Header Ads

জাপানিজ এনকেফেলাইটিসে ডিমা হাসাও জেলায় এক মহিলার মৃত্যু

                          
    বিপ্লব দেব, হাফলংঃ  জাপানিজ এনকেফেলাইটিসে আক্রান্ত হয়ে এক মহিলার মৃত্যু ঘটে ডিমা হাসাও জেলায়। ডিমা হাসাওয়ের হাতিখালির বছর ৬০-য়ের বৃদ্ধা কুঞ্জলতা হাকমকসা জাপানিজ এনকেফেলাইটিসে আক্রান্ত হয়ে হাফলং সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর শনিবার ওই বৃদ্ধা মহিলার মৃত্যু হয়। জেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান বিভাগের যুগ্ম সঞ্চালক ডাঃ দিপালী বর্মণ সাংবাদিকদের বলেন এবছর ডিমা হাসাও জেলায় এই প্রথম জাপানিজ এনকেফেলাইটিসে আক্রান্ত হয়ে  মৃত্যুর ঘটনা।

 গত বছর হাতিখালিতে দুজন জাপানিজ এনকেফেলাইটিসে আক্রান্ত হয়ে দুজন রোগীর মৃত্যু হয়েছিল। দিপালী বর্মণ জাপানিজ এনকেফেলাইটিস থেকে রক্ষা পেতে সচেতনতা জরুরি এবং মশার কামর থেকে যে কোনও প্রকারে নিজেকে রক্ষা করতে হবে সন্ধ্যায় ঘরে বাইরে ধোঁয়া জ্বালাতে হবে। এমনকি বাড়ির সামনে নালা নর্দমা সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা প্রয়োজন। শূকরের পাশ থেকে দূরে থাকা এছাড়া রাতে ঘুমনোর সময় মশারি ব্যবহার করার কথা জানান।  

এদিকে জাপানিজ এনেকেফেলাইটিস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলছে এনিয়ে শুক্রবার বিকেলে উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদের প্রধান সচিব আর কে মজুমদার (আইএএস) জাপানিজ এনকেফেলাইটিস প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার লক্ষ্যে টাক্স ফোর্স ডাক্তার এএনএম স্বাস্থ্য বিভাগের সকল কর্মীদের নিয়ে এক জরুরি বৈঠকে মিলিত হন। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ডিমা হাসাও জেলার জেলাশাসক অমিতাভ রাজখোয়া স্বাস্থ্য বিভাগের যুগ্ম সঞ্চালক ডঃ দিপালী বর্মণ ডঃ লীনা হাকমকসা পার্বত্য পরিষদের সচিব টি টি দাওলাগাপু জুবি নামপুই। বৈঠকে জাপানিজ এনফেলাইটিস প্রতিরোধে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগকে নির্দেশ দেন।

উল্লেখ্য, জাপানিজ এনকেফেলাইটিসে আক্রান্ত হয়ে সমগ্র রাজ্যে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০-এ।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.