Header Ads

সাংসদ ভুবনেশ্বর কলিতার পদত্যাগ,অস্বীকার




নয়া ঠাহর প্রতিবেদন ,গুয়াহাটি। প্রবীণ কংগ্রেসী নেতা ভুবনেশ্বর কলিতা (৬৮)হঠাৎই রাজ্যসভা থেকে পদত্যাগ করার খবরে রাজ্যের রাজনীতি মহলে একপ্রকার আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। দল থেকে পদত্যাগ নিশ্চিতে না করলেও তিনি পদত্যাগ করছেন বলে বিভিন্ন সংবাদ মহলে খবরটি প্রকাশ হয়েছে ।যদিও তিনি এই পদত্যাগের  কথা স্বীকার করেননি।সোমবার সকালে হঠাৎই তাঁর পদত্যাগ করার খবর জানা যায়।তবে এখন পর্যন্ত এর কারণ জানতে পারা যায়নি । অবশ্য  টুইট যোগে নিজের পদত্যাগের কথা উল্লেখ করলেও এর কারণ তিনি উল্লেখ করেন নি ।উল্লেখ্য যে ভুবনেশ্বর কলিতা কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি । কিছুদিন পূর্বে অসম থেকে নির্বাচিত  অন্য একজন রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিংহও  পদত্যাগ করেছিলেন।সঞ্জয় সিংহের পর ভুবনেশ্বর কলিতা আসামে দ্বিতীয় সাংসদ।তবে এ  সম্পর্কে এখনো অন্ধকারে রয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস। রাজ্যসভার সদস্য পদ ত্যাগ করার কয়েক মুহূর্ত পরে তিনি কংগ্রেস ত্যাগ করেন এই খবর আসাম প্রদেশ কংগ্রেস  নিশ্চিত করেনি যদিও তবে কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে এই কথা প্রকাশ পেয়েছে।" কংগ্রেস দল আত্মহত্যা করতে যাচ্ছে "একটি রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিষ্ঠানে কলিতার এই উদ্ধৃতি । সোমবার সকালে জম্মু কাশ্মীর প্রসঙ্গে রাজ্য সভাতে অন্য দুজন কংগ্রেস সাংসদ গোলাম নবী আজাদ আর অম্বিকা সোনির সাথে ভুবনেশ্বর কলিতা সভা স্থগিত  প্রস্তাবের নোটিশ দিয়েছিলেন। এরপর এর পরই সাংসদে পদত্যাগ করেন তিনি। ভুবনেশ্বর কলিতা রাজ্য সভাতে কংগ্রেসে চিফ হুইপ ছিলেন। 



এ প্রসঙ্গে তিনি একটি চিঠিতে লিখেছেন যে আজকের কংগ্রেস তাকে হুইপ  জারি করতে বলে। তিনি বলেন যে  এটাও সত্যি যে দেশের অবস্থা  সম্পুর্ন ভাবে বদলে গেছে। আর এই হুইপ জন ভাবনার বিরুদ্ধে। যতদূর পর্যন্ত আর্টিকেল ৩৭০ কথা আসে পন্ডিত জবাহরলাল নেহেরু নিজেও এর বিরুদ্ধে ছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে আর্টিকেল ৩৭০ দিন পুরোপুরিভাবে শেষ হয়ে যাবে। আজকে কংগ্রেসের বিচারধারা দেখে লাগছে যে কংগ্রেস আত্মহত্যা করেছে ।আর আমি এর মাঝে কংগ্রেসের ভাগীদার হতে চাই না ।আমি এই হুইপ পালন করবো না  আর আমি কংগ্রেসের পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছি। আজকে কংগ্রেস পার্টির লিডারশিপ ই দলকে   সম্পূর্ণ ভাবে শেষ করার কাজ করছে। আমার মতে এখন এই  পার্টি কে কেউ বাঁচাতে পারবে না। উল্লেখ্য যে ভুবনেশ্বর কলিতা ১৯৭২ সাল থেকে কংগ্রেসের সাথে যুক্ত ছিলেন ।সান ১৯৮৩ থেকে ৮৫.পর্যন্ত তিনি আসাম প্রদেশের যুব কংগ্রেসের সভাপতি হয়েছিলেন ।এরপর ২০০৪ সালে তিনি আসাম প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন । ১৯৮৪,১৯৯০,ও  ২০১৪ এই তিনবার তিনি লোক সভাতে নির্বাচিত হন। বিগত লোকসভা নির্বাচনে কলিতা মঙ্গলদৈ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে  বিজেপির প্রার্থী দিলীপ সরকার হাতে পরাজিত হয়েছিলেন ।তবে কংগ্রেস এর দল ত্যাগ করার কথা তিনি অস্বীকার করেছেন।সমস্ত কিছু স্পষ্ট ভাবে তিনি ঘোষণা করবেন বলে জানিয়েছেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.