Header Ads

৩৭০ ইস্যুতে মোদীর সমর্থন করবো না, তিনি আমাদের কিছু জিজ্ঞাসা করেনি : মমতা ব্যানার্জী

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায় : বেশ কিছুদিন পরে আরো একবার বড়ো মন্তব্য করে চর্চায় এসেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। ধারা ৩৭০ কেন্দ্র সরকার মুছে ফেলেছে। দেশের জনগণও এই কাজের জন্য বিজেপির পক্ষে ছিল। কারণ ভোট প্রচারের আগে বিজেপি তাদের সঙ্কল্পপত্রে ধারা ৩৭০ মুছে ফেলার ঘোষণা করেছিল। বিজেপি ক্ষমতায় এলে জম্মু-কাশ্মীর থেকে ধারা ৩৭০ মুছে দেওয়া হবে, এটা বিজেপি নির্বাচনী প্রচারের সময়তেই বলেছে। দেশের মানুষও বিজেপি পার্টির উপর ভরসা করে কেন্দ্রে ক্ষমতায় তাদের ফিরিয়ে নিয়ে আসে। 
এখন অমিত শাহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদ সামলে চাণক্য এর মত খেলা খেলে চলেছেন। অমিত শাহ জম্মু ও কাশ্মীরের থেকে ধারা ৩৭০ মুছে ফেলেছেন একই সাথে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠন করেন। যা বহু সময় থেকে কোটি কোটি মানুষের স্বপ্ন ছিল তাই করে দেশকে চমকে দিয়েছে মোদী সরকার।
বর্তমান যুগের চাণক্য নামে পরিচিত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের এই কর্মকাণ্ডের উপর রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিরোধী দলগুলি। কংগ্রেস, সিপিএম এর মত দলগুলি খোলাখুলিভাবে ৩৭০ অপসারণের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছে। যদিও আম-আদমি পার্টির মতো কিছু বিরোধীদল সরকারের সিদ্ধান্তে সমর্থন জানিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় থাকা তৃণমূল কংগ্রেস ৩৭০ অপসারণের বিরুদ্ধেই আওয়াজ তুলেছে। অর্থাৎ সিপিএম, কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস ও কাশ্মীরের কট্টরপন্থীরা একই সুরে সুর মিলয়েছে। শত্রু দেশ পাকিস্তানও এক্ষেত্রে ভারত সরকারের বিরোধিতা করেছে।
তৃণমূল কংগ্রেস পার্টির সুপ্রিমো এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী ৩৭০ ইস্যুতে মন্তব্য করেছেন। তিনি ধারা ৩৭০ বিলুপ্তের বিরোধিতা করেছেন। মমতা ব্যানার্জী বলেছেন, আমরা ধারা ৩৭০ অপসারণের সমর্থন করি না। সরকার আমাদের কিছু জিজ্ঞাসা করেনি, আমরা সরকারের সমর্থন করছি না। কাশ্মীরের নেত্রী মেহেবুবা মুফতি যিনি ভারতকে জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন তার প্রসঙ্গেও মন্তব্য করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। তিনি আব্দুল্লাহ ও মুফাতিকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান। বলেন, তারা আতঙ্কবাদী নয়--তাদের নিজেদের স্বাধীনতা প্রদান করা উচিত। 
প্রসঙ্গত, কেন্দ্র সরকার ও সেনা জম্মু-কাশ্মীরে অ্যাকশন মুডে রয়েছে। ৩৭০ উপস্থাপিত হওয়ার পর মেহেবুবা মুফতি দেশের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলছিলেন। যার জন্য সরকার মেহবুবাকে জেলে ঢুকিয়ে দিয়েছে। সংসদে ৩৭০ অপসারণের উপর ভোটিং হয়েছিল সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস ৩৭০ থাকার পক্ষে থাকলেও ওয়াক-আউট করে। যদিও শেষমেষ ৩৭ ধারা বিলুপ্ত করতে সরকার সক্ষম হয়। সরকার বিরোধীদের হাঙ্গামা, হৈচৈ সত্ত্বেও ধারাকে বিলুপ্ত করে দেয়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.