Header Ads

পক ভারতের অধীনে আনার প্ল্যান তৈরি, সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর প্ল্যান শুনে গভীর দুশ্চিন্তায় পাকিস্তান

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায় : পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কয়েক দিন আগে ১৪ ই আগস্ট বলেছিলেন, আমি জানি যে মোদী সরকারের পরবর্তী লক্ষ্য পক (পাক অধিকৃত কাশ্মীর)। মোদী সরকার এখানে বালাকোটের চেয়েও বড় অপারেশন করার পরিকল্পনা করেছে। কারণ আরএসএস, বিজেপি এবং ভারতে সমস্ত ভারতীয় জাতীয়তাবাদী পক পুনরায় ভারতের সঙ্গে যুক্ত করার স্বপ্ন সবসময়ই দেখে। এখন বিজেপির একজন প্রবীণ সাংসদ এবং ফাস্ট ট্র্যাকার সুব্রহ্মণ্যম স্বামী পাকিস্তানের গণমাধ্যমে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। আসলে, মোদী সরকারের সাথে যুক্ত ব্যক্তিরা পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বিষয়টি সোচ্চারে উত্থাপন করছে এবং তার ফলে পাকিস্তানে উদ্বেগ বাড়ছে।
এদিকে, সুব্রহ্মণ্যম স্বামী এমন কথাও জানিয়েছিলেন যে পাকিস্তানের মিডিয়াও এই বিষয়টি নিয়ে জোর বিতর্ক শুরু করে দিয়েছে। জম্মু-কাশ্মীর দখল করার জন্য জিন্নাহ সেনা পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু ভারতীয় সেনা কাশ্মীর দখলের স্বপ্নকে চুরমার করে দিয়েছিল। 
কিন্তু নেহেরু ভারতীয় সেনাকে মাঝপথ থেকেই ফিরিয়ে এনেছিলেন। যার ফলে কাশ্মীরের একটা বড়ো অংশকে পাকিস্তান নিজেদের দখলে রাখতে সক্ষম হয়। ওই এলাকাটি এখন পক নামে পরিচিত। সেই সময় থেকেই কাশ্মীর নিয়ে বির্তক চলে আসছে। নেহেরু আরো একটা বড়ো ভুল করেছিলেন তা হলো কাশ্মীর ইস্যুকে ইউএন এর কাছে নিয়ে গিয়ে এটাকে আন্তর্জাতিক ইস্যুতে পরিণত করেছিলেন।
নেহেরু একটা পিটিশন ইউএনএসসি তে জমা দিয়ে রেখেছেন। যা আজও সেখানে রয়েছে। মূলতঃ এই কারণেই অভ্যন্তরীণভাবে কাশ্মীর ইস্যুকে সমাধান করার কোনো পরিকল্পনা এতদিন গ্রহণ করতে পারে নি ভারত । এখন দেশে একটা শক্তিশালী সরকার এসেছে এবং প্রথশ সুযোগেই সরকার আপাততঃ জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ বিলুপ্ত করে একটা বড় কাজ করেছে। এখন POK কে ভারতের সঙ্গে একত্রীকরণের পালা। সুব্রহ্মণ্যম স্বামী তাই বলেছেন, ভারত সরকারের উচিত ইউএনএসসি তে জমা দেওয়া নেহেরুর পিটিশন তুলে নেওয়া। এরফলে পক তে থাকা সীমা যেটা এলওসি নামে পরিচিত তা অবৈধ হয়ে যাবে। যারপর ভারতীয় সেনার হাতে পাক অধিকৃত কাশ্মীর উদ্ধারের দায়িত্ব ছেড়ে দিতে হবে। একটা কঠোর ও সঠিক মিলিটারি অ্যাকশন করলেই পক ভারতের অধীনে চলে আসবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.