীন্দ্র রায়নার মন্তব্য, এবার খোলা হাওয়ায় শ্বাস নিতে পারবেন তাঁরা।
বিশ্বের কাশ্মীরি পন্ডিতদের প্রতিনিধিত্ব করে বলে দাবি করা সংগঠন 'গ্লোবাল কাশ্মীরি পন্ডিত ডায়াস্পোরা '-র মতে, ৫ আগস্ট, ২০১৯ দিনটি ভারতের ইতিহাসে জায়গা পেয়েছে। তাঁদের আশা কাশ্মীরি পন্ডিতদের কাশ্মীরে ফেরার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার একটি রূপরেখা তৈরি করবে। উপত্যকায় ফেলে আসা ভিটে-মাটিতে ফিরতে পারার আশা দেখছেন উৎখাত হওয়া কাশ্মীরি পন্ডিতরা। ৩৭০ ধারা বিলোপের জেরে ফেলে আসা ভিটেতে ফেরার স্বপ্ন দেখছেন এবার তাঁরা।
কোন মন্তব্য নেই