জয় হিন্দ, ভারত মাতা কি জয় শ্লোগান দিয়ে ভারতের সমর্থন চাইলো বালোচ সংগ্রামীরা
বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায় : বেলুচিস্তানের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করা বিপ্লবীরা এবং যোদ্ধারা পাকিস্তানের খপ্পর থেকে নিজেকে মুক্ত করার জন্য ভারতের কাছে সাহায্য চেয়েছেন। আমাদের ৭৩তম স্বাধীনতা দিবসে বেলুচিস্তান সংগ্রামীরা অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং বেলুচিস্তান তাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে ভারত যে সমর্থন দিয়েছে তার জন্য কৃতজ্ঞ বলেও জানিয়েছে। স্বাধীন বেলুচিস্তান গড়তে যেন ভারত আওয়াজ তোলে তার জন্য অনুরোধও জানিয়েছে। সবশেষে ধন্যবাদ এবং জয় হিন্দ ধ্বনিও দিয়েছে।
আর এক বালুচ কর্মী আশরাফ শেরজান হিন্দুস্তানকে ইউএন সহ সকল আন্তর্জাতিক ফোরামে বেলুচিস্তানের কণ্ঠস্বর পৌঁছে দেওয়ার অনুরোধ করেছেন। “বেলুচিস্তানের মানুষকে পাকিস্তান ও তার সেনাবাহিনীর হাতে নির্যাতন সহ্য করতে হচ্ছে, তাদের হত্যা করা হচ্ছে। বেলুচিস্তান রক্তাক্ত হচ্ছে। ‘হিন্দুস্তানকে কাতর কণ্ঠে অনুরোধ করার সময় শেরজান তার আবেদন “ভারত মাতা কি জয়” দিয়ে শেষ করেছিলেন।
পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসে বেলুচিস্তান সলিডারিটি ডে এবং ব্ল্যাক-ডে পালনের মাধ্যমে বেলুচরা বেলুচিস্তানের সমর্থনে টুইটারে ট্রেন্ডিং শুরু করেছিল। এই ট্রেন্ডগুলিতে যথাক্রমে প্রায় ১ লাখ এবং ৫৪ হাজার টি টুইট ছিল। বেলুচিস্তানে পাকিস্তান কর্তৃক জঘন্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণে অতীতে বহুবার পাকিস্তানকে বিব্রত হতে হয়েছে।
বেলুচিস্তান স্বাধীন (১১ আগস্ট, ১৯৪৭) হওয়ার সাথে সাথেই তাকে কব্জা করা হয়েছিল। দেশ ভাগের আগে বালুচিস্তানের ৪টি অংশ ছিল – কলাত, লাসাবেলা, খরণ এবং মাকরান। বাকি তিনটি অংশ বিভিন্ন উপায়ে কলাতের সঙ্গে ছিল। বেলুচিস্তানীরা দাবি করেন যে, হিন্দুস্তান-পাকিস্তানের স্বাধীনতার আগে ১৯৪৭ সালের ১১ই আগস্ট বালুচিস্তান ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। এরপরে জিন্নাহ বেলুচিস্তানকে পাকিস্তানে একীভূত করার জন্য গায়ের জোরে একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। বেলুচিস্তান অ্যাসেম্বলি অবশ্য পাকিস্তানের সাথে বৈঠকের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিল।
কোন মন্তব্য নেই